ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সীতাকুন্ডে ভূমির দখল নিয়ে বিরোধে দুই শিল্প গ্রুপ

প্রকাশিত: ০৭:১১, ২ এপ্রিল ২০১৮

সীতাকুন্ডে ভূমির দখল নিয়ে বিরোধে  দুই শিল্প গ্রুপ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ সীতাকুন্ড উপজেলায় ভূমি নিয়ে বিরোধে জড়িয়েছে দেশের অন্যতম শীর্ষ দুটি শিল্প গ্রুপ। পিএইচপি শিল্প গ্রুপের অভিযোগ, তাদের সৃষ্ট একটি বনায়ন প্রকল্পের প্রবেশ পথ বন্ধ করে দিয়েছে অন্য একটি শিল্প গ্রুপ। অপরদিকে, রবিবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কেএসআরএম (কবির স্টিল রি রোলিং মিলস) গ্রুপ জানিয়েছে, সেখানে যে জায়গা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে তা তাদের নিজেরই। রেলের কাছ থেকে ইজারা নেয়া এই ভূমির খাজনাও তারা নিয়মিত পরিশোধ করে আসছেন। কেএসআরএম গ্রুপের সিইও মেহেরুল করিম সংবাদ সম্মেলনে জানান, ৩৩ বছরেরও অধিক সময় ধরে তারা সুনামের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। আজ পর্যন্ত কোন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ কিংবা ভূমি দখলের মতো কোন অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে কেউ আনতে পারেনি। তিনি জানান, বাড়বকুন্ড এলাকায় রেলের ১ দশমিক ৬৪ একর ভূমি লাইসেন্স প্রাপ্ত হয়ে ১৯৮০ সাল থেকে ভোগ দখল করে আসছিলেন স্থানীয় নুরুল আলম নামের এক ব্যক্তি। একপর্যায়ে তিনি (নুরুল আলম) তা বহন করতে না পেরে কেএসআরএম গ্রুপের কাছে হস্তান্তরে সম্মত হন। পরে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদনের মধ্য দিয়ে কেএসআরএম গ্রুপ এই ভূমিটির লাইসেন্স লাভ করে। সে হিসেবে বৈধভাবে এই ভূমি কেএসআরএম গ্রুপেরই এবং তারাই তা ব্যবহার করে আসছেন। জমির চারপাশে থাকা ঘেরা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তা মেরামতের কাজ চলছিল। গত ১৩ মার্চ সকালে প্রতিপক্ষের লোকজন কর্তব্যরত নিরাপত্তা প্রহরী ও শ্রমিকদের ওপর চড়াও হয়। এতে করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। কেএসআরএম গ্রুপের এ কর্মকর্তা জানান, এই জমি সংক্রান্ত জমির বিরোধের বিষয় নিয়ে দুই শিল্প গ্রুপের মালিক পক্ষের মধ্যে সমঝোতা প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। কেএসআরএম গ্রুপের প্রজেক্ট কো-অডিনেটর সাখাওয়াত হোসেন জানান, ১ দশমিক ৬৪ একর আয়তনের এ জমিটি তাদেরই। রেল থেকে লাইসেন্স পাওয়া এই ভূমি তাদের দখলে যেমন রয়েছে, তেমনিভাবে খাজনা পরিশোধসহ প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্রও তাদের কাছে। অপর একটি গ্রুপ কোন গ্রাউন্ডে এর মালিকানা দাবি করছে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওই গ্রুপটির দাবি করার মধ্যে কোন ভিত্তিই নেই।
×