ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

কুড়িগ্রামে বন্যায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দী ৫০ হাজার পরিবার

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ৭ জুলাই ২০১৮

 কুড়িগ্রামে বন্যায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দী ৫০ হাজার পরিবার

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ কুড়িগ্রামে ধরলা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমারসহ প্রধান নদ-নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব নদীর অববাহিকায় ২৫ ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ৫০ হাজার পরিবার। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্রে ৩৫, দুধকুমারে ৩২, ধরলায় ৪৬ ও তিস্তায় ২৫ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ২৮ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সদর উপজেলার হলোখানার সারোডোব এলাকায় মেরামত করা একটি বাঁধ ভেঙ্গে ৪ ইউনিয়নের ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। চর হলোখানা, চর সারোডাব, কাগজিপাড়া, বড়লই, চর জয়কুমার, কালুয়ারচর, চর বড়ভিটা গ্রামের অধিকাংশ এখন পানির নিচে। সারোডোবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে দুটি স্থানে মেরামত করা বাঁধ ও একটি বঁাঁশের পাইলিং ভেঙ্গে গেছে। গত দু দিনে সংলগ্ন ১০টি পরিবারের ভিটেমাটি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। অনেকেই রাস্তা ও বাঁধে তাঁবু ও চালা টাঙ্গিয়ে কোন মতে আশ্রয় নিয়ে আছে। দুধকুমার নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভুরুঙ্গামারী ও নাগেশ্বরী উপজেলার ১৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। রাজারহাট উপজেলার কালুয়ারচর এলাকায় মেরামত করা বাঁধটি ভেঙ্গে যাবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও এলাকাবাসী বালুর বস্তা ফেলে বাঁধটি রক্ষার চেষ্টা করছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, রাতে তিনি নিজে থেকে বাঁধ রক্ষার কাজ তদারক করেছেন। বর্তমানে বাঁধটি আশঙ্কামুক্ত বলে জানান তিনি। উল্লেখ, এই বাঁধটি ভেঙ্গে গত বছরের বন্যায় কুড়িগ্রাম- রংপুর সড়কসহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। তিস্তার পানিতে ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের ৫টি চর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত এলাকায় আমনের বীজতলা, ভুট্টা, কলাসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস জানিয়েছে, জেলায় ৪২৮টি স্কুলসহ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সুনামগঞ্জ ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, সুনামগঞ্জে পাহাড়ী ঢল ও টানা বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত আছে। শুক্রবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর ষোলঘর পয়েন্টে বিপদসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। দিরাই পয়েন্টে নদীর পানি ছিল বিপদসীমার ৫৩ সেমি উপরে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা আরও জোরাল হয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে বৃহস্পতিবার রাতে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় নদীর পানি কিছুটা কমেছে। কিন্তু শাখা নদী, খাল, নালা ও জলাশয়ে পানি বেড়ে যাওয়ায় জনদুর্ভোগ বেড়েছে। হাওড়ের দিকে পানি নেমে যাওয়া পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। এ দিকে, পানি বৃদ্ধির ফলে নদী তীরবর্তী ও হাওড় এলাকার নিম্নাঞ্চলে অন্তত শতাধিক গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। নিচু এলাকায় স্থাপিত কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনায়ও পানি প্রবেশ করায় বিদ্যালয়গুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। যেগুলো বন্ধ করা হয়নি সেগুলো কিছুটা ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করাচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে পাহাড়ী ঢলে পিয়াইন নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সুনামগঞ্জ-ছাতক আঞ্চলিক সড়কের খালারোকা নামক অংশের প্রায় ৩শত মিটার রাস্তায় পানি থাকায় জেলা সদরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে। এ দিকে সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর