ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কক্সবাজার আর্মড পুলিশ ইউনিট গঠনের প্রস্তাব

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ৩ জানুয়ারি ২০১৮

কক্সবাজার আর্মড পুলিশ ইউনিট গঠনের প্রস্তাব

শংকর কুমার দে ॥ মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গারা গুরুতর অপরাধে জড়িয়ে পড়ায় তাদের নিয়ন্ত্রণের জন্য ‘কক্সবাজার আর্মড পুলিশ ইউনিট’ (এপিবিএন) গঠনের প্রস্তাব করেছে পুলিশ সদর দফতর। রোহিঙ্গারা এতই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে কক্সবাজার জেলায় আশ্রিত রোহিঙ্গাদের অপরাধ দমনে কক্সবাজার জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে ১ হাজার ২০০ পুলিশ। রোহিঙ্গারা মানবপাচার, হত্যা, চুরি, ডাকাতি, মাদক বিক্রি মারামারিসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ার কারণে মোতায়েন করা পুলিশ অপরাধ দমনে হিমশিম খাচ্ছে। বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের একাংশের অবস্থান দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কায় পুলিশের পক্ষে দীর্ঘকাল রোহিঙ্গাদের অপরাধ দমন অসম্ভব। এ কারণে রোহিঙ্গাদের অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণের জন্য কক্সবাজার আর্মড পুলিশ ইউনিট গঠনের প্রস্তাব করেছে পুলিশ সদর দফতর। পুলিশের আইজি একেএম শহীদুল হক দৈনিক জনকণ্ঠের সঙ্গে আলাপকালে কক্সবাজার আর্মড পুলিশ ইউনিট গঠনের প্রস্তাব করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশের আইজি একেএম শহীদুল হক দৈনিক জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন, সারাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ১ হাজার ২শ’ পুলিশ কক্সবাজার রোহিঙ্গাদের অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণের জন্য দীর্ঘকাল রাখা সম্ভবপর নয়। এজন্য কক্সবাজার আর্মড পুলিশ ইউনিট গঠন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বগুড়া, ময়মনসিংহ, খাগড়াছড়িতে আর্মড পুলিশের ব্যাটালিয়ান কাজ করছে। সুতরাং কক্সবাজার আর্মড পুলিশ ইউনিট গঠনে আইনগত কোন বাধা নেই। পুলিশ সদর দফতর থেকে প্রস্তাবটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১২ মে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার নয়াপাড়ায় রোহিঙ্গা শিবিরে আনসার বাহিনীর শালবন ব্যারাকে হামলা চালিয়ে অস্ত্র এবং বিপুলসংখ্যক গুলি লুট করা হয়েছিল। সেই হামলায় আনসার কমান্ডার নিহত হওয়ার পাশাপাশি অনেকে আহত হয়েছিলেন। এ ঘটনা উল্লেখ করে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপের অনুরোধ জানানো হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, পুলিশ সদর দফতর থেকে কক্সবাজার আর্মড পুলিশ ইউনিট গঠনের প্রস্তাবটি এসেছে গত সপ্তায়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই প্রস্তাবের বিষয়টি ইতিবাচকভাবেই দেখছে। আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষে এটা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিবেন। সূত্র মতে, পুলিশের এই বিশেষায়িত ইউনিট কক্সবাজার জেলায় গঠন করা গেলে রোহিঙ্গাদের সামাল দেয়া সম্ভব হবে বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
×