চাঁপাইয়ে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুই ডাকাত নিহত

স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ গোমস্তাপুরে র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে ২ ডাকাত নিহত হয়েছে। এ সময় র‌্যাবের চার সদস্য আহত হয়। নিহতরা হচ্ছে, ভোলাহাট উপজেলার জামবাড়িয়া ইউনিয়নের বড়গাছি গ্রামের বাহার আলীর ছেলে রাজিব আলী (৩০) ও গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালার সাদিকুল ইসলামের ছেলে আতিক (৪০)। র‌্যাব-৫ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্প কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার সাঈদ আব্দুল্লাহ আল মুরাদ জানান, গোমস্তাপুর উপজেলার কুইচ্চাপাড়া আড়গাড়া রোডে রবিবার রাত সোয়া ১২টার দিকে ডাকাতের সঙ্গে গুলি বিনিময় হয়। পরে গুলিবিদ্ধ দুই ডাকাত রাজিব ও আতিককে উদ্ধার করে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে ১টি পিস্তুল, ১টি ম্যগাজিন, ৪টি গুলি, ১টি বুলেট, ৩টি হাসুয়া, ১টি চাইনিজ কুড়াল ও ১টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে র‌্যাব। কুমিল্লা নিজস্ব সংবাদদাতা কুমিল্লা থেকে জানান, পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ৯ মামলার আসামি আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য আল আমিন (৩০) নিহত হয়েছে। রবিবার রাত দেড়টার দিকে জেলার মুরাদনগর-ইলিয়টগঞ্জ সড়কের শুশুন্ডা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, ৫টি মুখোশ ও কিছু ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে। নিহত ডাকাত আল আমিন জেলার মুরাদনগর উপজেলার ছালিয়াকান্দি গ্রামের সিরাজ মিয়ার পুত্র। পুলিশ জানায়, রবিবার রাত দেড়টার দিকে জেলার মুরাদনগর-ইলিয়টগঞ্জ সড়কের শুশুন্ডা এলাকায় ডাকাত আল আমিন তার সহযোগীদের নিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন খবর পেয়ে একদল পুলিশ সেখানে পৌঁছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় পুলিশও আত্মরক্ষায় ৩৫ রাউন্ড শটগানের পাল্টা গুলি চালায়। ওসি একেএম মনজুর আলম জানান, পুলিশের সঙ্গে ডাকাত দলের গুলি বিনিময়ের ঘটনায় ডাকাত সদস্য আল আমিন এবং পুলিশের এসআই আব্দুল গোফরান, কমিশনার আবুবকর ও শামীম আহত হয়। আহত ডাকাত সদস্য আল আমিনকে উদ্ধার করে কুমেক হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বিরুদ্ধে মুরাদনগর থানায় ৫টি ডাকাতিসহ অস্ত্র ও মাদক আইনে ৯টি মামলা রয়েছে।