ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সোবার্সের পাশে স্টিভেন স্মিথ

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ৬ জানুয়ারি ২০১৮

সোবার্সের পাশে স্টিভেন স্মিথ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টেস্ট ইতিহাসের দ্বিতীয় দ্রুততম ৬০০০ রানের মাইলফলকে গ্রেট গ্যারি সোবার্সের পাশে নিজের নামটি খোদাই করে নিয়েছেন স্টিভেন স্মিথ। ঘরের মাটিতে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে আগেই ট্রফি পুনরুদ্ধার করা অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক সিডনি টেস্টের দ্বিতীয়দিন শেষে অপরাজিত ৪৪ রানে। ১১১তম ইনিংসে ব্যক্তিগত ২৬ রানের পথে ওই কীর্তি গড়েন তিনি। ডেভিড ওয়ার্নার ৫৬ রান করে আউট হলেও ৯১ রান নিয়ে স্মিথের সঙ্গে অপরাজিত মাঠ ছাড়েন উসমান খাজা। ২ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ১৯৩। তার আগে প্রথম ইনিংসে প্যাট কামিন্সের পেস তা-বে ৩৪৬ রানে অলআউট হয় প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। টেলএন্ডে একাধিক ব্যাটসম্যানের ছোট ছোট কয়েকটি প্রচেষ্টায় সম্মানজনক স্কোর পায় ৩-০তে এ্যাশেজ খোয়ানো সফরকারীরা। চতুর্থ টেস্ট ড্র হয়। সিডনির পঞ্চম ও শেষ এই টেস্টে সান্ত¡নার জয় পেতে মরিয়া জো রুটের দল। সিরিজে আগের চার টেস্টে স্মিথের স্কোর ১৪১*, ৪০, ৬, ২৩৯, ৭৬ ও ১০২*। সিডনিতে ৫৯৭৪ রান নিয়ে নামা অসি অধিনায়কের জন্য সোবার্সের পাশে বসাটা তাই মোটেই কঠিন ছিল না। যে ফর্মে বাকি ২৬ করতে আর কতক্ষণই বা লাগে। শুক্রবার দ্বিতীয়দিনে শেষ হওয়ার অনেকটা আগেই টেস্টে ৬০০০তম রানটা পেয়ে গেছেন। ১৯৬৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন সোবার্স। মাত্র ১১১তম ইনিংসে এ রান দ্বিতীয় দ্রুততম হয়েছিলেন সাবেক ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি। তাঁকে আর টপকাতে পারেননি কেউ। কুমার সাঙ্গাকারা (১১৬) ও সুনীল গাভাস্কার (১১৭) কাছাকাছি গিয়েছিলেন। ইনিংসের ৫৬তম বলেই সেটা করে ফেলেন স্মিথ। ক্যারিয়ারে ৬০০০ রান তোলায় দ্বিতীয় দ্রুততম ব্যক্তি এখন দুজন সোবার্স ও স্মিথ। তাহলে দ্রুততম কে? ক্রিকেটের আরও অনেক রেকর্ডের মালিক স্যার ডন ব্র্যাডম্যান। ৬ হাজার রান করতে স্বর্গবাসী অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটিং-ঈশ্বরের লেগেছিল মাত্র ৬৮ ইনিংস। গত মার্চ মাসেই ৫০০০ রানের মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন স্মিথ। সেখান থেকে ৬ হাজার ছুঁতে লাগল মাত্র ১৪ ইনিংস। সোবার্সকে ছুঁয়ে আলোচনায় অধিনায়ক স্মিথ। কিন্তু সিডনি টেস্টের দ্বিতীয়দিনে অস্ট্রেলিয়া ইনিংসের নায়ক খাজা। মাত্র ১ রানে ব্যানক্রফট আউট হওয়ার পর নেমেছিলেন তিনি। স্মিথকে সঙ্গী করে দিন পার করে মাঠ ছেড়েছেন। ৭ চার ও ১ ছক্কায় ইনিংসটি সাজিয়েছেন তিনি। ২০৪ বল খেলে অপরাজিত ৯১ রানে। এর আগে ফিফটি পেয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নারও। ৬ বাউন্ডারিতে ৫৬ করা ওয়ার্নারকে জেমস এ্যান্ডারসন ফেরানোর পর থেকেই মাথা কুটে মরছেন ইংলিশ বোলাররা। ১০৭ রানের তৃতীয় উইকেট জুটিটা তৃতীয়দিনে আর কত বড় হয়, তার ওপরই নির্ভর করছে সিরিজের শেষ টেস্টের ভাগ্য। ইংল্যান্ড দিন শুরু করেছিল ৫ উইকেটে ২৩৩ রানে। বড় ভরসা ডেভিড মালান ৫৫ রান নিয়ে শুরু করে এগোতে পারেননি বেশি দূরে। মিচেল স্টার্কের বলে ফিরেছেন ৬২ রানে। এরপর শেষ দিকের ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তা ও অস্ট্রেলিয়ানদের ক্যাচ মিসে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। মঈন আলির সহজ ক্যাচ ছাড়েন প্যাট কামিন্স, টম কুরানের ক্যাচ ছাড়েন জশ হ্যাজলউড। জীবন পেয়ে ৩০ ও ৩৯ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন দুজন। কামিন্স ফেরান দুজনকেই। দশে নেমে ৩২ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলেন স্টুয়ার্ট ব্রড। স্কোর ॥ ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস ॥ ৩৪৬/১০ (১১২.৩ ওভার; কুক ৩৯, স্টোনম্যান ২৪, ভিঞ্চ ২৫, রুট ৮৩, মালান ৬২, বেয়ারস্টো ৫, মঈন ৩০, কুরান ৩৯, ব্রড ৩১, ক্রেইন ৪, এ্যান্ডারসন ০*; স্টার্ক ২/৮০, হ্যাজলউড ২/৬৫, কামিন্স ৪/৮০, লায়ন ১/৮৬)। অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস ॥ ১৯৩/২ (৬৭ ওভার; ব্যানক্রফট ০, ওয়ার্নার ৫৬, খাজা ৯১*, স্মিথ ৪৪*, এ্যান্ডারসন ১/২৫, ব্রড ১/২৮)। ** দ্বিতীয়দিন শেষে
×