ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মাদকসহ আটক চার ॥ থানায় দুই

প্রকাশিত: ০৬:৪৬, ১৮ জুলাই ২০১৮

মাদকসহ আটক চার ॥ থানায় দুই

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী, ১৭ জুলাই ॥ পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলা লেবুখালী ফেরিঘাট থেকে মাদকসহ চার যুবককে আটক করলেও রহস্যজনক কারণে দুই যুবককে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। আটককৃতদের মধ্যে সাইমুন রহমান বাপ্পী পটুয়াখালী শহরের কলেজছাত্র মাহাবুব হত্যার এজাহারভুক্ত আসামি। সোমবার রাতে দুমকী থানায় কর্মরত এএসআই সৈয়দ আবুল কালাম আজাদসহ পুলিশের একটি দল এই চারজনকে মাদকসহ আটক করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে লেবুখালী ফেরিঘাট থেকে একটি মাইক্রোবাস ফেরিতে উঠতে গিয়ে গ্যাওয়েতে আটকা পড়ে। পরে তা অপসারণ করা হয়। কিছুুক্ষণ পরে ফেরিঘাটে কর্মরত দুমকী থানা পুলিশের এএসআই সৈয়দ আবুল কালাম আজাদসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা সন্দেহের ভিত্তিতে মাইক্রোবাসে তল্লাশি চালায়। এ সময় দেখে বাপ্পীসহ আরও তিনজন মাইক্রোতে বসে মাদক সেবন করছে। এ সময় তাদের দেহ তল্লাশি করে ইয়াবা ও গাঁজা উদ্ধার করে। ওই চার যুবকের মধ্য সাইমুন রহমান বাপ্পী পটুয়াখালীতে ২০১৭ সালে মাহাবুব হত্যার এজাহারভুক্ত আসামি। এছাড়াও বাপ্পীর বিরুদ্ধে কলাপাড়া থানায় মাদক মামলাসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এরপর আটককৃত চারজনকেই লেবুখালী ফেরিঘাটের পুলিশ বক্সে নিয়ে পুলিশের সঙ্গে চলে গোপন শলাপরামর্শ। কিন্তু উপস্থিত জনতার ভিড় দেখে পুলিশ আটককৃতদের নিয়ে মাইক্রোযোগে দুমকী থানার উদ্দেশে রওনা হয়। কিন্তু পথিমধ্যে পাগলা চত্বরে গিয়ে দুইজনকে ছেড়ে দেয়া হয় এবং বাপ্পীসহ বাকি দুইজনকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও চলে ছেড়ে দেয়ার দেনদরবার। বিষয়টি জানাজানি হলে ভেস্তে যায় রফা প্রক্রিয়া। কিন্তু ওই রাতে বাকি দুইজনকে মুক্ত করতে প্রভাবশালীসহ নানা মহলেও চলে তদবির। এদিকে পথিমধ্যে উধাও হওয়া দুইজনকে নিয়ে পুলিশ প্রশ্নের ফাঁদে পরে। এ প্রসঙ্গে দুমকী থানার ওসি তদন্ত জানান, চারজনকে আটক করা হয়েছিল। কিন্তু দুইজন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ননা অনুযায়ী চারজনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে এমন প্রশ্নে ওসি বলেন, পথিমধ্যে দুইজন পালিয়ে গেছে। কিভাবে পালিয়েছে এমন প্রশ্নে ওসি বলেন বিষয়টি আমিও বুজতে পারছি না। পালানো দুই যুবকের পরিচয় জানতে চাইলে ওসি জানান, তাদের পরিচয় জানা হয়নি। পথে দুইজনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে এমন প্রশ্নে ওসি জানান, আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। পুলিশের এএসআই আবুল কালাম আজাদ এ প্রসঙ্গে বলেন, চারজনকে আটক করা হয়েছে কিন্তু দুইজন মাদকের সঙ্গে জড়িত নয়। তাই তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ছেড়ে দেয়া দুইজনের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আপনি ওসি স্যারের সঙ্গে কথা বলেন। আমি তাদের থানায় দিয়ে অন্য কাজে চলে যাই। আমি তার অনুমতি ছাড়া কিছুই বলতে পারব না।
×