ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ফেসবুক, গুগল ও ইউটিউব বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কোটি কোটি ডলার নিয়ে যাচ্ছে ;###;সরকার কোন রাজস্ব পাচ্ছে না

ইন্টারনেট জায়ান্টের চুরি

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ২৭ মে ২০১৮

ইন্টারনেট জায়ান্টের চুরি

রহিম শেখ ॥ গুগল-ফেসবুক ও ইউটিউব। শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারা বিশ্বেই এসব প্রযুক্তি মাধ্যম এখন প্রাত্যহিক জীবনে অবিচ্ছেদ্য অংশ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা এখন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে বিজ্ঞাপন দেখতে আগ্রহী। দিন দিন এর ব্যবহারও বাড়ছে। বাড়ছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যাও। এ সুযোগে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের ফাঁক গলে দেশ থেকে বছরে কোটি কোটি ডলার নিয়ে যাচ্ছে ইন্টারনেট জায়ান্ট এসব প্রতিষ্ঠান। বিপুল অঙ্কের অর্থ কামিয়ে নিলেও সরকারকে এক পয়সাও রাজস্ব দিচ্ছে না। বিজ্ঞাপনদাতারা তাদের অর্থ ক্রেডিট কার্ডে ডলারে পরিশোধ করছেন। সেটাও হচ্ছে অবৈধভাবে। এর বাইরে অনলাইন মার্কেটিংয়ের বেশিরভাগ লেনদেন হচ্ছে হুন্ডিতে। প্রতি বছর ইন্টারনেটে বিজ্ঞাপন বাবদ কত ডলার বিদেশে যাচ্ছে তার সঠিক হিসাবও নেই কারও কাছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রাজস্ব ও শুল্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গুগল ও ফেসবুক চুক্তি করতে বাধ্য হয়েছে। বাংলাদেশেও এমন চুক্তি করা গেলে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব সরকার পাবে বলে মনে করছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। জানা গেছে, বাংলাদেশে ১৬০০ কোটি টাকার বিজ্ঞাপন বাজার রয়েছে। মূলত প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও ওয়েব; এই তিনটি মাধ্যমকে ব্যবহার করে টিকে আছে বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন বাজার। কিন্তু বর্তমান মোট বিজ্ঞাপনী বাজারের ৬২ শতাংশই আন্তর্জাতিক ডিজিটাল প্লাটফর্মে চলে যাচ্ছে। আর ধারণা করা হচ্ছে- ২০১৮ সাল শেষে তা দ্বিগুণ বেড়ে ২০০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। কিন্তু এক্ষেত্রে সরকারে সঠিক তদারকি ও নীতিমালার অভাবের কারণে বাংলাদেশ প্রতিবছর হারাচ্ছে প্রায় হাজার কোটি টাকা। সূত্র মতে, দেশে দ্রুত গতিতে বিস্তার ঘটছে অনলাইনভিত্তিক ই-কমার্স ও ফেসবুকভিত্তিক এফ-কমার্স ব্যবসা। ব্র্যান্ডিং-এর জন্য ফেসবুক-গুগল-ইউটিউবের মতো অনলাইন মাধ্যমগুলো ব্যবহার হচ্ছে। বিপণনের জন্যও ব্যবহার হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। বড় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর একেকটি ডিজিটাল বিজ্ঞাপনে প্রতি মাসে গড়ে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা খরচ করে। ফেসবুকভিত্তিক বাণিজ্যিক সাইটগুলো তাদের ব্যবসা বাড়াতে প্রতিদিন খরচ গড়ে ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা। অনলাইনে যারা পণ্য বিক্রি করেন এবং যারা বেসিসের সদস্য তারা ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠাতে পারেন। তবে তা খুব সামান্য। বড় কোম্পানিগুলো এ লেনদেন করে ডিজিটাল এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে। যারা প্রায় ৯০ শতাংশ অর্থই পরিশোধ করছে হুন্ডির মাধ্যমে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেসিসের সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুর জনকণ্ঠকে বলেন, ইচ্ছে করলেই প্রযুক্তিকে ধরে রাখা সম্ভব নয়। তেমনি ডিজিটাল বিজ্ঞাপন রোধ করা যাবে না। তবে ফেসবুক-গুগলের সঙ্গে আলোচনা করে সরকার এখান থেকে কিভাবে রাজস্ব আদায় করতে পারে সেটি খুঁজে বের করতে হবে। সূত্র বলছে, গুগল ও ফেসবুকের বাংলাদেশে কোন অফিস না থাকায় তারা দেশের প্রচলিত আইনকে তোয়াক্কা করছে না। অথচ যে কোন দেশে ব্যবসা পরিচালনার প্রধান শর্ত হচ্ছে ওই দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া। এ দুই ইন্টারনেট জায়ান্ট কত আয় করছে সেটি প্রকাশ করছে না বা করার প্রয়োজনও মনে করছে না। এর ফলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। বাংলাদেশের বিজ্ঞাপনের