সড়কের সাবমারসিবল অংশের ৫শত রাস্তায় পানি থাকায় এই আন্তঃজেলা সড়কটিতেও জেলা সদরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া দোয়ারাবাজার, বিশ^ম্ভরপুর, তাহিরপুর, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ও সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট প্লাবিত রয়েছে। সুনামগঞ্জ পৌর শহরের তেঘরিয়া ও বড়পার এলাকায় সড়ক উপচে শহরে পানি ঢুকছে। প্লাবিত হয়েছে তেঘরিয়া নদীরঘাট ও তৎসংলগ্ন এলাকা। তবে সুনামগঞ্জে শহররক্ষা বাঁধ না থাকায় প্রতিবছর এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। জেলা প্রশাসক মোঃ সাবিরুল ইসলাম বলেন, যদিও এখনও বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি তবুও পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বন্যা মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঘুম কেড়েছে তিস্তার আতঙ্ক ॥ স্টাফ রিপোর্টার জানান, বর্ষায় তিস্তা নদীর গতিবিধি হয়ে উঠেছে অশান্ত। যখন গর্জে ওঠে তখন একূল ওকূল ছাপিয়ে ঢলের পানি তীব্র প্রবাহে শোঁ শোঁ শব্দে কাঁপিয়ে তোলে । একটু পানি কমলে দেখা দেয় ভয়াবহ ভাঙ্গন। যখন শুরু হয় থামে না। আবাদি জমি থেকে বসতভিটার রক্ষা নেই। বন্যা-ভাঙ্গনের আতঙ্ক এখন নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার তিস্তা বিধৌত ৯ ইউনিয়নের চর ও চরগ্রাম এবং বাঁধ এলাকায় বসবাসরত পরিবারগুলোর। তাদের ঘুম কেড়ে নিয়েছে তিস্তার আতঙ্ক। শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, ডিমলার ঝুনাগাছচাঁপানী, টেপাখড়িবাড়ি, পূর্বছাতনাই, খালিশাচাঁপানী, ডাউয়াবাড়ি, গোলমু-ার অনেকে আগ্রাসী তিস্তার কবল থেকে বাঁচতে বসতবাড়ি ভেঙ্গে নিতে শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেল হতে তিস্তা নদীর পানি নীলফামারীর ডালিয়া বাইশপুকুর পয়েন্টে বিপদসীমার (৫২ দশমিক ৬০) ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। শুক্রবার সকাল ৬টায় তিস্তার পানি বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার উপরে থাকলেও বেলা তিনটার পর হতে বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার (৫২ দশমিক ৪২ মিটার) নিচে চলে আসে। উজানের ঢল ও বৃষ্টি কম থাকায় আপাতত তিস্তার বন্যার উন্নতি হলেও বেড়েছে ভাঙ্গন। বিপদসীমা চলাকালীন তিস্তার পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে পথঘাট, আবাদি জমি লন্ডভন্ড করেছে। এখন পানি কমে ভাঙ্গছে নদীর পাড় ও চরগ্রাম। এদিকে বন্যার পানির তোড়ে বৃহস্পতিবার ১৩ পরিবারের পর শুক্রবার আরও ৮ পরিবারের বসতভিটা গিলেছে তিস্তা। পরিবারগুলো ভিটাবাড়ির বসতঘর ভেঙ্গে নিরাপদে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। ঝুনাগাছচাঁপানী ইউনিয়নের ১৫টি বসতবাড়ি ও পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের ৬টিসহ ২১টি বসতবাড়ির বাসিন্দারা বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। ভুক্তভোগী সোলেমান মিয়া বলেন, নদী আর ঘরের দূরত্ব এখন খুব অল্প। বাধ্য হয়েই এতদিনের পুরনো বসতবাড়ি ভেঙ্গে নিতে হচ্ছে। তার পাশে দাঁড়ানো রমজান আলী বলেন, আমার বাড়ি সরিয়ে নিতে হয়েছে। জানি না এভাবে কতদিন চলবে। আল্লা আমাদের ভরসা। তিস্তার পানির তোড়ে সোনাখুলীর কুঠিপাড়া যাবার কাঁচা সড়কটির একটি অংশ বিধ্বস্ত হয়েছে। তিস্তার বন্যার পানিতে ইউনিয়নের পূর্বখড়িবাড়ি ও দক্ষিণ খড়িবাড়ি মৌজা গ্রামের এক হাজার পরিবারের বসতঘর তলিয়ে গিয়েছিল বৃহস্পতিবার বিকেল হতে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত। দুপুরে সেই পানি নেমে যাওয়ায় বসতবাড়িগুলো কাঁদাপানিতে একাকার। পরিবারগুলোর দুর্গতি এমন যে রান্না করে খাওয়ার জো নেই। শুকনা খাবার তাদের একমাত্র ভরসা। এলাকার মরিয়ম বিবি বললেন, রাইতে ঘুম হয় না এখন। নদীর ডাক কখন শুরু হয় কে জানে। নদীর ডাক শব্দটি জানতে চাইলে বৃদ্ধা বললেন উজান হতে ঢল নামলে শব্দ করে বেশি। পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড়শিঙ্গেশ্বর গ্রামে দেড় হাজার পবিবার বন্যাকবলিত। তিস্তার ভাটিতে জলঢাকা উপজেলার ডাউয়াবাড়ি, গোলমু-ার তিস্তাপারের এলাকায় নদীর পানি প্রবেশ অব্যাহত। সেখানকার মানুষজন বলছে, বন্যার সময় আমাদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়। এবারও তাই হয়েছে। রাতে গবাদিপশুসহ বাঁধে আশ্রয় নিতে হয়। