ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচনী পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধনে ১২০ সংস্থা প্রাথমিকভাবে মনোনীত

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ৩ এপ্রিল ২০১৮

নির্বাচনী পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধনে ১২০ সংস্থা প্রাথমিকভাবে মনোনীত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নির্বাচনী পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধনের জন্য ১২০ সংস্থাকে প্রাথমিকভাবে মনোনীত করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে এসব সংস্থার বিরুদ্ধে কোন দাবি, আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে তা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে। ইসির জনসংযোগ শাখার পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) এসএম আসাদুজ্জামান জানান, এসব সংস্থার কারও বিরুদ্ধে কোন দাবি, আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে তার পক্ষে উপযুক্ত প্রমাণাদিসহ অভিযোগকারী নাম-ঠিকানা, ফোন নম্বরসহ আবেদন দাখিল করতে হবে। শুনানি শেষে তা গ্রহণ বা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এ বিষয়ে কমিশনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। যোগ্যতাসম্পন্ন সংস্থাগুলোকে পাঁচ বছরের জন্য নিবন্ধন দিবে কমিশন। এর আগে গত বছর নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর কাছ থেকে আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ইসি। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা-২০১৭ অনুসারে পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধনে আগ্রহী বেসরকারী সংস্থাগুলোর কাছ থেকে এই দরখাস্ত আহ্বান করা হয়। আবেদন করার সময় ছিল গত বছরের ৭ নবেম্বর পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে কমিশনের পর্যবেক্ষক হতে নিবন্ধন পেতে ১৯৯ সংস্থা আবেদন করেছিল। এর মধ্যে থেকে প্রাথমিক বাছাইয়ে বাদ পড়েছে ৭৯ সংস্থা। ইসি কর্মকর্তারা জানান, নবম সংসদ নির্বাচনের আগে প্রথমবারের মতো পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন চালু হয়। ২০০৮ সালে ১৩৮ সংস্থাকে নিবন্ধন দেয় ইসি। তখন নিবন্ধনের মেয়াদ ছিল এক বছর। পরে এ মেয়াদ পাঁচ বছর করে নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়। সর্বশেষ ২০১১ সালে ১২০ পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দেয়া হয়। এসব সংস্থার নিবন্ধনের মেয়াদ ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে শেষ হওয়ার পর কমিশন তা আরও এক বছর বাড়ায়। ইসি কর্মকর্তারা জানান, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সংস্থা ভোট পর্যবেক্ষণে যায় না। যেসব সংস্থা পর্যবেক্ষণ করে তাদের মধ্যে কিছু সংস্থা নিয়মিত ইসিতে প্রতিবেদন জমা দেয় না। এজন্য এবার সংস্থার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং বিগত নির্বাচনের সময় তাদের কার্যক্রম খতিয়ে দেখা হবে। ইসি সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনের পূর্বে আরপিও-১৯৭২ সংশোধন করে প্রথমবারের মতো নির্বাচন পর্যবেক্ষণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। নবম সংসদ নির্বাচনের সময় প্রথমবারের মতো পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়। একই সঙ্গে পর্যবেক্ষক নীতিমালাও তৈরি করা হয়। এরপর ২০১০ সালে নীতিমালা সংশোধন করে তৎকালীন এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন পর্যবেক্ষকদের নিবন্ধনের মেয়াদ বাড়িয়ে পাঁচ বছর করে।
×