বাজার প্রসঙ্গে ফেসবুকের দিল্লী অফিসের কর্মকর্তা কুশাগ্র সাগরের কাছে দুই সপ্তাহ আগে মেইল পাঠানো হলে তিনি কোন উত্তর দেননি। মূলত গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিতে হলে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও তার সঙ্গে ৪ শতাংশ উৎসে কর দিতে হয়। গুগল-ফেসবুক এসব না মানায় বিপুল পরিমাণ রাজস্ব সরকার শুধু হারাচ্ছেই না পাশাপাশি বিপুল অঙ্কের টাকা ডলারে বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি নিউজ পেপার্স ওনার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) গুগল ও ফেসবুকের এ অর্থপাচারের কাহিনীর বর্ণনা দিয়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে একটি ধারণাপত্র পৌঁছে দেয়। সেখানে বলা হয়েছে, একজন বিজ্ঞাপনদাতা যদি ডিজিটাল বিজ্ঞাপনে এক ডলার ব্যয় করেন তার ৬০ ভাগই (৬০ সেন্ট) চলে যাচ্ছে গুগল ও ফেসবুকে। ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের প্রবৃদ্ধিতে সবাইকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে ফেসবুক। ২০১৬ সালের প্রথম প্রান্তিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপনের প্রবৃদ্ধি পায় ৫৭ ভাগ। এ সময় বিজ্ঞাপনের আকার ৩৩০ কোটি ডলার থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ৫২০ কোটিতে। ২০১৭ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি কিছুটা কমে গিয়ে দাঁড়ায় ৫০ ভাগে। তবে মোট আয় ৪৪.৮ ভাগ বেড়ে দাঁড়ায় ৯৩২ কোটি ডলারে। ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্য ছাড়াও আয়ারল্যান্ড এবং জার্মানিসহ ইউরোপের অনেক দেশ গুগল ও ফেসবুককে জবাবদিহির মধ্যে আনার উদ্যোগ নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ২০১৫ সালে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে গুগলের চুক্তি সই হয়। তারা বকেয়াও পরিশোধ করেছে যুক্তরাজ্যকে। যুক্তরাষ্ট্রও তাদের জবাবদিহিতার আওতায় এনেছে। ২০১২ সালে ফেসবুকের আয়কর বিবরণীতে দেখা যায়, ফেসবুক তাদের আয়ের ৬৪.৫ কোটি পাউন্ড কর স্বর্গখ্যাত কেম্যান আইল্যান্ডে পাচার করেছে। বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞাপন থেকে তাদের যে রাজস্ব আসে তা এখানে জমা হয়। ২০১২ সালে ফেসবুক ১৫০ কোটি পাউন্ড আয় করলেও আইরিশ সরকারকে কর দেয় মাত্র ৪৪ লাখ পাউন্ড। আয়ারল্যান্ডে রয়েছে ফেসবুকের সহযোগী অফিস। কর ফাঁকি দিয়ে অর্থ নিজ দেশে নিয়ে যেতে ফেসবুক ‘ডাবল আইরিশ’ নামের একটি জটিল ওয়েব সাবসিডিয়ারি পরিচালনা করে। তারা আমেরিকান বহুজাতিক সংস্থাগুলোর নিয়োজিত বলে দেখানো হয়েছে। গুগল-ফেসবুকে সরাসরি বিজ্ঞাপন দেয় এমন একটি দেশীয় প্রতিষ্ঠানের বিপণন বিভাগের প্রধান মনজুর হোসেন জনকণ্ঠকে জানান, কম খরচে পণ্যের বিজ্ঞাপন নির্দিষ্ট শ্রেণীর ক্রেতা-দর্শকের কাছে পৌঁছে দেয় গুগল-ফেসবুক। অথচ ওই অর্থ খরচ করে কোন অনলাইন সংবাদ মাধ্যম বা সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেয়া সম্ভব নয়। আর তাতে ভাল সাড়া পাওয়া যায় না। কারণ একজন ক্রেতা বা দর্শক সব সংবাদপত্র ও অনলাইনের পাঠক নন। এদিক থেকে গুগল-ফেসবুক ক্রেতা-দর্শককে বিজ্ঞাপন দেখাতে বাধ্য করে। তিনি বলেন, দেশীয় প্লাটফর্মে বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে কোন নির্দিষ্ট অঞ্চলের ভোক্তার কাছে পণ্য নিয়ে পৌঁছানো যায়। তবে ডিজিটাল প্লাটফর্মে বিজ্ঞাপন দেয়ার মাধ্যমে মুহূর্তে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব হয়। কিন্তু গুগল-ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেয়ার কারণে সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রাজস্ব ও শুল্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গুগল ও ফেসবুক চুক্তি করতে বাধ্য হয়েছে। বাংলাদেশেও এমন চুক্তি করা গেলে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব পাবে সরকার। