কীর্তনখোলায় ট্রলারডুবি ॥ ৬ লাশ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ কীর্তনখোলা নদীর চরমোনাই মাহফিলগামী মুসল্লি বোঝাই ট্রলার ডুবির ঘটনার দুইদিন পর ছয় লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চরমোনাই লঞ্চঘাট সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীতে ছয় লাশ ভেসে উঠার পর উদ্ধার করা হয়। বুধবার দুপুরে মুসল্লিবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনায় উদ্ধার হওয়া লাশগুলো মাহফিল প্রাঙ্গণে রাখা হয়েছে। এরা হলেন-মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ি উপজেলার পাচনখোলা এলাকার মৃত খায়ের উদ্দিন ঢালীর পুত্র বাদশা ঢালী (৬৫), গাজীপুর সদরের আব্দুল মালেকের পুত্র ইফতেখার ইসলাম (১০), আমানউল্লাহ দেওয়ানের পুত্র শাহ আলী (২৯), একই জেলার ভবানীপু এলাকার জাকির হোসেন দিলদার (৩০), ময়মনসিংহের মকবুল হোসেনের পুত্র দেলোয়ার হোসেন (২৮) ও লক্ষীপুরের হেদায়েত হোসেনের পুত্র আবদুল কুদ্দুস (২৪)। বরিশাল সদর নৌ-থানা পুলিশের এসআই সোহাগ ফকির জানান, বুধবার (৭ মার্চ) যেখানে ট্রলার ডুবেছিল তার পাশ থেকেই ছয়টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বরিশাল নৌ-থানা পুলিশের ওসি বেল্লাল হোসেন জানান, বুধবার দুপুরে ট্রলারটি বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়ার প্রান্ত থেকে কীর্তনখোলা পাড়ি দিয়ে চরমোনাই লঞ্চঘাটে যায়। ঘাটে থাকা কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের পেছনে নোঙ্গর করে চরমোনাই মাহফিলগামী মুসল্লিদের নামাতে গেলে ট্রলারটি কাত হয়ে যায়। এ সময় পেছনে থেকে অন্য একটি ট্রলার ধাক্কা দিলে মুসল্লিবাহী ট্রলারটি ডুবে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ-পুলিশের সদস্যরা নদীতে বিভিন্নভাবে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান শুরু করে। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় নদীর তলদেশে ট্রলারটির সন্ধান পাওয়া গেলেও নিখোঁজদের কোন হদিস মেলেনি। ওসি আরও জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত খোঁজাখুঁজি করে ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সন্ধ্যার পর উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়।