ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ধলেশ্বরী ও মেঘনায় ট্রলার দিয়ে চাঁদাবাজি

প্রকাশিত: ০৪:০২, ১০ জানুয়ারি ২০১৮

ধলেশ্বরী ও মেঘনায় ট্রলার দিয়ে চাঁদাবাজি

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ ধলেশ্বরী ও মেঘনা নদীর এপার ওপার ঘাটের সামনে দিয়ে চলছে অসংখ্য ট্রলার, কার্গো, মালবাহী জাহাজসহ বিভিন্ন নৌযান। পয়েন্টে প্রবেশ করতেই কিছু দ্রুত গতি নৌকা এগিয়ে যায় চলন্ত নৌযানগুলোর দিকে। একটি মালবাহী কার্গো ভেসেলের সামনে নৌকা ভিড়তেই দেখা গেল ওই ভেসেল থেকে একজন লোক এগিয়ে আসেন। তিনি করমর্দন করেন নৌকায় থাকা লোকটির সঙ্গে। দু’জনের হাতবদল হতেই নির্বিঘেœ চলে যায় কার্গো ভেসেলটি। আর নৌকাটি ছুটে যায় অন্য জাহাজের দিকে। এভাবেই চলছিল করমর্দনের তথা চাঁদাবাজির মহোৎসব। নদীর মাঝপথে চলন্ত নৌযান থামিয়ে করমর্দনে মহাব্যস্ত ৩-৪টি নৌকায় থাকা ২০-২৫ যুবক। এই করমর্দনের মাধ্যমেই প্রতিদিন প্রকাশ্যেই চলে চাঁদাবাজি। কেউ টাকা দিতে অস্বীকার করলেই কপালে জোটে গজারির লাঠি। পাশাপাশি ছিনিয়ে নেয় জাহাজ বা নৌযানে রাখা তেল, মোবাইল ফোন ও চালের বস্তাসহ দামী জিনিসপত্র। নৌযান থেকে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করে ২০-২৫ জনের একটি দল। যারা তিন থেকে চারটি নৌকার মাধ্যমে এ কাজ করে থাকে। প্রতিটি নৌকায় ৬-৮ জন করে থাকেন। তাদের রয়েছে গজারির লাঠি থেকে শুরু করে আধুনিক অস্ত্র। এসব দলের নেতৃত্ব দেন ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতারা। প্রাণভয় ও হয়রানি এড়াতে কোন প্রশ্ন ছাড়াই চাঁদা দিচ্ছে নৌযান। মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী নদী ও মেঘনা নদীতে বের হলেই দেখা মিলে জল বাহিনীর চাঁদাবাজি চিত্র। এ বিষয়ে বর্তমান গজারিয়ার চরবাউশিয়ার বালু মহালের ইজারাদার ও মুন্সীগঞ্জ সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফসার উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, মুন্সীগঞ্জ সদরে ধলেশ্বরী নদীতে আমাদের কিছু নেই। তবে জানতে পেয়েছি শহরের বাল্কহেড শ্রমিক ইউনিয়ন নামের একটি সংগঠন রয়েছে তারা নাকি ধলেশ্বরী নদীতে নৌকা যোগে টাকা উত্তোলন করে আসছে। অবৈধ ভাবে এ টাকাটা তারা উত্তোলন করে আসছে। এটার কোন ইজারা নেই এবং বৈধতা নেই। তিনি বলেন, এই শ্রমিক ইউনিয়নের মধ্যে দুইটি ভাগ রয়েছে। একটি ভাগ আমার কাছে অভিযোগ করেছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এ দিকে মেঘনা নদীর সম্ভুপুরা এলাকার ৯নং ওয়ার্ডের বালুরচর গ্রামে অহরহ দেখা মিলছে ট্রলার যোগে চাঁদাবাজি।
×