ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ক্যান্সারের ওষুধ বিক্রির নামে প্রতারণা ॥ ৫ বিদেশী আটক

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ২৬ জানুয়ারি ২০১৮

ক্যান্সারের ওষুধ বিক্রির নামে প্রতারণা ॥ ৫ বিদেশী আটক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ক্যান্সারের কথিত ওষুধ বিক্রির নামে প্রতারণার দায়ে ঢাকা থেকে পাঁচ বিদেশী, জুতার মধ্যে স্বর্ণ পাচারকালে আড়াই কোটি টাকার স্বর্ণসহ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এক কর্মী ও মোহাম্মদপুর থেকে সাত ছিনতাইকারী গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর জোয়ারসাহারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ক্যামেরুনের পাঁচ নাগরিককে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। সিআইডির সহকারী বিশেষ পুলিশ সুপার আতাউর রহমান জানান, চক্রটি ‘বায়োক্যালিক অর্গানিক সিড’ নামে একটি রাসায়নিক পদার্থ ক্যান্সার রোগের ওষুধ বলে বিক্রি করত। এর আগে চক্রের সদস্য আরও এক নারী গ্রেফতার হয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ক্যান্সারের কথিত ওষুধ বিক্রির নামে একজনের কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি। প্রতারণার শিকার ব্যক্তি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টির অনুসন্ধান করছিল পুলিশের পিবিআই ও সিআইডি। পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) চক্রের সঙ্গে জড়িত ফাতেমা নামে এক নারীকে গ্রেফতার করে। ফাতেমা পুরো চক্র সম্পর্কে তথ্য দেয়। ফাতেমাই মূলত ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করত। পিবিআই ও ফাতেমার কাছ থেকে পাওয়া তথ্য মোতাবেক সিআইডি ওই পাঁচ বিদেশীকে গ্রেফতার করে। চক্রটি ক্যান্সারের ওষুধ ছাড়াও ডলার-ইউরো বিক্রির নামে প্রতারণা করত। তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু সরঞ্জাম জব্দ হয়েছে। এর মধ্যে একটি বিশেষ বাক্স পাওয়া গেছে। বিশেষভাবে তৈরি ওই বাক্সে সাদা কাগজের বান্ডিল রেখে কায়দা করে সেগুলোকে ডলার বা ইউরো বানিয়ে দেখাত তারা। এভাবে প্রলুব্ধ করে অনেকের কাছে ডলার-ইউরো সরবরাহ ও বিক্রির নামে টাকা হাতিয়ে নিত। এসব প্রতারণার ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম, মিরপুর ও পল্টন থানায় মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত পাঁচ নাগরিক বাংলাদেশে থাকার কোন বৈধ পাসপোর্ট বা এদেশে থাকার কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। আদালত পাঁচ জনকেই কারাগারে পাঠিয়েছে। বিমানকর্মীর জুতায় আড়াই কোটি টাকার স্বর্ণ ॥ বুধবার রাত সাড়ে বারোটার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্র্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানের পরিচ্ছন্নতাকর্মী মোস্তফা কামালের সন্দেহজনকভাবে চলাফেরা করার সময় তাকে আটক করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। কাস্টমস সূত্র বলছে, মোস্তফা খুব কষ্ট করে হেঁটে যাচ্ছিলেন। দেখে বোঝা যাচ্ছিল তার জুতার অনেক ওজন। সাধারণত জুতা পরে এত কষ্ট করে কাউকে চলাফেরা করতে দেখা যায় না। যদি সে অসুস্থ না হয়। সন্দেহজনকভাবে মোস্তফাকে জিজ্ঞাসা করা হলে সে জানায়, তার পায়ে অসুবিধা। এরপর পা জুতো থেকে বের করে দেখা হয়। পা স্বাভাবিক দেখে সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। এরপর জুতাতে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশিতে বেরিয়ে আসে আসল রহস্য। তার জুতার মধ্য থেকে উদ্ধার হয় ৪০টি স্বর্ণ বার। যার ওজন প্রায় পাঁচ কেজি। স্বর্ণ পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
×