নিজস্ব সংবাদদাতা, নড়াইল, ২৪ অক্টোবর ॥ নারী পাচারকারী চল্ডের খপ্পরে পড়ে ভারতের একটি পতিতালয় থেকে সাত বছর পর পালিয়ে এসে মামলা করে বিপাকে পড়েছেন নড়াইলের কালিয়া উপজেলার শীতলবাটী গ্রামের এক সন্তানের জননী তানজিরা বেগম। ভুক্তভোগী ওই নারীর অভিযোগ, আমার মতো কোন নারীর যেন এমন পরিস্থিতি না হয়। পাচারকারী চল্ডের মূল হোতা ফোরকান ও আলামিনের যেন উপযুক্ত বিচার হয়। ফোরকান ও আলামিনের আত্মীয়স্বজন দম্ভ করে এলাকায় বলে বেড়াচ্ছে, এ মামলায় তাদের কিছু হবে না। মানবপাচার মামলা তুলে নেয়ার জন্য তাকে হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে। প্রতিনিয়ত হুমকির কারণে তানজিরা বেগম এখন নিরাপত্তাহীনায় ভুগছেন। কালিয়া উপজেলার শীতলবাটী গ্রামের তানজিরা বেগম বলেন, পেড়লী গ্রামের ফোরকান ও আলামিনসহ একটি সংঘবদ্ধ চক্র মানবপাচারকারী দলের সদস্য। তারা বিভিন্ন সময়ে কালিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে একাধিক নারীকে ভারতের মুম্বাইয়ে পতিতালয়ে বিক্রি করেছে। এর মধ্যে ফোরকান শেখ তার স্ত্রী ও সন্তানদের কথা গোপন রেখে আমাকে (তানজিরা) প্রায় নয় বছর আগে বিয়ে করে। এরপর ২০০৯ সালের ১০ জানুয়ারি আলামিনের যোগসাজশে শীতলবাটী গ্রাম থেকে বেড়ানোর কথা বলে আমাকে ভারতে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভারতের মুম্বাই শহরের গ্র্যান্ড রোডের পতিতালয়ে বিক্রি করে দেয়। এর পরও বিভিন্ন সময়ে ভারতের আরও কয়েকটি পতিতালয়ে আমাকে বিক্রি করে দিয়ে ফোরকান ও আলামিন ওই টাকা নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসে। একপর্যায়ে ২০১৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ভারতের পোনা এলাকার একটি পতিতালয় থেকে পালিয়ে আমি বাংলাদেশে চলে আসি। গ্রামের বাড়ি শীতলবাটীতে আসার পর ফোরকান আমাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে অস্বীকার করে। পরবর্তীতে এ বছরের (২০১৭) প্রথম দিকে আমাদের বিবাহবিচ্ছেদ হলে আমি বাবার বাড়িতে অবস্থান করি। আমাদের দাম্পত্য জীবনে মীম নামে সাত বছরের এক সন্তান রয়েছে। ফোরকান মীমের ভরণ-পোষণও ঠিকমতো দেয় না বলে অভিযোগ করেন তিনি। তানজিরা বেগম আরও বলেন, বিবাহবিচ্ছেদের পর গত ২০ দিন আগে ফোরকান আমাকে আবার বিয়ে করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: