ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ০৬:২২, ১৮ মে ২০১৮

ঝলক

এনার্জি-পজিটিভ হোটেল নরওয়েতে ’২১ সালে এসভার্ট নামে বিশ্বের প্রথম এনার্জি-পজিটিভ হোটেল চালু হতে যাচ্ছে উত্তর নরওয়ের হেলগোল্যান্ড উপকূলে। নরওয়ের আলম্লফজিয়েলেট পর্বতের পাশ ঘেঁষে এটি নির্মাণ করা হবে। এলাকাটি ভৌগোলিকভাবে আর্কটিক সার্কেলের অন্তর্ভুক্ত। এনার্জি-পজিটিভ মানে যতটুকু শক্তি ব্যয় করা হবে তার চেয়ে বেশি শক্তি উৎপাদিত হবে। নরওয়ের মূল ভূখ-ের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম হিমবাহ এসভার্টিসেনের পাদদেশে এ হোটেলটি নির্মিত হবে। এর ডিজাইন করছে আন্তর্জাতিক স্থাপত্য ফার্ম স্নোহিটা। আর্কটিক এ্যাডভেঞ্চার অব নরওয়ে এবং রিয়েল এস্টেট কোম্পানি মাইরিস যৌথভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থায়ন করছে। প্রকল্পে জিওথার্মাল ও সোলার এনার্জি তৈরির মাধ্যমে হোটেলটির সব কাজ চলবে। স্নোহিটার এসভার্ট প্রজেক্ট ম্যানেজার জেনুল খান বলেন, আর্কটিকের প্রকৃতি একইসঙ্গে ভঙ্গুর এবং বিশুদ্ধ। আমরা এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই এমনভাবে হোটেলটি নির্মাণ করব যাতে এসভার্টিসেন হিমবাহটি আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। হোটেলটির ছাদের ৫১ হাজার বর্গফুট জায়গা জুড়ে সোলার প্যানেল বসানো হবে। এ থেকে উৎপাদিত শক্তি হোটেলটির দৈনন্দিন রক্ষণাবেক্ষণের কাজে যতটুকু শক্তি দরকার তার থেকেও অনেক বেশি হবে। নরওয়ের বিখ্যাত রুবরু নামক ফিশিং ভিলেজের আদলে হোটেলটি বানানো হবে পরিবেশবান্ধব কাঠ ও পাথর দিয়ে। বৃত্তাকার রিং আকৃতির হোটেলটি বানাতে এ রকম ব্যবস্থা নেয়া হবে যার মাধ্যমে শক্তি খরচ হবে প্রচলিত হোটেল নির্মাণের ৮৫ শতাংশেরও কম। ব্যতিক্রমধর্মী টেরাস নির্মাণের মাধ্যমে গ্রীষ্মকালে প্রাকৃতিকভাবে গরম কমানোর ব্যবস্থা থাকবে। আর জিওথার্মাল দেয়াল নির্মাণের মাধ্যমে শীতে গরমের ব্যবস্থা করা হবে। হোটেলটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয়টি হচ্ছে এর সবগুলো রুম থেকে ৩৬০ ডিগ্রী এ্যাংগেলে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখা যাবে। প্রত্যেকটি কক্ষের বাসিন্দারা আর্কটিকের অসাধারণ দৃশ্যাবলী উপভোগ করতে পারবেন। একেক রুমের বাসিন্দা একেকভাবে আর্কটিককে দেখার সুযোগ পাবেন। গ্রীষ্মকালে দর্শনার্থীরা এসভার্টিসান হিমবাহে কায়াকিং, হাইকিং ও সাইক্লিং করতে পারবেন। আর শীতকালে উপভোগ করতে পারবেন আর্কটিকের মনমাতানো নর্দার্ন লাইট। -সিএনএন যে গাড়ি টানতে পারে বিমান বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণে বিশ্বের প্রথম সারির প্রতিষ্ঠান টেসলা। ইলন মাস্কের এই প্রতিষ্ঠান বৈদ্যুতিক গাড়ির পাশাপাশি চালকবিহীন স্বচালিত গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানও। টেসলা গাড়ির মডেল এক্স এসইউভি এতটাই শক্তিশালী যে, এটি একটি বৃহদাকার বিমানকেও টেনে নিয়ে যেতে পারে। আর এর মাধ্যমেই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নিজের নাম লিখিয়ে নিল টেসলার এক্স এসইউভি মডেলটি। টেসলা গত মঙ্গলবার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে দেখা গেছে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিমানবন্দরে একটি ট্যাক্সিওয়েতে প্রায় ১,০০০ ফুট লম্বা এবং ২৮৭,০০০ পাউন্ড ওজনের একটি বোয়িং বিমানকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে এসইউভি। বিমানটি কোয়ান্টাস এয়ারওয়েজের। টেসলা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, টেসলার এসইউভি মডেলের গাড়ির এটি একটি বিশাল কৃতিত্ব। মডেলটি মূলত ৫,৫০০ পাউন্ড ওজন টেনে নিতে সক্ষম। টেনে নেয়ার সময় বোয়িং ৭৮৭ বিমানটির ট্যাঙ্কে অল্প পরিমাণে জ্বালানি ছিল, তবে কোন যাত্রী বা মালামাল বহন করছিল না। কোয়ান্টাস এয়ারওয়েজ অস্ট্রেলিয়ার দুটি বিমানবন্দরের মধ্যে খুব কম দূরত্বে বিমান টানার জন্য বৈদ্যুতিক টগ ব্যবহার করে। কোয়ান্টাস কর্তৃপক্ষের মতে, গাড়ির বিমান টানার ঘটনাটি সবাইকে হতভম্ব করে দিয়েছিল। ২০১১ সালে একটি কোয়ান্টাস বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমান এস্তোনিয়ান রানওয়েতে টেসলার এস পি৯০ডি মডেলের গাড়ির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমেছিল। প্রতিযোগিতাটি খুবই কঠিন ছিল যেখানে টেসলা গাড়ির গতি ছিল ঘণ্টায় ১৫৫ মাইল এবং বিমানটি রানওয়ে ছাড়ার পূর্ব মুহূর্তে তার গতি ছিল ঘণ্টায় ১৬০ মাইল। তবে টেসলার এক্স এসইউভি মডেলের গাড়ির বিমান টানার ঘটনাটি নিঃসন্দেহে বাজারে গাড়িটির বিক্রি বাড়াবে। -সিএনএন
×