স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে বাংলাদেশের তৃতীয় বিভাগ ফুটবল লীগ। জোড়াতালি দিয়ে শুধু ভালবাসার কারণে এখনও ক্লাবগুলো চালিয়ে যাচ্ছে খেলা। আর্থিক দৈন্যতা আর বাফুফের বিমাতৃসুলভ আচরণেও হতাশ তারা। পাশাপাশি মাঠ সঙ্কট তো আছেই। তাই তাদের আবেদন আর্থিক অনুদানের। তবে পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের ক্লাব কর্মকর্তার দাবিÑ প্রফেশনাল ক্লাব ধারণায় এখনও নবীন তারা, তাই চাইলেই সমস্যার আশু সমাধান সম্ভব নয়। দোষ দিয়ে লাভ নেই কাউকে। কারণ দোষের ভাগিদার হতে চান না কেউই। ফুটবলারদের ব্যক্তিগত নৈপুণ্যই পারতো সব সমালোচনার মুখ বন্ধ করতে। তবে ক্লাবগুলোর সঠিক পরিচর্যার অভাবে তা দিতেও ব্যর্থ ফুটবলাররা। যদিও দায় নিতে নারাজ ক্লাব কর্মকর্তারা। আর্থিক দৈন্যদশার কারণেই চাইলেও সবসময় সব কিছু দেয়া যায় না বলে অভিযোগ তাদের। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাফুফের বিমাতাসুলভ আচরণ। প্রিমিয়ারে যেখানে এক একটি দল অনুদান পায় লাখের অঙ্কে, সেখানে তৃতীয় বিভাগে আসলে চেকে টাকার অঙ্কটা নেমে আসে হাজারে। যাতে একদিনের খরচও ওঠে না ক্লাবের।
কমলাপুরে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামের টার্ফের এখন বিশাল ব্যস্ততা। সাইফ পাওয়ারটেকের পৃষ্ঠপোষকতায় তৃতীয় বিভাগ ফুটবল লীগের ১৯ দলেরই একমাত্র ঠিকানা এ একটি মাঠ। অনুশীলন থেকে ম্যাচ তাই সব হয় সবেধন নীলমণি এক মাঠেই। মাঠ সঙ্কটও তাই বড় বাধা। বাংলাদেশের প্রফেশনাল ফুটবলারদের আঁতুড়ঘর ধরা হয় পাইওনিয়ার এবং তৃতীয় বিভাগ ফুটবল লীগকে। তাই ফুটবলকে বাঁচাতে হলে এ লীগগুলোতে বাফুফের মনিটরিং থেকে আর্থিক অনুদান সবকিছুই আরও বাড়ানোর দাবি সংশ্লিষ্টদের।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: