ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

উইয়ের সিঙ্গাপুর জয়

প্রকাশিত: ০৪:৩৭, ৫ মার্চ ২০১৮

উইয়ের সিঙ্গাপুর জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ তৃতীয় রাউন্ডে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নেলি করডা, উঠে গিয়েছিলেন শীর্ষে। পিছিয়ে পড়েছিলেন মিশেল উই। কিন্তু শেষ রাউন্ডে ঝলসে উঠলেন যুক্তরাষ্ট্রের এ তরুণী। শেষ হোলে দারুণ এক বার্ডিতে তিনি শীর্ষে উঠে আসেন এবং সিঙ্গাপুরের এইচএসবিসি মহিলা বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয় করেন। চরম নাটকীয়তায় ভরা এ আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো অবস্থানে ছিলেন ১৯ বছর বয়সী নেলি করডা, ২৫ বছর বয়সী ড্যানিয়েলা ক্যাং ও ২৫ বছর বয়সী জেনি শিন এ তিনজনই। প্রথমদিন থেকেই সিঙ্গাপুরের সেনটোসা গলফ ক্লাবে জমে ওঠে এবারের প্রতিযোগিতাটি। দ্বিতীয় রাউন্ডে উদীয়মান মার্কিন তারকা ড্যানিয়েলা ক্যাং ছিলেন শীর্ষে। আর তার পেছনেই ছিলেন দুই সাবেক বিশ্বসেরা নিউজিল্যান্ডের লিডিয়া কো ও দক্ষিণ কোরিয়ার পার্ক ইনবি। কিন্তু তৃতীয় রাউন্ডে তারা যৌথভাবে ১২ ও ৩০ নম্বর অবস্থানে থেকে শেষ করেন। আরেক মার্কিন তারকা মিশেল উইসহ চারজনকে নিয়ে ছিলেন পঞ্চম অবস্থানে। কিন্তু দিনটি নিজের করে নেন ৫৬ র‌্যাঙ্কিংধারী নেলি করডা। তিনি দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়ে উঠে আসেন শীর্ষে। এই সবগুলো অবস্থানে ব্যাপক উত্থান-পতন ঘটে শেষ রাউন্ডে। বিশেষ করে শেষ মুহূর্তে উইয়ের বার্ডি পাল্টে দেয় সবকিছু। তার এমন দুরন্ত নৈপুণ্য মূলত হৃদয় ভেঙ্গেছে দক্ষিণ কোরিয়ার জেনি শিনের। ২৫ বছর বয়সী শিন দিনের শুরুতেই চলে এসেছিলেন সবার ওপরে। কারণ ক্যাং ও নেলি হতাশাজনকভাবে লাইনের বাইরে চলে যান। তিনি সেরা হয়েছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত বোগি পেয়ে এ কয়েকজনের মধ্যে সবার শেষে থেকে সমাপ্ত করেন। তার শটটি গিয়ে পড়ে বালির মধ্যে। সেখান থেকে অবস্থার উন্নতি করতে করতেই অন্যরা এগিয়ে যান। উই সুযোগ পেয়ে যান তিনজনের ব্যর্থতায়। ক্যারিয়ারের পঞ্চম এলপিজিএ শিরোপা জিতে নেন। শেষ রাউন্ডে তিনি শেষ করেন পারের চেয়ে ৭ রাউন্ড কম খেলে। সবমিলিয়ে পারের চেয়ে ১৭ শট কম খেলে তিনি চ্যাম্পিয়ন হন। এ বিষয়ে উই বলেন, ‘এটাই আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সেরা পাট ছিল। খুবই কঠিন একটা যাত্রা গেছে। কিন্তু আমি সত্যিই খুব গর্বিত যে খারাপ অবস্থা থেকে ফিরে আসতে পেরেছি।’ ২০১৪ সালে সর্বশেষ শিরোপা জিতেছিলেন উই। সেবার ইউএস ওপেন গলফ জিতেছিলেন। চার বছর পর আবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পেলেন এ মার্কিন তরুণী। কানাডার ব্রুক হেন্ডারসন শেষ হোলে বার্ডি জিতলেও তিনি বেশিদূর এগোতে পারেননি এদিন। আর নেলি করডা দারুণ সুযোগ পেয়েও চ্যাম্পিয়ন হতে না পেরে বলেন, ‘এটা অবশ্যই খুব কষ্টদায়ক। কিন্তু এটার নামই গলফ।’ তিনি এখন তার বড় বোন জেসিকা করডার সাফল্য মনে করেই নিজের মধ্যে স্বান্ত¡না খুঁজছেন। জেসিকা কিছুদিন আগেই থাইল্যান্ডে শিরোপা জিতেন।
×