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, উজানের ঢলের কারণে তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে শুক্রবার সকাল ৬টা হতে বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বিকেল ৩টায় ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঢল সামাল দিতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ জলকপাট সর্বক্ষণিক খুলে রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীম জানালেন, বন্যা ও ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা করে সরকারী সাহায্য তাদের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে। জামালপুর ॥ গত কয়েক দিনের বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে যমুনা নদীর পানি অস্বাভাবিক বাড়তে থাকায় জামালপুরে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলি ইউনিয়নের দেওয়ানপাড়া এলাকায় যমুনা নদীর পূর্বপাড়ের বন্যা নিয়ন্ত্রণের পাইলিং বাঁধের নিচু স্থান দিয়ে (কজওয়ে) পানি ঢুকছে হুহু করে। ফলে যমুনা ঘেঁষা দেওয়ানপাড়া গ্রাম ও ডেবরাইপ্যাঁচ বাজারের দোকানপাট ও জনবসতি এলাকায় তীব্র ভাঙ্গনসহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, যমুনা নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় আরও বেড়ে শুক্রবার সকাল আটটা থেকে ১৯ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানিও বাড়ছে। গ্রামবাসী জানান, চিনাডুলি ইউনিয়নের যমুনা নদীর পূর্বতীর ঘেঁষা দেওয়ানপাড়া গ্রামের মসজিদের সামনে বন্যা নিয়ন্ত্রণের পাইলিং বাঁধের কিছু অংশ নিচু করে নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে গতবারের বন্যায় সেখান দিয়ে এক রাতের মধ্যে যমুনা নদীর পানি ঢুকে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে পুইয়াকাটা খালের সেতু ধসে যায় এবং বহু ঘরবাড়ি যমুনাগর্ভে বিলীন হওয়াসহ এলাকার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। গতবারের বন্যায় ধসেপড়া ওই সেতুটিও নতুন করে নির্মাণ করা হয়নি। ফলে একই ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে এবারও। গত কয়েকদিন ধরে যমুনার পানি অস্বাভাবিক বাড়তে থাকায় এবারও ঠিক একই স্থান দিয়ে যমুনার পানি হুহু করে পুইয়াকাটা খাল দিয়ে নিচু এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পানির স্রোতে যমুনা তীর ঘেঁষা দেওয়ানপাড়া এলাকার তোতা বেপারি, শাহজাদা বেপারি, লাল মিয়া, রেজাউল ইসলাম ও শাহীন মিয়ার পাঁচটি চারচালা ঘর পানির তোড়ে ও ভাঙ্গনে ধসে পড়েছে। স্থানীয় পুইয়াকাটা খাল ঘেঁষা ডেবরাইপ্যাঁচ বাজারের ২৯ দোকান মালিক ভাঙ্গন আতঙ্কে রয়েছেন। পুইয়াকাটা খাল দিয়ে যমুনার পানি প্রবল বেগে প্রবাহিত হওয়ায় স্থানীয় চিনাডুলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে পানি উঠেছে। খালের এপার ওপারের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে স্থানীয়রা চরম দুর্ভোগ ও শঙ্কায় রয়েছেন। স্থানীয়রা ঘরবাড়ি, মালামাল ও গবাদিপশু অন্যত্র নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন। পানির প্রবল স্রোতে পুটিয়াকাটা খালের ওপর নির্মিত ডেবরাইপ্যাঁচ বাজার-ইসলামপুর সড়কের বড় সেতুটির এপ্রোজের মাটি ও বালির বস্তাও ধসে পড়ছে। এতে করে এই সেতুটিও ঝুঁকিতে রয়েছে। স্থানীয়রা আরও জানান, যমুনার পানি এই পুইয়াকাটা খাল দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ইসলামপুর, পাশের মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদ ইউনিয়ন হয়ে জামালপুর সদরের কিছু অংশ, মাদারগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলার বিস্তীর্ণ নিচু এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বা স্থানীয় প্রশাসন কোন উদ্যোগ না নেয়ায় বাজারের দোকানপাট ও বাড়িঘর রক্ষায় ভাঙ্গন ঠেকাতে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম মিস্টার নিজ উদ্যোগে বাঁশপুতে পানির গতিপ্রবাহ পরিবর্তনের কাজ শুরু করেছেন। তিনি জরুরী ভিত্তিতে বিপুল পরিমাণ বালির বস্তা না ফেলে ভাঙ্গন ঠেকানোর দাবি জানিয়েছেন। জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নবকুমার চৌধুরী জানিয়েছেন, চিনাডুলি ইউনিয়নের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এখন একসঙ্গে এত বড় এলাকায় প্রতিরক্ষামূলক কোন কাজ করা সম্ভব নয়। আমরা এলাকা পরিদর্শন করে যেখানে খুবই জরুরী সেখানে ভাঙ্গন ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
×