ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

দায়সারা সংস্কার ॥ এলাকাবাসীর বিক্ষোভ

নীলফামারীতে দুই দিনেই উঠে গেল সড়কের কার্পেটিং

প্রকাশিত: ০৬:৩৫, ২৯ এপ্রিল ২০১৮

নীলফামারীতে দুই দিনেই উঠে গেল সড়কের কার্পেটিং

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ও দায়সারাভাবে সড়কের সংস্কারের কাজের কার্পেটিং করার দুই দিনের মাথায় ওঠে গেছে। ফলে ইটের খোয়া বের হয়ে যাওয়ায় সড়কের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকালে কিশোরীগঞ্জ উপজেলার চাঁদখানা মাঝাপাড়া গ্রামে। পরে সিডিউল অনুযায়ী সড়কের নির্মাণ কাজ করার দাবিতে এলাকাবাসী সড়কের ওপর অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জানা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের আওতায় নর্দান বাংলাদেশ ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট বাংলাদেশ সরকার ও জাইকার অর্থায়নে ৪ কোটি ৬৬ লাখ ৫৪ হাজার ২শ ৯৮ টাকা ৩২ পয়সা ব্যয়ে চাঁদখানা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কেল্লাবাড়ি হাট ভায়া দর্জিবাড়ি, বুড়ির হাট এবং চাঁদখানা ঘাট উন্নয়নে ৮ দশমিক ৮৬৫ কিলোমিটার রাস্তার উন্নয়ন করার প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। টেন্ডারে কাজটি পায় নওগাঁ জেলার মুক্তির মোড়ের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসআই, জেসমিন জয়েন্টভেঞ্চার । শুক্রবার এলাকাবাসীর অভিযোগে সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কেল্লাবাড়ি বাজার থেকে শুরু করে সারোভাষা ব্রিজ পর্যন্ত ২ দশমিক ৬০০ মিটার সড়কের কাজ শেষ করে সারোভাষা ব্রিজ থেকে মাঝাপাড়া পর্যন্ত ১ দশমিক ৭০০ মিটার রাস্তা ডব্লিইভিএম করে রেখে চলে যান। পরে ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে মার্চ মাসে মাঝাপাড়া মোড় হতে চাঁদখানা বুড়িরহাট হয়ে সড়কের শেষ সীমানা পর্যন্ত বক্স কাটিং, সাববেজ ও ডব্লিইভিএম করে। চাঁদখানা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজার রহমান বলেন, কার্পেটিংয়ে থিকনেস ২৫ মিলি দেয়ার নিয়ম থাকলেও ঠিকাদার ২৫ মিলির কম দিয়েছে তাই কার্পেটিংয়ের দুই দিনের মাথায় তা উঠে গেছে। তবে ঠিকাদার নওশাদ আলী বলেন, কাজের ক্ষেত্রে একটু ভুলত্রুটি হতে পারে। সেটি দেখার জন্য এলজিইডির উর্ধতন কর্মকর্তারা আছেন। তারা বিষয়টি দেখবেন। সাংবাদিকরা যা দেখেছেন লিখতে পারেন। কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা উপজেলা এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী নইমুল ইসলাম বলেন, কাজে কোন অনিয়ম হয়নি। তবে সড়কে কার্পেটিং করার সময় বৃষ্টি হওয়ায় কিছু জায়গায় কার্পেটিং উঠে যাওয়ায় এ অবস্থা হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী এস এম কেরামত আলী নান্নু বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি, তবে কাজে যাতে কোন অনিয়ম না হয় সে বিষয়ে দেখা হচ্ছে।
×