ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

নেতিবাচক অভ্যাস পরিবর্তন করবে ট্রাবলমেকার

প্রকাশিত: ০৭:৩২, ১ জুন ২০১৮

নেতিবাচক অভ্যাস পরিবর্তন করবে ট্রাবলমেকার

আমাদের সবারই কিছু না কিছু বদভ্যাস রয়েছে, যেগুলো সম্পর্কে আমরা সবসময় সচেতন নই। কিন্তু সহজ-সরল পথে যদি সেই বদভ্যাস তাড়ানো সম্ভব হয়, তাহলে ক্ষতি কী! জার্মানির এক বিশ্ববিদ্যালয় ঠিক সেই পথই দেখাবে। পরীক্ষামূলকভাবে যাঁরা টেলিভিশন দেখছেন, নতুন এক উদ্ভাবন সম্পর্কে তাঁদের রায় দিতে হবে। যেমন কোন বিষয় বিরক্তিকর ও ব্যাঘাত ঘটাচ্ছেÑ এমনটা সহজে বর্ণনা করা কঠিন। তবে এটা ঠিক যে, পুরো অভিজ্ঞতার মধ্যে যেন একটা ভুতুড়ে ছায়া রয়েছে। কিছুটা বিরক্তিকরও বটে। জার্মানির সিগেন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষকরা তথাকথিত ‘ট্রাবলমেকার’ নামের এই প্রযুক্তি সৃষ্টি করেছেন। এর কাজ হলো দৈনন্দিন জীবনে আমাদের বদভ্যাস ছাড়ানো। গবেষকরা এগুলিকে ট্রেনিং যন্ত্র হিসেবে বর্ণনা করেন। যেমন, এই যন্ত্রটির মাধ্যমে লিফট চড়া বন্ধ করে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করতে শেখানো হয়। বলা হয়, নিজেকে ফিট রাখতে কিছু কর। ৪ তলায় ছেড়ে দিচ্ছি। তারপর সিঁড়ি বেয়ে বাকি একতলায় যাও। ৩ তলা পর্যন্ত লিফটে উঠে, হেঁটে আরেক তলা ওঠার আইডিয়া আর নতুন কী! ড. মাটিয়াস এ প্রসঙ্গে বলেন, দৈনন্দিন জীবনে প্রায়ই চোখে যেন ঠুলি পরা থাকে। আমরা অভ্যাসের দাস হয়ে থাকি।’ এইসব আইডিয়া আমাদের সেই দশা থেকে মুক্তি দেবে, এমনটাই আশা। এই ওয়ার্কশপে সেগুলো পরখ করে দেখে কাজে লাগানো হয়। কিন্তু নিজের আচরণ আদর্শ করে তোলার জন্য কত প্রযুক্তিই না রয়েছে! যেমন দামী ঘড়ি আমাদের পদক্ষেপ মনিটর করে। প্রফেসর মার্ক হাসেনসাল বলেন, তার বদলে আমরা এমন কিছু করার চেষ্টা করছি, যা মানুষকে নতুন পরিস্থিতিতে ফেলবে, নতুন সিদ্ধান্ত নিতে উদ্বুদ্ধ করবে। নিজেকে পরিবর্তন করার লক্ষ্যে বস্তুটিকে অদ্ভুত এক যন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা প্রায়ই খুব সহজ হতে পারে। ট্রাবলমেকার ক্ষণিকের জন্য আমাদের রুটিন ভেঙে দেবে। সেই মুহূর্তকে বলা হয় ‘কি মোমেন্ট’। ড. মাটিয়াস বলেন, ব্যাপারটা এভাবে চলে। একদিকে আমি গাড়ির চাবি ঝুলিয়ে দিতে পারি, কারণ, মাঝে মাঝে তো গাড়ি চড়তেই হয়। কিন্তু সাইকেলের চাবিও ঝোলানো সম্ভব। গাড়িতে উঠতে গেলে ‘কি মোমেন্ট’ একটা প্রস্তাব দেবে। সাইকেলের চাবি পড়ি যাবে। তখন বাধ্য হয়ে ভাবতে হবে, গাড়ি চালানোই কি সঠিক সিদ্ধান্ত? দৈনন্দিন জীবন থেকেই আরও আইডিয়া পাওয়া সম্ভব। যেমন, বিদ্যুত সাশ্রয় করার জন্য একটি আইডিয়া রয়েছে। ড. মাটিয়াস বলেন, টিভির শব্দ নিজেরাই চালু অথবা বন্ধ কর। কাজ হয়ে গেলে তোমরা টিভি আবার বন্ধ করে দিলে ভাল হয়। সবসময় টিভি চালু রাখার প্রয়োজন নেই। তারপর বেরিয়ে এসো। স্বেচ্ছাসেবীরা জানেন না, টিভি দেখার আরামদায়ক সময় শেষ হলেই ‘ট্রাবলমেকার’ জেগে উঠবে। ড. মাটিয়াস বলেন, ট্রাবলমেকার টিভি স্ট্যান্ডবাই মোডে রেখে অযথা বিদ্যুত খরচ করা যন্ত্রটি একেবারেই পছন্দ করে না। তখন সে খুবই অস্থির হয়ে পড়ে। প্লাগ খুলে নেওয়া অথবা টেলিভিশন ঠিকমতো বন্ধ করার কথা ভাল করে মনে করিয়ে দেয় ট্রাবলমেকার। সূত্র : ডয়েচ ভেলে
×