ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

উখিয়া টেকনাফে স্থানীয় বাসিন্দার চেয়ে রোহিঙ্গা প্রায় আড়াই গুণ

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ৫ মে ২০১৮

উখিয়া টেকনাফে স্থানীয় বাসিন্দার চেয়ে রোহিঙ্গা প্রায় আড়াই গুণ

চট্টগ্রাম অফিস/স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন বা পুনর্বাসন যতই বিলম্বিত হচ্ছে উখিয়া টেকনাফের জনজীবনের সার্বিক পরিবেশ ততই অবনতির দিকে গড়াচ্ছে। উখিয়া টেকনাফের স্থানীয় জনমানুষের সংখ্যা সর্বোচ্চ ৫ লাখ। অথচ সেখানে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা ১২ লাখ ছুঁই ছুঁই করছে। এসব রোহিঙ্গা ইতোমধ্যে বিপুল পরিমাণ বনভূমি উজাড় করেছে। পাহাড়ের পর পাহাড় কেটে ন্যাড়া করেছে। চিংড়ি ঘের, জুম চাষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এলাকার শ্রমবাজার এই রোহিঙ্গারা দখলে নিয়েছে। জ্বালানি কাজে ব্যবহারের জন্য পানের বরজের খুঁটিও নিঃশেষ করে দিচ্ছে। অপরদিকে, মানবতার কারণে রোহিঙ্গা আশ্রিত হলেও বেআইনী এমন কোন কাজ নেই যাতে এরা সম্পৃক্ত হচ্ছে না। মাদক ব্যবসা, মানব পাচার, চুরি-ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধে ক্রমাগত জড়িয়ে থাকার কারণে এলাকার পরিবেশ কেবলই বিপর্যয়কর অবস্থায় চলে যাচ্ছে। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও রোহিঙ্গাদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। স্থানীয়দের তুলনায় এদের সংখ্যা আড়াইগুণ বেশি হওয়ায় তারাই এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছে। প্রশাসনও রোহিঙ্গাদের সবদিক থেকে প্রাধান্য দেয়ার কারণে স্থানীয়রা দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে তাদের অপরাধের বিষয় নিয়ে প্রশাসন স্থানীয়দের অগ্রাধিকার না দেয়ার অভিযোগ ব্যাপক। এরপরও স্থানীয়রা আশায় চেয়ে আছেন কখন অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা উখিয়া, টেকনাফ অঞ্চল থেকে প্রত্যাবাসিত বা পুনর্বাসিত হবে।
×