ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের

বিএনপির রাজনীতি ঘৃণা করে ৮০ ভাগ, ভোট দেবে কেন

প্রকাশিত: ০৪:৫২, ২২ জানুয়ারি ২০১৮

 বিএনপির রাজনীতি ঘৃণা করে ৮০ ভাগ, ভোট দেবে কেন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ধানমন্ডিতে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের হৈচৈয়ের ঘটনাটি বিক্ষোভ ছিল না, ছিল আনন্দ মিছিল। প্রচার মাধ্যমে সঠিকভাবে সংবাদটি আসেনি। এজন্য আমি কষ্ট পেয়েছি। রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের কোন প্রয়োজন নেই। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপি ৮০ শতাংশ ভোট পাবে বলে দলটির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার দাবি সম্পর্কে তিনি বলেন, দেশের ৮০ ভাগ মানুষ বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতিকে ঘৃণা করে। যারা ঘৃণা করে তারা তাদের ভোট দেবে কেন। শনিবার সন্ধ্যায় ধানম-িতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাবেক ছাত্র নেতাদের বিক্ষোভ সম্পর্কিত সংবাদের প্রেক্ষাপটে ওবায়দুল কাদের এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, কোন সহ-সম্পাদকের পদ চূড়ান্ত করা হয়নি। যেসব নাম বিভিন্ন ভাবে এসেছে, সেগুলো সঠিক নয়। যাচাই-বাছাই করে তিন মাস পর সহ-সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হবে। যারা আমার কাছে এসেছিল তাদের উপ-কমিটি নিয়ে সঠিক তথ্য দেয়ার পর তারা আনন্দ প্রকাশ করেছে। ঘটনার সময় কোন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন না দাবি করে কাদের বলেন, তাহলে তারা শুনে লিখেছে। শুনে কেন লিখবে? এটা তো বিক্ষোভ নয়। উপ-কমিটি নিয়ে যা হয়েছে তা সম্পূর্র্ণ ভুল বোঝাবোঝি দাবি করে তিনি বলেন, এখানে স্থগিত বা বাতিলের বিষয় নেই। ১৯ বিভাগে সাব কমিটি হবে। আগে দুই-একটা বিভাগ ছাড়া সাব কমিটি ছিল না। যাদের সাব-কমিটিগুলো চূড়ান্ত হয়নি, সেই সম্পাদকদের কাছে অফিস সেক্রেটারির স্বাক্ষরে খসড়া কমিটি পাঠানো হয়েছিল। এটা প্রস্তাবিত বিষয়। অথচ এটা চলে গেছে ফেসবুকে এবং তাতেই বিভ্রান্তি হয়েছে। কমিটি চূড়ান্ত হলে এবং সভাপতি তাতে সায় দিলে তারপর সেখানে আমার সই নেয়া হবে। সেই কমিটির আদেশ তখন সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠানো হবে। এটাই আমাদের নিয়ম। সহায়ক সরকারের রূপরেখা নিয়ে বিএনপির প্রস্তাবের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির মধ্যে প্রতিযোগিতা হচ্ছে কে বেশি সরকারবিরোধী আক্রমণাত্মক, বিদ্বেষ-প্রসূত, নেতিবাচক কথা বলতে পারে। সেটার ওপর হাইকমান্ডের এসিআরের বিষয় আছে। সেখানে প্রতিযোগিতা হচ্ছে হাইকমান্ডকে খুশি করার জন্য। এটা করতে গিয়ে কে যে কী বলছেন তা বুঝাই কঠিন। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত তিনটা সরকারের কথা শুনলাম। একটা হচ্ছে নিরপেক্ষ সরকার, একটা হচ্ছে সহায়ক সরকার, আরেকটা হচ্ছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব বললেন, তারা শীঘ্রই সহায়ক সরকারের রূপরেখা ঘোষণা করবেন। একই দিন মওদুদ সাহেব বললেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে সহায়ক সরকারের রূপরেখা কী জানতে চাইবেন। তাহলে কী দাঁড়াল। এখানে আমি কী জবাব দেব? আগে নিজেরা ঠিক করুন তার পর আমরা জবাব দেব। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকার নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা দেবে। এটাই সংবিধানের নিয়ম। পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে এভাবেই প্র্যাকটিস হচ্ছে। বিএনপির সঙ্গে সংলাপের কোন সুযোগ আছে কিনা- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনী ইস্যু নিয়ে সংলাপের কোন প্রয়োজন আমরা দেখছি না। নির্বাচন হবে, সংলাপ কেন করতে হবে। নির্বাচনে অংশ নেয়া বিএনপির অধিকার। সংসদে প্রতিনিধিত্ব করা দলগুলোকে নিয়ে গতবার নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হয়েছিল। এবার তো বিএনপি সংসদে নেই। তারপরও বিএনপি এ সরকারে থাকতে পারবে কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, দেখুন সেই ভুলটা তাদেরই। অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচনকালীন সরকার যেভাবে হয় সেভাবেই হবে। যখন তাদের পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্ব ছিল তখনও কিন্তু নির্বাচনকালীন সরকারে যোগ দেয়নি। সহায়ক সরকারের বিষয়ে তাদের রূপরেখা দেখি। তার পরই না হয় কথা বলব। বিএনপি নির্বাচনে এলে আওয়ামী লীগ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কাদের বলেন, আসলে এসব কথার মনে হয়, নির্বাচন বানচালের দুরভিসন্ধি তাদের মধ্যে কাজ করছে। তাহলে যার কোন অস্তিত্ব নেই তা নিয়ে তারা কথা বলে কেন? বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখতে ছক করছে সরকার, বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তাদের নির্বাচনের বাইরে রাখার ছক কাটার তো কোন কারণ নেই। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন করার কোন ইচ্ছা আমাদের নেই।
×