ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধান রাতারাতি সম্ভব নয় ॥ সুচি

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ২২ নভেম্বর ২০১৭

রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধান রাতারাতি সম্ভব নয় ॥ সুচি

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে চলতি সপ্তাহেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রশ্নে একটি সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে আশা করছেন মিয়ানমারের নেত্রী আউং সান সুচি। তবে এ সঙ্কটের সমাধান রাতারাতি সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেছেন মিয়ানমারের নোবেল বিজয়ী স্টেট কাউন্সিলর। নেপিডোয় এশিয়া ও ইউরোপের দেশগুলোর জোট আসেমের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের শেষ দিন মঙ্গলবার সুচি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানায়, আজ বুধ ও আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক হবে জানিয়ে সুচি বলেন, আমরা আশা করছি, এ আলোচনার ফলাফল হিসেবে শীঘ্রই একটি সমঝোতা স্মারক সই করা সম্ভব হবে, যাতে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে যাওয়া সবাইকে নিরাপদে ফেরানোর ব্যবস্থা করা যায়। এর আগে সোমবার আসেম সম্মেলনের সাইডলাইনে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে আলোচনা হয়। এশিয়া ও ইউরোপের ১৫টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এক অনানুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে রাখাইনে সহিংসতা বন্ধ করে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের দ্রুত ফিরিয়ে নেয়ার তাগিদ দেন। সেই সঙ্গে কোফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের ওপরও জোর দেন তারা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ওই অনানুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন। এছাড়া সম্মেলনের ফাঁকে কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের মন্ত্রীদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেন। এসব বৈঠকের ফল সম্পর্কে জানতে চাইলে মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ইউরোপীয় দেশগুলোর কাছ থেকে সঙ্কট সমাধানে সহযোগিতার আশ্বাস পেয়েছেন তিনি। মাহমুদ আলী বলেন, মিয়ানমারের নেত্রী আউং সান সুচির সঙ্গে বুধবার বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের বৈঠক রয়েছে। সেখানেও রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে আলোচনা হবে। আগস্টের শেষ দিকে রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর এ পর্যন্ত ছয় লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘ এ অভিযানকে চিহ্নিত করেছে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ হিসেবে। পশ্চিমা বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠন মিয়ানমারের নেত্রী নোবেল বিজয়ী সুচিরও সমালোচনা করে আসছে। তারা বলছে, সুচির সরকার রাখাইনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বন্ধে যথেষ্ট কঠোর অবস্থান নিতে পারেনি। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রশ্নে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে গত মাসে আলোচনা শুরু হলেও শর্ত নিয়ে এখনও উভয়পক্ষ কোন সমঝোতায় আসতে পারেনি।
×