ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকা মেডিক্যাল থেকে চুরি হওয়া শিশু না’গঞ্জে উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ২২ নভেম্বর ২০১৭

ঢাকা মেডিক্যাল থেকে চুরি হওয়া শিশু না’গঞ্জে উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ফের জিম নামে তিন মাসের এক শিশু চুরির অভিযোগ উঠেছে। ১৭ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে শিশুটিকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা এলাকার একটি মার্কেট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সন্ধ্যার দিকে ফতুল্লা থানার ডিউটি অফিসার এসআই রোখসানা আক্তার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, শাহবাগ থানা পুলিশের সহযোগিতায় ফতুল্লা থানা পুলিশের এসআই সাইফুল হকের নেতৃত্বে একটি টিম শিশু জিমকে উদ্ধার করেছে। এসআই রোখসানা জানান, এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। শিশুটি এখন ফতুল্লা থানায় আছে। এদিকে শিশু চুরির ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ঢামেক কর্তৃপক্ষ। ঢামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক (ফাইন্যান্স) বিদ্যুত কান্তি পালকে প্রধান করে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ঢামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডাঃ কেএম তারিক জানান, আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে শিশু চুরির ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন উপ-পরিচালক (প্রশাসন) ডাঃ আবু জাহের ও উপ-পরিচালক (প্রশাসন) ডাঃ সাইদুজ্জামান। চুরি হওয়া শিশু জিমের বাবা মোঃ জুয়েল জানান, ঢামেক হাসপাতালের নতুন ভবনের ৭০১ নম্বর ওয়ার্ডের ৪০ নম্বর বেডে মেয়েকে রেখে বারান্দায় ঘুমিয়েছিলেন মা মাজেদা। রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঘুম ভেঙ্গে গেলে দেখেন জিম (মেয়ে) নেই। এদিকে ঘটনার পর ঢামেক হাসপাতালে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এর আগেও ঢাকা মেডিক্যাল থেকে শিশু চুরির ঘটনা ঘটেছে। চুরি হয়ে যাওয়া শিশুর বাবার নাম জুয়েল মিয়া ও মায়ের নাম মাজেদা বেগম। তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানার খুরশিদ মহল গ্রামে। অসুস্থ বাবা জুয়েলের সঙ্গে গত ৩১ অক্টোবর ঢামেক হাসপাতালে এসেছিল সে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া জানান, ডায়াবেটিস ও কিডনি সমস্যা নিয়ে জুয়েল মিয়া হাসপাতালের নতুন ভবনের ৭০১ নম্বর ওয়ার্ডের ৪০ নম্বর বেডে ভর্তি হন। তার সেবার জন্য জিমকে নিয়ে তার মা সুমাইয়া ওরফে মাজেদা বেগমও হাসপাতালে অবস্থান করছিলেন। এসআই বাচ্চু মিয়া আরও জানান, সোমবার রাত ১২দিকে সুমাইয়া স্বামীর পাশে ৪১ নম্বর বেডে জিমকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে দেখেন জিম নেই। তার চিৎকারে অন্যরা এগিয়ে এসে খোঁজাখুঁজি করলেও শিশুটির খোঁজ পাওয়া যায়নি। নিখোঁজ শিশু জিমের মা সুমাইয়া হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানান, তার মেয়েকে দেখে অন্য রোগীর স্বজনসহ অনেকেই প্রশংসা করেছেন। কথা বলেছেন। কিন্তু তাদের কেউ জিমকে চুরি করেছে কি-না সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত নন। তিনি জানান, শিশুটিকে উদ্ধারের সব ধরনের চেষ্টাই করা হচ্ছে। তবে কিভাবে শিশুটি নিখোঁজ হলো তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। নাকি তাকে তুলে নিয়ে গেছে- নানা বিষয় মাথায় নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান জনকণ্ঠকে জানান, বিকেলে শাহবাগ থানার পুলিশের একটি টিম নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা এলাকার একটি মার্কেট থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করেছে। এর আগে হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে চোরকে শনাক্ত করা হয়। পরে শাহবাগ থানার পুলিশের একটি শক্তিশালী টিম শিশুটিকে উদ্ধারে মাঠে নামে।
×