ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভাণ্ডার ও জেমিনি শপিং সেন্টারকে জরিমানা

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ৩ জুলাই ২০১৮

ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভাণ্ডার ও জেমিনি শপিং সেন্টারকে জরিমানা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দই, মিষ্টি ও শনপাপড়ির প্যাকেটে পিঁপড়া থাকায় রাজধানীর বনানীর ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভাণ্ডারকে ৫০ হাজার টাকা ও মেয়াদ উত্তীর্ণ বিদেশী নকল পণ্য বিক্রর অভিযোগে জেমিনি শপিং সেন্টারকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের ভ্রাম্যমাণ আদালত এই দুই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করে। অভিযান তদারক করেন অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ। অভিযান পরিচালনা করেন ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রজবী নাহার রজনী। অধিদফতরের উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ বলেন, বনানীর ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে গিয়ে দেখা যায় তাদের তৈরি দই ও মিষ্টিতে পিঁপড়া। শনপাপড়ির প্যাকেটের ভেতরেও পিঁপড়া ভরা। দইয়ের পাতিলে ভাগ্যকূলের কোন সিল, তারিখ এবং দাম লেখা ছিল না। এমনকি মিঠাই বা শনপাপড়ি কোথায় থেকে বানিয়ে প্যাকেটে ভরে রেখে দিয়েছে। তার গায়ে কোন উৎপাদন তারিখ বা দাম লেখা নেই। যা আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয়। এ অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯-এর ৩৭ ধারা অনুযায়ী, ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভাণ্ডারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সময় মেয়াদ উত্তীর্ণ বিদেশী নকল পণ্য বিক্র ও পণ্যের মোড়কে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য না লেখার দায়ে রাজধানীর বনানীর জেমিনি শপিং সেন্টারকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শাহীন আরা মমতাজ বলেন, জেমিনি শপিং সেন্টার অবৈধ পন্থায় আনা (লাগেজ পার্টির) বিভিন্ন বিদেশী পণ্য সামগ্রী বিক্রি করছে। এসব পণ্যের মোড়কে উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ লেখা নেই। এছাড়া বিদেশী পণ্যের আমদানিকারকের নাম বা স্টিকার ছিল না।
×