ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসন দাবি ॥ প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ২৩ নভেম্বর ২০১৭

ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসন দাবি ॥  প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ যশোর অঞ্চলের বিশাল ও বিস্তীর্ণ ভবদহ অববাহিকা অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দ। বুধবার রাজধানীর শাহবাগে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন যাবত স্থায়ী জলাবদ্ধতা সঙ্কটে নিমজ্জিত হয়ে ভবদহ অঞ্চলের মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে। মানুষের দুঃখ-দুর্দশা মোচনে বছরের পর বছর আন্দোলন সংগ্রাম হলেও কোন সুফল পাওয়া যায়নি। তাই অবিলম্বে ভবদহ জলাবদ্ধতা সঙ্কটের সমাধান করতে হবে। ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক রণজিৎ বাওয়ালির সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ, সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক মহাপরিচালক প্রকৌশলী ম ইনামুল হক, ওয়ার্কার্স পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান মল্লিক, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ প্রমুখ। বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, গত ১৬ মার্চ যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিল কপালিয়ায় টিআরএম প্রকল্প প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল। কিন্তু মাত্র অল্প কিছুদিন আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের যশোর অফিস তা ঢাকা অফিসে পাঠিয়েছে। প্রকল্পটি এখনও পর্যন্ত সরকারের কাছে উত্থাপন না করে পানি উন্নয়ন বোর্ডেই ফেলে রাখা হয়েছে বলে জনগণের ভোগান্তি কেবল বাড়ছে। বক্তারা আরও বলেন, নদী বাঁচলে দেশ বাঁচবে। ভবদহ জলাবদ্ধতা সমস্যা এখন এই জনপদের শুধু নয়, পুরো দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলেই ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হচ্ছে। অন্যান্য নদী পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাচ্ছে, ফলে এর প্রভাবে কপোতাক্ষ ও ভৈরবে যে সুফল আসতে শুরু করেছে তাও ভেস্তে যাবে। ভবদহ অঞ্চলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে আগামী মাঘী পূর্ণিমার আগেই বিল কপালিয়ায় টিআরএম ও প্রস্তাবিত প্রকল্প বাস্তবায়ন, আমডাঙ্গা খাল সংস্কার, হরিহর, আপার ভদ্রা ও বুড়ি ভদ্রায় জরুরীভিত্তিতে পুনঃখনন, এলাকার সকল নদী ও খাল পুনরুদ্ধার ও অবমুক্তকরণ, পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধক সকল পাটা, জাল, শ্যাওলা অপসারণ, জলাবদ্ধতা নিরসনে সংস্কার কাজের সংঘটিত দুর্নীতির বিচার, মানবিক বিপর্যয় রোধে সরকার কর্তৃক খাদ্য নিরাপত্তা ও চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণ, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসন এবং ঘের সংক্রান্ত সরকারী নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানানো হয়। মানববন্ধন শেষে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে গিয়ে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
×