ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

২০ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাত

গাইবান্ধায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা

প্রকাশিত: ০৬:২০, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

গাইবান্ধায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ৩১ জানুয়ারি ॥ সদর উপজেলার খোলাহাটী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ সামাদ আজাদের বিরুদ্ধে ২০ লাখ ৩৬ হাজার ৫শ’ টাকা দুর্নীতির লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন ওই ১০ মেম্বর। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, রংপুর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগটি দাখিল করা হয়। এ ছাড়া ইউপি সদস্যরা বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে উক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লিখিতভাবে পৃথক একটি অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যয় দেখিয়ে অর্থ আত্মসাত করা হয়। প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে, ইউপি ভবনের ভাঙ্গা দরজা-জানালা মেরামত ও ভবন রংকরণ এবং ইউনিয়নকে বাল্যবিবাহমুক্ত ঘোষণার বিভিন্ন কার্যক্রমের পৃথক দুইটি প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। এ ছাড়া একই খাতে দরজা-জানালা মেরামত, ল্যাট্রিন ও বাথরুম মেরামত, বৈদ্যুতিক ওয়্যারিং ও লাইটিং, ক্রোকারিজ সামগ্রী ক্রয়, ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে টেবিল, চেয়ার ও আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম সরবরাহ এবং ইউনিয়নের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে উঁচু-নিচু বেঞ্চ সরবরাহের জন্য পৃথক তিনটি প্রকল্প হাতে নেয়া হলেও তা কাজ করা হয়নি। তদুপরি ইউপি দ্বিতল ভবনের ল্যাট্রিন সংস্কার, বিভিন্ন কক্ষের বৈদ্যুতিক পাখা সরবরাহ ও প্রয়োজনীয় ওয়্যারিং এবং ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর ও পরিষদ সীমানার বিভিন্ন স্থানে বৃক্ষরোপণ, রথবাজারের শেড ঘরের মেঝে মেরামত, হাঁটার গলি পাকাকরণ ও একটি নলকূপ স্থাপন এবং আন্তঃজেলা ফেরি ও খেয়াঘাট নতুন ব্রিজ সংলগ্ন ঘাটের ছাউনি সংস্কার, ছাউনিতে বসার ব্যবস্থাকরণ এবং ছাউনি সংলগ্ন রাস্তা সংস্কারের বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও তা কাজ না করেই অর্থ আত্মসাত করা হয়। এ ছাড়াও অনাস্থা প্রস্তাবেও উল্লেখিত দুর্নীতি ছাড়াও ইট ভাঁটির কর আদায় করে ইউপি তহবিলে জমা না দেয়া, ভিজিডি কার্ড, অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসূচী কার্ড, বয়স্ক বিধবা প্রতিবন্ধী কার্ড প্রদানে অর্থ আদায়, গ্রাম আদালত অবমাননা ও বিচারের নামে অবৈধভাবে আটকাদেশ দিয়ে অর্থ আদায়, পাকা বাড়ির নকশা অনুমোদনের নামে অর্থ আদায় করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এ সব অভিযোগে ওই ইউনিয়নের ১০জন মেম্বর স্বাক্ষর করে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৯ ধারা মোতাবেক এই অনাস্থা প্রস্তাবটি দাখিল করেন। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান শেখ সামাদ আজাদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে আরোপিত এসব অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট। আমাকে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য একটি স্বার্থান্বেষী মহল এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হয়েছে কি-না তা পরিদর্শন করলেই সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে। এ ব্যাপারে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল বলেন, প্রাপ্ত দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়গুলো জরুরী ভিত্তিতে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
×