ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কোয়ার্টার ফাইনালে এক পা ম্যানসিটির

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

কোয়ার্টার ফাইনালে এক পা ম্যানসিটির

জাহিদুল আলম জয় ॥ ঘরের মাঠে দুই গোলে এগিয়ে যেয়েও জিততে পারেনি জুভেন্টাস। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফুটবলের শেষ ষোলোর প্রথম লেগের ম্যাচে মঙ্গলবার রাতে তুরিনের জুভেন্টাস স্টেডিয়ামে ইংলিশ ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পারের মুখোমুখি হয়েছিল ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু নিজেদের ভেন্যুতে অতিথি টটেনহ্যামের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছে জুভেন্টাস। তাও আবার দুই গোলে এগিয়ে থাকার পর। প্রতিপক্ষের মাঠে দুই গোলে ড্র করে শেষ আটে খেলার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে গেছে স্পার্সরা। কেননা দ্বিতীয় লেগ তারা খেলবে নিজেদের মাঠে। সেখানে ১-১ বা গোলমূন্য ড্র হলেও শেষ আটের টিকেট পাবেন হ্যারি কেন, ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনরা। তাই টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে সাবেক রানার্সআপ জুভেন্টাসকে অনেকটাই অসাধ্য সাধন করতে হবে। পরশু রাতে আরেক ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের ক্লাব এফসি বাসেলকে তাদেরই মাঠে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে কোয়ার্টার ফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি। পরের লেগে বড় ধরনের অঘটন না ঘটলে প্রথমবারের মতো ইউরোপ সেরার আসরের শেষ আটে খেলা অনেকটাই নিশ্চিত পেপ গার্ডিওলার দলের। জুভেন্টাস স্টেডিয়ামে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই গোল করে স্বাগতিকদের লিড এনে দেন আর্জেন্টাইন তারকা গঞ্জালো হিগুয়াইন। ম্যাচের নবম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। এবার স্পট কিক থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন হিগুয়াইন। ম্যাচে অনুপস্থিত ছিলেন দলের তারকা খেলোয়াড় পাওলো ডিবালা। ম্যাচের ২৬ মিনিটে গোলের সুযোগ পান টটেনহ্যামের হ্যারি কেন। তবে তার নেয়া হেড রুখে দেন জুভ গোলরক্ষক জিয়ানলূুইজি বুফন। পিছিয়ে পড়ে একের পর এক আক্রমণ করা টটেনহ্যাম অবশেষে ম্যাচের ৩৫ মিনিটে গোলের দেখা পায়। ডেলে আলির বাড়ানো বল বুফনকে কাটিয়ে কোনাকুনি শটে জালে জড়ান কেন। লীগে কেনের এটি সপ্তম গোল। বিরতির আগে আবারও ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল হিগুয়াইন। ডি বক্সে ঢুকে পড়া ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ডগলাস কোস্টাকে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। কিন্তু স্পট কিক ক্রসবারে মেরে হ্যাটট্রিকের সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন আর্জেন্টাইন এই তারকা। ম্যাচ জিততে না পেরে পরে এর খেসারতও দিতে হয়েছে জুভেন্টাসকে। বিরতি থেকে ফিরে সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে আক্রমণ চালাতে থাকে কেন-এরিকসেনরা। ম্যাচের ৭১ মিনিটে গোল করে দলকে সমতা এনে দেন এরিকসেন। প্রায় ২০ গজ দূর থেকে ফ্রিকিকে লক্ষ্যভেদ করেন ডেনমার্কের এই মিডফিল্ডার। বাকি সময় আক্রমণ, পাল্টা-আক্রমণে খেলা চললেও কোন দল আর গোলের দেখা পায়নি। বাসেলের বিরুদ্ধে পুরো ম্যাচেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলে ম্যানসিটি। মাত্র ১০ মিনিটের ঝড়েই তাদের জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। ১৪ থেকে ২৩Ñ এই দশ মিনিটেই তিন গোল আদায় করে অতিথিরা। গোলের সূচনা করেন ইকাই গুন্ডোগান। ১৮ মিনিটে বার্নার্ড সিলভা ব্যবধান দ্বিগুণ করার পর ২৩ মিনিটে তৃতীয় গোল করেন সার্জিও এ্যাগুয়েরো। বিরতির পর ৫৩ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের চার নম্বর গোল করেন গুন্ডোগান। ম্যাচ শেষে জোড়া গোলের মালিক গুন্ডোগান জানান ম্যানচেস্টার সিটির আরও অনেক কিছু দেখানোর বাকি আছে। বাসেলের গোলরক্ষক টমাস ভাসলিকের দৃঢ়তায় হ্যাটট্রিক থেকে বঞ্চিত হওয়া এই সিটি তারকা বলেন, ম্যাচের এ ফলটি একেবারেই নিখাঁদ। তবে দলের উন্নতি করার আরো অনেক কিছু এখনও রয়ে গেছে। গুন্ডোগান বলেন, আমার পেছনেই প্রতিপক্ষের খেলোয়াড় ছিল। যে কারণে গোল আদায় করা খুব একটা সহজ ছিল না। কেভিন ডি ব্রুইনের কাছ থেকে যথাসময়েই বলটি আমার কাছে এসেছে এবং সঠিক সময়েই আমি সেটি জালে জড়িয়ে দেই। সিটি কোচ পেপ গার্ডিওলা বলেন, শেষ ষোলোর বৈতরণী পার হওয়ার জন্য এ্যাওয়ে ম্যাচে ৪-০ গোলের জয়টি দারুণ ব্যাপার। আমরা অনেকটাই কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছি। তবে এটি বলবনা যে আমরা শেষ আটে পৌঁছে গেছি। দল হিসেবে অবশ্যই বাসেলকে সমীহ করতে হবে। আমরা যদি কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছাতে পারি তাহলে সেটি হবে গত আসরের তুলনায় অপেক্ষাকৃত বেশি ভাল। আর সেটি হবে শিরোপার পথে আমাদের প্রথম ধাপ।
×