ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাঙ্গাবালীতে রাস্তা নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ২৬ এপ্রিল ২০১৮

রাঙ্গাবালীতে রাস্তা নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কাবিটা অর্থাৎ কাজের বিনিময় টাকা কর্মসূচীর আওতায় পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার সদর ইউনিয়নে মাটির রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রকল্প সভাপতি প্রাক্কলন বা এস্টিমেট অনুসরণ না করেই রাস্তাটি নির্মাণ করছেন। এর ফলে প্রকল্পের উদ্দেশ্য ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। জানা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রথম পর্যায়ের কাবিটা কর্মসূচীর আওতায় উপজেলার রাঙ্গাবালী ইউনিয়নের বাহেরচর পশু হাসপাতাল থেকে সামুদাফাত সড়ক পর্যন্ত প্রকল্পে ২৫শ’ ফুট দৈর্ঘ্যরে মাটির রাস্তা নির্মাণের জন্য ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ কাজের প্রকল্প সভাপতি বাহেরচর ১ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মশিউর রহমান শিমুল। এস্টিমেট অনুযায়ী রাস্তাটি নির্মাণে উপরিভাগে চওড়া ১২ ফুট, তলায় চওড়া ২৪ ফুট এবং উচ্চতা ৪ ফুট করার কথা। শর্ত অনুযায়ী আগামী ৩০ এপ্রিল রাস্তাটির নির্মাণকাজ শেষ করতে হবে। স্থানীয়রা জানায়, ওই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে হলে প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ প্রয়োজন। কিন্তু সেখানে মাত্র ২৫শ’ ফুট রাস্তা নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তাতে পুরো রাস্তাটি নির্মাণ করা সম্ভব হবে না। সরজমিনে দেখা গেছে, বিস্তীর্ণ কৃষি জমির মাঝ দিয়ে ইউনিয়নের বাহেরচর নির্মাণাধীন পশু হাসপাতাল থেকে সামুদফাত পর্যন্ত এক হাজার ফুট মাটির রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। ইঞ্চি ফিতার মাপ অনুযায়ীÑএস্টিমেট অনুসরণ না করে উপরিভাগে চওড়া ৮-৯ ফুট, তলায় চওড়া ১৫-১৭ ফুট ও উচ্চতা ৩ ফুট করে রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়। বাকি ১৫শ’ ফুট রাস্তার নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। অথচ আগামী আর মাত্র ৫ দিনের মধ্যে এ কাজ শেষ করার কথা। জানা গেছে, পশু হাসপাতাল থেকে সামুদাফাত সড়কের আশপাশে বসবাসরত মানুষের সহজ যোগাযোগের জন্য ওই রাস্তাটি নির্মাণÑএলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি। এ দাবি বাস্তবায়ন হচ্ছে, তবে নিয়ম ছাড়া অনিয়মের মাধ্যমে। ইউপি সদস্য শিমুল যেনতেন করে রাস্তাটির নির্মাণ কাজ করছে। ইতোমধ্যে যতটুকু নির্মাণ করা হয়েছে, বৃষ্টি-বর্ষা হলে সেটুকুও পানিতে ভেসে যাবে। ফলে এ রাস্তা নির্মাণ এলাকাবাসীর তেমন উপকারেই আসবে না। জানতে চাইলে প্রকল্পের সভাপতি বাহেরচর ১ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মশিউর রহমান শিমুল বলেন, হাইট আর নিচে মনে হয় একটু কম আছে। তবে ওয়াপদা থেকে মানুষ যে পর্যন্ত দখল করে রেখেছে, তাতে শেষ পর্যন্ত কাজ করা সম্ভব হবে না। মাটিরও সঙ্কট রয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বে) তপন কুমার ঘোষ জানান, যে পর্যন্ত কাজ হবে, সেভাবে বিল দেয়া হবে। দুর্নীতি মেনে নেয়া হবে না।
×