ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বকাপ ক্রিকেট বাছাই;###;বিশ্বকাপের মূলপর্বে ওঠার লড়াইয়ে এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড ও আরব আমিরাতের সঙ্গে লড়াই জিম্বাবুইয়ে, স্কটল্যান্ড ও আফগানিস্তানের

ভাগ্যের সহায়তায় সুপার সিক্সে আফগানরা

প্রকাশিত: ০৬:২০, ১৫ মার্চ ২০১৮

ভাগ্যের সহায়তায় সুপার সিক্সে আফগানরা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এমনকি ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুইয়ের চেয়েও বেশি মর্যাদাপূর্ণ দল তারা এবার বিশ্বকাপ ক্রিকেট বাছাইয়ে। কিন্তু ইতোমধ্যেই মর্যাদার হানি ঘটেছে। কোনক্রমে সুপার সিক্সে উঠেছে তারা গ্রুপপর্বে একটিমাত্র জয়ে। তবু ভাগ্যটা ঝুলছিল চিকন সুতোয়, স্থায়ুচাপেও ভুগতে হয়েছে অনেক। শেষ পর্যন্ত নেপাল ৫ উইকেটে হংকংকে হারিয়ে দেয়ার পরই গ্রুপপর্বের বাধা ডিঙ্গিয়েছে তারা। গ্রুপপর্বে তারা খুব বাজে নৈপুণ্য দেখিয়েছে জিম্বাবুইয়ে, স্কটল্যান্ড ও হংকংয়ের বিপক্ষে হেরে। এবার সুপার সিক্সে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড ও আরব আমিরাতের বিপক্ষে লড়ে ফাইনালে উঠতে হবে। নয়তো বিশ্বকাপের দরজা খুলবে না। ‘এ’ গ্রুপ থেকে হল্যান্ড শেষ ম্যাচে ক্যারিবীয়দের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে। আর আরব আমিরাত ২২৬ রানের বড় ব্যবধানে আইরিশদের কাছে হারলেও সুপার সিক্সে উঠেছে। লড়াইটা স্কটল্যান্ড, জিম্বাবুইয়েরও এ তিন দলের বিপক্ষে। ‘এ’ গ্রুপের সেরা তিনের সঙ্গে ‘বি’ গ্রুপের সেরা তিনের জমজমাট এ লড়াই বৃহস্পতিবার থেকে। বুলাওয়েতে সোমবার মাঠে মুখোমুখি হয়েছিল নেপাল ও হংকং। তবে মাঠের বাইরে থেকে সবচেয়ে বেশি স্থায়ুচাপে ভুগেছে আফগানিস্তান। তাদের কখনও নিঃশ্বাস আটকে গেছে, কখনও স্বস্তিতে ভুগেছে আবার কখনও উচ্চ রক্তচাপও সৃষ্টি হয়েছে। তবে হংকং ব্যাটিংয়ে নামার পর বেশ আনন্দেই ছিল তারা। হয়তো জিতলেই সুপার সিক্সে ওঠা যাবে এই চাপেই চলতি আসরে সবচেয়ে বাজে খেলে তারা গুটিয়ে যায় ৪৮.২ ওভারে মাত্র ১৫৩ রানে। পরে নেপাল জবাব দিতে নেমে বিনা উইকেটে ৪১ রান তুলে ফেলার পর আফগানরা বেশ স্বস্তিতেই ছিল। এরপরই বিপর্যয়ের শুরু। মাত্র ২৫ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারায় তারা। নেপালের পরাজয়ের শঙ্কায় ওদিকে মূর্ছা যাওয়ার অবস্থা আফগানদের। কিন্তু আর ভুল করেননি রোহিত পাউডেল (৪৮) ও সোমপাল কামি (৩৭)। তারা অবিচ্ছিন্ন থেকে ৮৯ রান যোগ করে দলকে বিজয়ী করেন এবং আফগানদের তোলেন সুপার সিক্সে। এ তিন দলেরই পয়েন্ট সমান ২ হলেও নেট রানরেটে সুপার সিক্সে পা রাখে আফগানিস্তান। একই গ্রুপের শেষ ম্যাচে জিম্বাবুইয়ে-স্কটল্যান্ড টাই করে। আগের তিন ম্যাচই জিতেছিল উভয় দল। জিম্বাবুইয়ের ৪৬.৪ ওভারে করা ২১০ রানের জবাবে স্কটিশরা ৪৯.১ ওভারে ২১০ রানে গুটিয়ে যায়। এ টাইয়ের ফলে সমান ৭ পয়েন্ট হলেও ‘বি’ গ্রুপ সেরা হয়ে সুপার সিক্সে এসেছে জিম্বাবুইয়ে। ‘এ’ গ্রুপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ টানা ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে এক নম্বর দল হিসেবেই উঠে এসেছে সুপার সিক্সে। তারা ক্রিস গেইলের ৪৬, এভিন লুইসের ৮৪, স্যামুয়েলসের অপরাজিত ৭৩ ও রোভম্যান পাওয়েলের ৩৮ বলে ৫২ রানে ভর দিয়ে ৬ উইকেটে ৩০৯ রান তোলে। জবাবে বারেসির ৬৪ ও রায়ান টেন ডয়েশ্চেটের অপরাজিত ৬৭ রানের পরও বিপদেই ছিল হল্যান্ড ১৬৭ রান (২৮.৪ ওভার) করতে গিয়ে ৬ উইকেট হারিয়ে। এরপর আর বৃষ্টিতে খেলা না হওয়ায় ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ৫৪ রানে জয় পায় ক্যারিবীয়রা। গ্রুপের অপর ম্যাচে আ্য়ারল্যান্ড ২২৬ রানে বিধ্বস্ত করে আরব আমিরাতকে। পল স্টার্লিংয়ের ১২৬ ও উইলিয়াম পোর্টারফিল্ডের ৯২ রানে ভর দিয়ে ৪৪ ওভারে ৬ উইকেটে ৩১৩ রান তুলেছিল আইরিশরা। জবাবে ২৯.৩ ওভারে মাত্র ৯১ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত। তবে আগেই দুটি জয় পাওয়াতে ২২৬ রানের বড় হারের পরও সুপার সিক্সে তিন নম্বর দল হিসেবে উঠে আসে তারা।
×