ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধের বিষয়ে কোন আপোস নয় ॥ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:১৪, ৫ এপ্রিল ২০১৮

ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধের বিষয়ে কোন আপোস নয় ॥ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধের বিষয়ে কোন ধরনের আপোস করা হবে না বলে পুনরায় সতর্ক বার্তা দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, ওষুধের সঠিক মানের সঙ্গে মানুষের জীবন মরণের প্রশ্ন জড়িত। যারা ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ সরবরাহ ও বিক্রি করে তারা কোনভাবেই ওই ওষুধ খেয়ে কোন রোগীর মৃত্যুর দায় এড়াতে পারে না। ভেজালমুক্ত ও মান সম্পন্ন ওষুধ উৎপাদনের ক্ষেত্রে সরকার সব সময় কঠোর অবস্থানে রয়েছে। ভাল মানের ওষুধ যারা তৈরি করছে, তাদেরকে সরকার সব সময় পৃষ্ঠপোষকতা করবে। আর যারা মানহীন ও ভেজাল ওষুধ তৈরি করে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ সময় তিনি মানহীন ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, সরবরাহকারী চক্র ও ফার্মেসিগুলো কালো তালিকাভুক্ত করার জন্য ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের কর্মকর্তাদেরকে নির্দেশ দেন। বুধবার রাজধানীর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মডেল ফার্মেসি উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অফ ট্রাস্টির সদস্য এম এ হাসেম, উপ-উপাচার্য (দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. গিয়াস ইউ আহসান, ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্স ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাসান মাহমুদ রেজা, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মোক্তাদির, ফার্মেসি কাউন্সিল অব বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট এম মোসাদ্দেক হোসেন প্রমুখ। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, এক সময় বাংলাদেশ বাইরের দেশ থেকে ওষুধ আমদানি করত। কিন্তু আজ আমাদের ওষুধ শিল্প দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে ১৫১টি দেশে ওষুধ রফতানি করছে। গত প্রায় ৯ বছর ধরে সরকারের অব্যাহত সহযোগিতার কারণে বাংলাদেশের ওষুধ খাত রফতানি বাড়িয়ে দেশের অর্থনীতিতে বিশাল অবদান রেখে চলেছে। আমাদের ওষুধ আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন বলেই বিশ্ববাজারে এই অবস্থান অর্জন করতে পেরেছে। দেশে মডেল ফার্মেসির গুরুত্ব তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভেজাল ও নি¤œমানের ওষুধ কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সরকার। পরিদর্শন টিমের প্রতিবেদন অনুযায়ী ইতোমধ্যে অভিযুক্ত অনেক ওষুধ কোম্পানি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ভেজাল ও নি¤œমানের ওষুধ বিক্রির দায়ে অভিযুক্ত ফার্মেসিগুলোর লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। এমন অভিযান সব সময় চালু থাকবে। সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গায় একটি বেসরকারী চক্ষু শিবিরে বিশজনের চোখ হারানোর জন্য দায়ী ক্লিনিক বন্ধ করা হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এমন ঘটনা কখনও কাম্য নয়। এটি একটি অমানবিক কাজ। যারা আক্রান্ত হয়েছে তারা সবাই নিরীহ ও দরিদ্র মানুষ। দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান মোহাম্মদ নাসিম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বহির্বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বল্পোন্নত দেশের কালিমা মুছে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে। দেশের এখন এগিয়ে যাচ্ছে মধ্যম আয়ের দিকে। উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য সেক্টরসহ দেশর সব ক’টি সেক্টরের উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে দেড় হাজার ফার্মাসিস্টকে চাকরি দেয়ার কথা জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, দেশের অনেক ফার্মেসিতে ফার্মাসিস্ট নেই। অনেক ফার্মাসির বিরুদ্ধে মেয়াদোত্তীর্ণ ও মানহীন ওষুধ রাখার অভিযোগ পাওয়া যায়। তাই দেশব্যাপী মডেল ফার্মেসি স্থাপনের পাশাপাশি ফার্মেসিগুলোতে ফার্মাসিস্টদের বসানোর বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
×