ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

ওআইসি সম্মেলনে আব্বাস

মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র আর মধ্যস্থতাকারী নয়

প্রকাশিত: ০৩:৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭

মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র আর মধ্যস্থতাকারী নয়

ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বুধবার বলেন, ফিলিস্তিনীরা ইসরাইলের সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আর যুক্তরাষ্ট্রকে মেনে নেবে না। জেরুজালেম পোস্ট। তুরস্কের ইস্তানবুলে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা ওআইসির এক জরুরী অধিবেশনে আব্বাস এ কথা বলেন। ৬ ডিসেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সেখানে তাদের দূতাবাস সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেন। এরপর ওআইসির এই জরুরী অধিবেশন ডাকা হয়। প্রায় এক ঘণ্টার বক্তৃতায় আব্বাস বলেন, এ ধরনের কাজ করতে থাকলে আমরা আমেরিকাকে চাই না এবং মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তাদের গ্রহণও করব না। বক্তৃতাকালে প্রেসিডেন্ট আব্বাসকে বেশ হতাশাগ্রস্ত মনে হচ্ছিল। এই সম্মেলনে জর্দানের বাদশাহ আব্দুল্লাহ, তুর্কী প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগান ও অন্যান্য মুসলিম নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ট্রাম্পের জেরুজালেম সিদ্ধান্তে ফিলিস্তিনী প্রেসিডেন্ট অনুরূপ বক্তব্য দেন। ৯০-এর দশকের শুরু থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইল ও ফিলিস্তিনীদের মধ্যে শান্তি প্রক্রিয়ায় মুখ্য মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে আসছে। এ লক্ষ্যে তারা উভয় পক্ষের সঙ্গে প্রায় সময় আলোচনা বৈঠকের আয়োজন এবং যোগাযোগ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখে। আব্বাস যুক্তরাষ্ট্রের পরিবর্তে জাতিসংঘকে, ফিলিস্তিন-ইসরাইল দ্বন্দ্বে ভূমিকা গ্রহণের আহ্বান জানান এবং নতুন ধরনের পন্থা গ্রহণ করে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগ করার কথা বলেন। গত সপ্তাহের পর আব্বাসের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা বলেন, রাশিয়া, চীন ও ফ্রান্সসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক শক্তির সমন্বয়ে বহুমুখী শান্তি কাঠামো গড়ে তোলা উচিত। তবে ইসরাইল এ ধরনের কাঠামো অনুযায়ী শান্তি প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করতে ইতোপূর্বেই অস্বীকৃতি জানানোর প্রেক্ষিতে-এতে কোন বাস্তব ফল হবে কী নাÑতা নিয়ে সন্দেহ আছে। আব্বাস আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি সত্ত্বেও ফিলিস্তিনীরা জাতিসংঘের পূর্ব সদস্য পদ লাভের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের দ্বারস্থ হবে। এ বিষয়ে তিনি সকল সদস্য দেশের সাহায্য ও সমর্থন কামনা করেন। এর আগেও ২০১১ সালে ফিলিস্তিনীরা জাতিসঙ্গে পূর্ণ সদস্যপদের জন্য আবেদন জানালে যুক্তরাষ্ট্র তাতে ভেটো দিয়ে এই উদ্যোগ বাতিল করে দেয়। ফিলিস্তিনী প্রেসিডেন্ট তার ভাষণে ১৯৯৩ সালে সম্পাদিত আসল চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসারও হুমকি দেন। উল্লেখ্য, এই চুক্তি অনুসারেই ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ গঠিত হয়। আব্বাস বলেন, ইসরাইলের অব্যাহত চুক্তি লঙ্ঘন ও ঔপনিবেশিক শক্তি প্রদর্শন এবং সর্বশেষে জেরুজালেমে রাজধানী প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ আমাদের এই চুক্তি পরিত্যাগে বাধ্য করছে। আমরা ইসরাইয়েলের দখলদারিত্বে কোন ধরনের কর্তৃত্ব ছাড়া নামমাত্র কর্তৃপক্ষ থাকতে চাই না।
×