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ক্রেডিট কার্ড বা হুন্ডির মাধ্যমে ফেসবুক বা গুগলে বিজ্ঞাপন দেয়া বন্ধ করা যাবে না। এটি রোধ করার মতো কারিগরি ক্ষমতাও খুব একটা নেই। ভবিষ্যতে অনলাইন বিজ্ঞাপনের বাজার আরও বাড়বে। তবে সঠিক নজরদারির মাধ্যমে পরিমাণ কমিয়ে আনা সম্ভব। ফলে এ খাতে এখনই সরকারকে দৃষ্টি দিতে হবে। ২০১৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিদেশী মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেয়ার একটি নির্দেশনা জারি করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, বিদেশী ইলেকট্রনিক বা অনলাইন মিডিয়ায় বাংলাদেশী পণ্যের বিজ্ঞাপন বাবদ বৈদেশিক মুদ্রা ছাড়ের ক্ষেত্রে চুক্তি ও ইনভয়েসের মাধ্যমে বিজ্ঞাপনের যথার্থতা এবং সঠিকতা নিরূপণসহ প্রযোজ্য করাদি কর্তন করতে হবে। অথচ বিগত সময়ে এ নির্দেশনা মেনে কোনো প্রতিষ্ঠান বিদেশে টাকা পাঠায়নি। কথা হয় বেসিসের সাবেক সভাপতি শামীম আহসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে অফিস না করলে গুগল-ফেসবুককে প্রচলিত আইনের আওতায় আনা সম্ভব নয়। এজন্য সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, সঠিকভাবে অনলাইন মার্কেটিং করতে না পারার কারণে দেশের ই-কমার্স সাইটগুলো পিছিয়ে পড়ছে। বেসিসের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ বিদেশে পাঠানো যায়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, বহুজাতিক কোম্পানিগুলো এর চেয়ে বেশি অর্থ খরচ করছে, যেমন উবার। এসব বিষয়ও ভাববার সময় এসেছে। সূত্র মতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদিত অর্থ পরিশোধ প্রক্রিয়াগুলো কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে তার অপব্যবহারই হচ্ছে বেশি। ক্রেডিট কার্ড, রেসিডেন্স ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট (আরএফসিডি) কার্ড, ফরেন কারেন্সি রেমিট্যান্স কোটার মাধ্যমে অর্থপাচার হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র দেবাশীষ চক্রবর্তী জনকণ্ঠকে জানান, অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগের বরাবর আবেদন করতে হয় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা বিজ্ঞাপনী এজেন্সিকে। আবেদনসমূহ মুদ্রানীতি বিভাগ কেস টু কেস ভিত্তিতে বিবেচনা করে অনুমোদন প্রদান করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনপত্রে স্পষ্টভাবে বিদ্যমান বিধিবিধান অনুযায়ী ট্যাক্স, ভ্যাট কর্তন/পরিশোধের বিষয়টি নিশ্চিত করে রেমিট্যান্স আকারে টাকা পাঠানোর অনুমোদন প্রদান করে। তবে এসব নিয়মকানুন মেনে অনলাইন মার্কেটিংয়ের লেনদেন পরিশোধ করতে আগ্রহী নয় এজেন্সিগুলো। রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত টেক্সবার্ট নামের একটি এজেন্সির প্রধান নির্বাহী আসিফুর রহমান জানান, অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগের বরাবর আবেদন করতে হলে অনেক কাগজপত্র দেখাতে হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে রেমিট্যান্স আকারে টাকা পাঠাতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকে ডেপুটি গবর্নর আবু হেনা মোহাঃ রাজী হাসান বলেন, বর্তমানে ব্যবসাভিত্তিক অর্থপাচার বাড়ছে। তবে অর্থপাচার প্রতিরোধে কাজ করছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফইউ)। গুগল-ইউটিউব-ফেসবুকের রাজস্ব ফাঁকির বিষয়ে সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-এর প্রধান ও বাংলাদেশ টেলি কমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে ডিমান্ড অব জাস্টিস নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহিন এম রহমান। ওই নোটিশে তিনি বলেন, সাবস্ক্রিপশন প্লাটফর্ম বাংলাদেশে বিনা পুঁজিতে শত শত কোটি টাকার ব্যবসা করে নিচ্ছে। গুগল, ইউটিউবের ব্যবসা হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে আরও আগেই। ‘ব্যবসা করতে ক্ষতি নেই, কিন্তু তা করতে হবে বৈধ পথে,’ এমন মত দিয়ে তিনি বলেন, ব্যবসা থেকে যে অর্থ এই প্রতিষ্ঠানগুলো পাচ্ছে তার প্রায় সবটাই যাচ্ছে অবৈধ পথে অর্থপাচারের বহুল প্রচলিত ব্যবস্থা হুন্ডির মাধ্যমে। অন্যটি হচ্ছে ক্রেডিট কার্ড চার্জিংয়ের অপব্যবহারের মাধ্যমে। এর আগে একই বিষয়ে গত এপ্রিলে সরকারের বিভিন্ন দফতরে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রীমকোর্টের ৬ আইনজীবী। নোটিশে বাংলাদেশ থেকে গুগল, হোয়াটসঅ্যাপ, ইয়াহু, অ্যামাজন, ইউটিউব ও ফেসবুক গত ১০ বছরে অনলাইনে কত টাকা আয় করেছে এবং এই টাকার ওপরে সরকার কত শতাংশ রাজস্ব (ভ্যাট) আদায় করতে পেরেছে তা জানতে চাওয়া হয়।
×