ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

ফেসবুক স্ট্যাটাসে ব্যাপক সাড়া

রাজশাহী শহর নিয়ে স্বপ্নের কথা জানালেন লিটন

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ৯ জানুয়ারি ২০১৮

রাজশাহী শহর নিয়ে স্বপ্নের কথা জানালেন লিটন

মামুন-অর-রশিদ, রাজশাহী ॥ দেশের পরিচ্ছন্ন নগর হিসেবে মেয়র থাকাকালীন রাজশাহীকে স্বপ্নের রূপ দিয়েছিলেন তিনি। প্রায় পাঁচ বছর আগে আধুনিক নগরে রূপ দিয়েছিলেন তৎকালীন মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। সেই নগর আজ অনেকটায় ক্ষত-বিক্ষত, অপরিচ্ছন্ন। অযতœ অবহেলায় করুণ পরিণতি রাজশাহী শহরের। এ অবস্থায় আগামীতে নতুনরূপে স্বপ্নের রাজশাহী শহর গড়ার কথা এবার ফেসবুকে জানালেন লিটন। রাজশাহী সিটি করপোরেশনকে বাংলাদেশের মধ্যে আরও শান্তিপূর্ণ, সবুজ, পরিচ্ছন্ন ও বাসযোগ্য শহর গড়ে তোলার স্বপ্নের কথা জানিয়েছেন সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। রবিবার রাতে নিজের ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দিয়ে রাজশাহীকে স্বপ্নের শহর গড়ে তুলতে আরেকবার সুযোগ দেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। স্ট্যাটাসে খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহী শহর নিয়ে তার স্বপ্নগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরেন। ইংরেজীতে স্ট্যাটাসটি দেন তিনি। তবে সেটি হুবহু বাংলায় অনুবাদ করে পোস্ট করেন তার ফেসবুক বন্ধু এমএইচ মুকুল নামের এক ব্যক্তি। খায়রুজ্জামান লিটন তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘বন্ধুরা, আমি আপনাদের সঙ্গে আমার সমস্ত মতামত শেয়ার করা থেকে একটি দীর্ঘ বিরতিতে দিলাম, অনেক সময় কেটে গেছে। আমি এর জন্য ক্ষমা চাইছি। আমি আপনাদের সকল কর্মকা- শুনেছি, আমার ছবি পোস্ট করাসহ আমাকে নিয়ে আপনাদের কর্মকা-ের জন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ। আমার অনুপস্থিতি ইচ্ছাকৃত ছিল না। আমি দুঃখ-কষ্ট, দুঃখ ও যন্ত্রণাদায়ক সমুদ্রের মধ্যে বেঁচে ছিলাম, যেখান থেকে আমি একা যুদ্ধ করতে পেরেছি, অবশ্যই আল্লাহর সহায়তায় এবং কয়েকজন যারা আমার পরিবারের সদস্যদের মতো।এখন, আমি নতুন বছরের নতুন সূর্যের মতো মনে করি পূর্বের দিকে তাকিয়ে থাকি, তাড়াতাড়ি প্রাণোচ্ছ্বল হয়ে উঠতে এবং অন্যদের উজ্জ্বল আলো দিয়ে যেন আলোকিত করতে পারি। আমি নিজের মধ্যে সেই ঢেউ অনুভব করি এবং অন্যদের সাহায্য করার মিশন সম্পন্ন করার জন্য প্রতিক্ষায়, আমার প্রিয় শহর এবং তারপর বৃহত্তর পরিসরে দেশের। আপনারা আবারও রাজশাহীর পরিবেশ আরও উন্নত করার স্বপ্নটি পূরণ করতে আমাকে সুযোগ দিন দয়া করে। রাজশাহীর ব্যাপারে আমার দৃষ্টিভঙ্গি সম্পন্ন করার জন্য আমার আর পাঁচ বছরের প্রয়োজন আছে, যেখানে আমাদের সন্তানরা, প্রজন্মরা সুখী হবে এবং আমাদের জন্য প্রার্থনা করবে। এটি শিক্ষার শহর, স্বাস্থ্যসেবার শহর, এটি সারা বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষের ভালবাসার শহর, প্রশংসার শহর। এটি একটি ছোট, মাঝারি ও বড় বস্ত্র এবং অন্যান্য শিল্পের সাথে অর্থনৈতিক কার্যক্রমপূর্ণ শহর। রাজশাহী বাংলাদেশে আরও শান্তিপূর্ণ, সবুজ, পরিচ্ছন্ন ও বাসযোগ্য শহর হবে। শেষে তিনি লেখেন আপনারা কি আমাকে আবারও সেই সুযোগ দিবেন প্রিয় বন্ধুরা ?’
×