ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

ইয়াসিনের রেকর্ডে আবাহনীকে হারাল গাজী গ্রুপ

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ১৫ মার্চ ২০১৮

ইয়াসিনের রেকর্ডে আবাহনীকে হারাল গাজী গ্রুপ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নোয়াখালীর ছেলে ইয়াসিন আরাফাত। ডানহাতি মিডিয়াম পেসার। ক্যারিয়ারের তৃতীয় লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলতে নামলেন। আর তাতেই দেখিয়ে দিলেন ঝলক। শুধু কি ঝলক দেখালেন, রেকর্ডই গড়ে ফেললেন। লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে বাংলাদেশের কোন বোলার যা করে দেখাতে পারেননি। তা করে দেখালেন ইয়াসিন। একাই তুলে নিলেন ৮ উইকেট। তার এমন বিধ্বংসী বোলিংয়ে বুধবার আবাহনীকেও ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারাল গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। অগ্রণী ব্যাংককে ৩ উইকেটে হারিয়ে আবাহনীর পর দ্বিতীয় দল হিসেবে সুপার লীগে খেলা নিশ্চিত করেছে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব। একইদিন শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। গাজী গ্রুপ-আবাহনী ম্যাচ ॥ আবাহনী এত দ্রুত গুটিয়ে যাবে তা কেউ ভাবতে পারেনি। ফতুল্লায় ২৬.১ ওভারে ১১৩ রানের বেশি করতেই পারেনি। শুরু থেকেই যে ইয়াসিন বোলিং তোপ দেখান। শুরুতেই ১২ রানের মধ্যে দুই উইকেট তুলে নেন। এরপর কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই নাসির হোসেন ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও ইয়াসিনের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। দেখতে দেখতে ১২ রানেই ৫ উইকেটের পতন ঘটে যায় আবাহনীর। ইয়াসিনই ৪টি উইকেট তুলে নেন। মাঝপথে মোহাম্মদ মিঠুন (৪০) ও মনন শর্মা (৪৬) একটু এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু শুরুতে এনামুল হক বিজয়কে আউট করা বামহাতি স্পিনার টিপু সুলতান আউট করে দেন মিঠুনকেও। আর মননকে থামান ইয়াসিন। এরপর মুহূর্তেই যেন ইয়াসিন আরও তিনটি উইকেট নিয়ে নিলে দ্রুতই অলআউট হয় আবাহনী। আবাহনীর ইনিংসের পর গাজী গ্রুপের জয় না পাওয়ার কথা নয়। যদি আত্মঘাতী কিছু না ঘটে। এরপরও ২ উইকেট গেল গাজী গ্রুপের। ২৯.৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১১৪ রান করে জিতে গাজী গ্রুপ। জহুরুল ইসলাম অমি অপরাজিত ৫২ ও পাকিস্তানের ফাওয়াদ আলম অপরাজিত ৩৯ রান করে ম্যাচ জেতান। ইয়াসিন ৮.১ ওভারে এক মেডেনসহ ৪০ রান দিয়ে ৮ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন। এই ম্যাচে হেরেও সুপার লীগে খেলা নিশ্চিত করেছে আবাহনী। গাজী গ্রুপ একই পথের সন্ধানে আছে। প্রাইম দোলেশ্বর-অগ্রণী ব্যাংক ম্যাচ ॥ বিকেএসপিতে আগে ব্যাট করে অগ্রণী ব্যাংক ৭ উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে ২০৩ রানের বেশি করতে পারেনি। শামসুর ইসলাম সর্বোচ্চ অপরাজিত ৬৪ রান করেন। ইসলামুল আহসান করেন ৪৬ রান। জবাব দিতে নেমে ফরহাদ হোসেনের ৪৯, মার্শাল আইয়ুবের ৪২, জোহেব খানের ৪১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ৪৬.২ ওভারে ২০৪ রান করে জিতে যায় প্রাইম দোলেশ্বর। পাকিস্তানের পেশোয়ারের জোহেব খান বল হাতে ৩ উইকেট নেয়ার পর ব্যাট হাতেও দেখান ঝলক। আর তাতে ম্যাচ সেরাও হন। প্রাইম ব্যাংক-শাইনপুকুর ম্যাচ ॥ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এ দুই দলের ম্যাচে আগে ব্যাট করে ভারতের হিমাচল প্রদেশের উদয় কউলের ৫২ রানে ৪৯.৫ ওভারে ২৫১ রান করে অলআউট হয়ে যায় শাইনপুকুর। জবাব দিতে নেমে নাহিদুল ইসলামের (৭৩*) দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৪৬.৪ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫২ রান করে জিতে যায় প্রাইম ব্যাংক। স্কোর ॥ গাজী গ্রুপ-আবাহনী ম্যাচ, আবাহনী ইনিংস ॥ ১১৩/১০; ২৬.১ ওভার (মনন ৪৬, মিঠুন ৪০, বিজয় ১০; ইয়াসিন ৮/৪০, টিপু ২/২৩)। গাজী গ্রুপ ইনিংস ॥ ১১৪/২; ২৯.৫ ওভার (অমি ৫২*, ফাওয়াদ ৩৯*; মাশরাফি ১/১৮)। ফল ॥ গাজী গ্রুপ ৮ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ ইয়াসিন আরাফাত (গাজী গ্রুপ)। প্রাইম দোলেশ্বর-অগ্রণী ব্যাংক ম্যাচ, অগ্রণী ব্যাংক ইনিংস ॥ ২০৩/৭; ৫০ ওভার (শামসুল ৬৪*, ইসলামুল ৪৬; শরীফুল্লাহ ৩/৩৫, জোহেব ৩/৩৭)। প্রাইম দোলেশ্বর ॥ ২০৪/৭; ৪৬.২ ওভার (ফরহাদ ৪৯, মার্শাল ৪২, জোহেব ৪১; শফিউল ২/২৫)। ফল ॥ প্রাইম দোলেশ্বর ৩ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ জোহেব খান (প্রাইম দোলেশ্বর)। প্রাইম ব্যাংক-শাইনপুকুর ম্যাচ, শাইনপুকুর ইনিংস ॥ ২৫১/১০; ৪৯.৫ ওভার (উদয় ৫২, সাদমান ৪৪, তৌহিদ ৩৯; মনির ৩/৪০, শরিফুল ৩/৪৬)। প্রাইম ব্যাংক ইনিংস ॥ ২৫২/৫; ৪৬.৪ ওভার (নাহিদুল ৭৩*, মেহেদী ৪১, আল-আমিন ৩৫, ইউসুফ ৩২)। ফল ॥ প্রাইম ব্যাংক ৫ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ নাহিদুল ইসলাম (প্রাইম ব্যাংক)।
×