ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কেশবপুরে পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত ১৮

প্রকাশিত: ০৬:২২, ১ জুলাই ২০১৮

কেশবপুরে পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত ১৮

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর, ৩০ জুন ॥ শনিবার সকালে কেশবপুরে ক্ষ্যাপা কুকুরের কামড়ে ১৮ জন মারাত্মক আহত হয়েছে। আহতদের কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রতিদিনই মানুষ কুকুরের কামড়ের শিকার হওয়ায় গোটা কেশবপুরে কুকুর আতঙ্ক বিরাজ করছে। চলতি জুন মাসে কুকুরের কামড়ে ৭৫ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। প্রশাসন এ ব্যাপারে নীরব ভূমিকা পালন করায় মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এলাকাবাসী ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, শনিবার সকালে কেশবপুরের বায়শা, বালিয়াডাঙ্গা, আলতাপোলসহ বিভিন্ন গ্রামে ক্ষ্যাপা কুকুরের কামড়ে মোট ১৮ জনকে কামড়িয়ে আহত করে। এর মধ্যে বায়শা গ্রামের ইয়াকুব আলীর মেয়ে রওশনারা ইয়াসমিন, সুফল রায়ের ছেলে সন্দীপ রায়, খাদের আলীর ছেলে জালাল আহম্মেদ, মিজানুর রহমানের ছেলে বিপ্লব, ভবানীপুর গ্রামের খঞ্জের আলীর ছেলে মোজাম গাজী, আলতাপোল গ্রামের হাসান আলীর মেয়ে হাবিবা, হযরত আলীর স্ত্রী আয়েশা খাতুন, বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের কামরুজ্জামানের মেয়ে তাসফিয়া, সাইদুর রহমানের ছেলে আবু মুসা, আতাউর রহমানের স্ত্রী রাবেয়া, মনিরুল ইসলামের মেয়ে রিমি, কুশলদিয়া গ্রামের আজিজুর রহমানের মেয়ে স্বপ্না, ব্যাসডাঙ্গা গ্রামের নিছার আলীর ছেলে আয়ুব আলী, বারুইহাটি গ্রামের মাদার সরদারের ছেলে এলাই বক্স, সুজাপুর গ্রামের আব্দুর সাত্তারের স্ত্রী ফিরোজা বেগম, বারিক মোল্লার ছেলে মোফাজ্জেল হোসেন, খায়রুল ইসলামের স্ত্রী নাজমুন্নাহার ও বেগমপুর গ্রামের ইউছুপ আলীর ছেলে আবুল বাসার। বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের রাবেয়া বেগম জানান, রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় পেছন থেকে কুকুর এসে ঝাঁপ দিয়ে হাতে কামড়ে ধরে। তাসফিয়ার দাদা আনার সরদার জানান, রাস্তা দিয়ে যাবার সময় ক্ষ্যাপা কুকুর তাসফিয়াকে হামলে ধরে কামড় দেয়। হাসপাতাল কর্মকর্তা ডাক্তার শেখ আবু শাহিন জানান, গত দু’তিন দিন কুকুরে কামড়ানো রোগী বেশি এসেছে। চলতি জুন মাসে মোট ৭৫ জন কুকুরে কামড়ানো রোগী ভর্তি হয়েছে। তাদের সরকারীভাবে জলাতঙ্ক রোগের ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে।
×