স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ ভৈরব নদের অবৈধ দখলদাররা উচ্ছেদ নোটিস পেয়ে সম্পদ রক্ষায় দেনদরবার শুরু করেছে। গত ২৮ জানুয়ারি দেয়া নোটিসে এক সপ্তাহের মধ্যে অবকাঠামো ভেঙ্গে নিতে নির্দেশ জারির পর থেকেই অনেক দখলদার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে নিজেদের ‘বৈধ’ দাবি করে কাগজপত্র দাখিল করেছেন। অনেকে আবার দলবদ্ধ হয়ে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভাবছেন। তবে জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিন বলছেন, কোনভাবেই অবৈধ দখলদারদের শেষ রক্ষা হবে না। নোটিসের মেয়াদের পর দাখিলকৃত কাগজপত্র যাচাইবাছাই শেষে এ মাসেই একযোগে সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে। জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, যশোর শহর অঞ্চলে ভৈরব নদের সীমানা নির্ধারণের সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় অবৈধ ১১৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করা হয়। এছাড়া নদের দুই ধারে যশোর জেলা প্রশাসন এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতায় আছে আরও কিছু জমি। যেখানে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। সব মিলে সরকারী জমিতে গড়ে তোলা ২৯৬ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের চূড়ান্ত নোটিস দেয়া হয়েছে। যে নোটিসের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ শনিবার। তবে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন ভোগদখলকারী নিজেদের বৈধ মালিক দাবি করে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। সঙ্গে তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেছেন। নোটিসের মেয়াদ শেষে এসব আবেদনের শুনানি হবে। পরে এক সঙ্গে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই শুরু হবে উচ্ছেদ অভিযান। যশোর জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিন বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসনের যৌথ সার্ভে দল ভৈরব নদের অবৈধ দখলদারদের ২৯৬ তালিকা পেয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: