নিজস্ব সংবাদদাতা, মানিকগঞ্জ, ২৫ মে ॥ মানিকগঞ্জের ঘিওরে বাবার সঙ্গে পূজা দেখতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক স্কুলছাত্রী। এ ঘটনায় তিনজনের নামে মামলা হলেও, এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে তিন যুবককে অভিযুক্ত করে ঘিওর থানায় মামলা দায়ের করেন নির্যাতিতার ভাই।
নির্যাতিতার ভাই জানান, তার বোন মানিকগঞ্জ শহরের একটি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়েন। বাবার সঙ্গে ঘিওর উপজেলার কলতা গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে পূজা অনুষ্ঠানে যান। ২২ মে রাত ৮টার দিকে অনুষ্ঠানস্থল থেকে তাকে ডেকে নিয়ে যায় একই গ্রামের জসিম মিয়ার ছেলে জনি (২০)। এরপর তাকে পাশের ফাঁকা মাঠে নিয়ে জনি ছাড়াও একই এলাকার বাবলু মিয়ার ছেলে রুবেল (২৬) ও ইয়াদ আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম (২৫) তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনার পর এলাকার ইউনুস, রফিক, শাহজাহান তাদের হাতে ধরে ফেললেও পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় ইউপি মেম্বার মজিবর রহমানসহ সমাজপতিরা তাদের মামলা না করতে চাপ দিতে থাকেন। ১ লাখ টাকা নিয়ে ঘটনা আপোস মীমাংসা করতে বলেন তারা। এতে রাজি না হওয়ায় নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেয়া হচ্ছিল। কিন্তু তাদের হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করে বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনায় ওই তিন যুবককে অভিযুক্ত করে ঘিওর থানায় মামলা দায়ের করেন নির্যাতিতার ভাই।
ঢাকা, বাংলাদেশ শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
