ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ময়মনসিংহে সড়কের সিংহভাগ হকারের দখলে ॥ তীব্র যানজট

প্রকাশিত: ০৭:১২, ২৭ জানুয়ারি ২০১৮

ময়মনসিংহে সড়কের সিংহভাগ হকারের  দখলে ॥ তীব্র যানজট

স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥ নগরের ব্যস্ততম বাণিজ্যিক এলাকা গাঙিনাপাড় সড়ক ও চরপাড়াসহ অধিকাংশ বাণিজ্যিক এলাকার ফুটপাথ ছাড়াও সড়কের সিংহভাগ জায়গা হকারদের দখলে চলে গেছে। ফুটপাথ ও সড়ক দখল করে হকাররা দোকান পেতে বসায় যানচলাচল ও পথচারীদের যাতায়াতে বিঘœ ঘটছে। প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজটের। অসহনীয় এ যানজটের কারণে ছিনতাই ও পকেটমারের ঘটনায় উদ্বিগ্ন নগরবাসী। অথচ জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটি ও বিভাগীয় আইনশৃঙ্খলা কমিটির নিয়মিত মাসিক সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে স্থানীয় প্রশাসন একাধিকবার এসব অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করেছিল। অভিযোগ রয়েছে, নগরের এক নম্বর ফাঁড়ি পুলিশের মদদে হকাররা ফের ফুটপাথ ও সড়কের ওপর দোকান পেতে চুটিয়ে ব্যবসা করছে। আর এ দায় চাপানো হচ্ছে পৌর কর্তৃপক্ষের ওপর। ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র ইকরামুল হক টিটু জানান, নগরবাসীকে স্বস্তির সঙ্গে যাতায়াতে ফুটপাথ ও রাস্তা দখলকারী হকারমুক্ত করতে পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া আছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ মহানগরের ব্যস্ততম বাণিজ্যিক এলাকা গাঙিনাপাড় সড়ক ও স্টেশন রোডের ফুটপাথ ছাড়াও সড়কের দুই পাশের অর্ধেক জায়গা দখল করে হকাররা দোকান পেতে মালামালের পসরা সাজিয়ে বসছে প্রতিদিন। ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের গাঙিনাপাড় ট্রাফিক মোড় থেকে নগরের স্টেশন রোডের এক নম্বর পুলিশ ফাঁড়ির ট্রাফিক মোড় পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিটার প্রধান সড়কের ফুটপাত ও সড়কের ওপর দুই পাশে হকারদের এরকম দোকান রয়েছে পাঁচ শতাধিক। নগরের দুর্গাবাড়ি রোড, ওল্ড পুলিশ ক্লাব রোড, নতুন বাজার ও ট্রাঙ্কপট্টি সড়কেও ছড়িয়ে পড়েছে হকারদের দোকানপাট। ব্যস্ততম বাণিজ্যিক এসব এলাকার সড়কের দুই পাশে রয়েছে অসংখ্য দোকানপাট, বাণিজ্যিক মার্কেট, আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরাঁ। পথচারীদের যাতায়াত ও সড়ক পারাপারে চরম বিরক্তিকর বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছে শিক্ষার্থীসহ কর্মজীবী মানুষ। অসহনীয় যানজট আর প্রচ- ভিড়ের ভেতর অহরহ ঘটছে ছিনতাই ও পকেটমারের ঘটনা। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন নগরবাসী। ময়মনসিংহ নাগরিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার নুরুল আমিন কালাম ফুটপাথ ও সড়ক দখলের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, একটি বিভাগীয় সদরে হকারদের এমন নৈরাজ্য মেনে নেয়া যায় না। বিশেষ করে নতুন বিভাগে বিভাগীয় কমিশনার ও ডিআইজি ময়মনসিংহ রেঞ্জ যোগদানের পর ময়মনসিংহের পুরনো এ চেহারার পরিবর্তন ঘটবে এমন আশা ছিল নগরবাসীর। কিন্তু এখন সেই আশার গুড়েবালি। ফলে এটিকে নিয়তি হিসেবেই মেনে নিতে হচ্ছে নগরবাসীকে। যদিও জেলা প্রশাসক মোঃ খলিলুর রহমান, পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম ও পৌর মেয়র ইকরামুল হক টিটুর উদ্যোগে একাধিকবার ঘটা করে ফুটপাথ ও সড়ক হকারমুক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সেটি টেকেনি।
×