ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ওপেনিংয়ে তামিমের সঙ্গী সাদমান!

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭

ওপেনিংয়ে তামিমের সঙ্গী সাদমান!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টেস্টে তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেনিংয়ে ২০১৭ সালে ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকার ও লিটন কুমার দাস খেলেছেন। কেউই সফল হতে পারেননি। একটি ম্যাচেই শুধু শতরানের জুটি হয়েছে। গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তামিম-সৌম্য মিলে ওপেনিং জুটিতে ১১৮ রান যোগ করতে পারেন। কলম্বোয় বাংলাদেশের শততম টেস্টেও তামিম-সৌম্য জুটি ৯৫ রান করে দেখান। আর কোন জুটিই ৭০ রানেরও হয়নি। আর তাই নির্বাচকরা এ ওপেনিং জুটি নিয়ে আছেন চিন্তায়। সেই চিন্তা থেকেই এবার সাদমান ইসলামকে প্রাথমিক দলে নেয়া হয়েছে। দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে তামিমের সঙ্গে ওপেনার সাদমান ইসলামকে চিন্তা করা হচ্ছে। বিসিবির প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুই যেমন বলেছেন, ‘সাদমানকে আমরা নিয়েছি, ও আমাদের এইচপির খেলোয়াড়। লংগার ভার্সনে আমরা কিছু ওপেনারের খোঁজে আছি। যেটা আমরা এইচপিতে দেখেছি এবং শেষ আয়ারল্যান্ড সিরিজে হোমে যেটা ‘এ’ দলের সঙ্গে খেলা হয়েছিল ওখানে যথেষ্ট ভাল করেছে লংগার ভার্সনে। সে হিসেবে ওটা মাথায় রেখেই আমরা ওকে প্রস্তুতি ক্যাম্পে নিয়েছি।’ যে আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে ম্যাচটির কথা বলছেন নান্নু, সেটি অক্টোবরে সিলেটে হয়েছিল। ম্যাচটির প্রথম ইনিংসে ১০৮ রানের ইনিংস খেলে নিজেকে চিনিয়েছেন সাদমান। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ ‘এ’ দল ম্যাচটিও জিতে। সাদমান হন ম্যাচ সেরা। সেই ইনিংসটিই নির্বাচকদের সাদমানকে প্রাথমিক দলে রাখতে বাধ্য করেছে। তাছাড়া সাদমানকে দীর্ঘপরিসরের ক্রিকেটে মানানসইও মনে করছেন তারা। সাদমানের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে খেলার বয়স অবশ্য বেশি নয়। মাত্র তিন বছর। ২০১৪ সালে প্রথম খেলেন ঢাকা মেট্টোপুলিশের এ ওপেনার। সেই থেকে ২৮টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলেন। ৪৬ ইনিংসে তার গড় এবং রান ঈর্ষণীয়ই। ৪১.৯৫ গড়ে ৩টি সেঞ্চুরি ও ১০টি হাফ সেঞ্চুরিসহ ১৮৪৬ রান করে ফেলেছেন। সর্বশেষ ঢাকা মেট্টোর হয়ে রাজশাহী বিভাগের বিপক্ষে ম্যাচটিতে প্রথম ইনিংসে ৭৫ রানের ইনিংস খেলেছেন। তাতে নির্বাচকরাও তাকে নিয়ে ভরসা খুঁজে পাচ্ছেন। এখন তামিমের সঙ্গী হয়ে মাঠে নামতে পারলেই হয় সাদমানের। সেই সঙ্গে নৈপুণ্য দেখাতে পারলেই হয়। বুধবার জাতীয় দলের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। শুরুর দিনে ওপেনার তামিম ইকবাল প্রস্তুতিতে না থাকলেও ছিলেন সাদমান। তার দিকে বিশেষ নজর আছে সবার। প্রস্তুতি শেষে নান্নু প্রাথমিক দল গড়া নিয়ে এবং বিসিএল নিয়ে জানান, ‘যেহেতু একটা ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে এখানে সেরা দলটাই করা হবে। সেটা মাথায় রেখেই কাজ করছি। যারা সেরা ফর্মে থাকবে এবং গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় যারা আছে তারাই ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে।’ বিসিএল নিয়ে বলেন, ‘আমরা ৮০ ভাগ এগিয়ে গিয়েছি। এখন চারটা দল (বিসিএল) তৈরি করে দিচ্ছি। আমরা চাইছি এনসিএলে যারা সেরা পারফরমার আছে, ওদের যেন সুযোগ দিতে পারি। সঙ্গে এইচপির খেলোয়াড়রা আছে। তারপর জাতীয় দলের যারা টেস্ট খেলবে তাদের যেন সুযোগ দিতে পারি। এভাবে চিন্তা-ভাবনা করছি।’ জাতীয় দলের প্রাথমিক দলে নেই সোহান। কেন? সেই প্রশ্নের উত্তরও দিতে হয়েছে প্রধান নির্বাচককে। নান্নু জানান, ‘সোহানের ব্যাপারটা এনসিএলের পারফরমেন্স দেখেছি। সঙ্গে ৩১ জনের দলে উইকেটকিপার অনেকগুলো প্রতিযোগিতায় আছে। সবকিছু মাথায় রেখেই সিদ্ধান্তটা নেয়া হয়েছে। এমন না যে ও আমাদের নজরের বাইরে। যেহেতু ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেক খেলা আছে, সেখানে ভাল করলে যে কোন সময় আবার ফিরে আসবে।’ সোহান কি মানসিকভাবে পিছিয়ে থাকবে? এত বড় দলেও নেই। নান্নুর কণ্ঠে সোহানকে নিয়ে প্রশংসাই বের হল, ‘এখানে পেশাদার ক্রিকেটারের কাছে সব ফরমেটে খেলা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। সে হিসেবে পারফরমেন্স কিন্তু সবার আগে দেখতে হয়। সোহানের এটা চিন্তা করা উচিত না যে, ও এখনই বাদ পড়ে গেছে। ওর যথেষ্ট সময় আছে এবং আমার মনে হয় যে ও এমন একজন লড়াকু ক্রিকেটার যে কোন সময় ও ফিরে আসবে।’
×