দ্রুত ও অল্প খরচে সিসা-দূষিত পানি শনাক্তের যন্ত্র আবিষ্কার করে ‘আমেরিকার শীর্ষ তরুণ বিজ্ঞানী’র খেতাব জিতেছে ১১ বছরের গীতাঞ্জলি রাও।
সেরা দশে জায়গা করে নেয়া তরুণ বিজ্ঞানীরা তিন মাস ধরে অন্যান্য বিজ্ঞানীর সহায়তায় তাদের প্রকল্পগুলোর উন্নয়ন করে। গীতাঞ্জলির উদ্ভাবিত যন্ত্র কার্বন ন্যানোটিউবের মাধ্যমে পানিতে সিসার উপস্থিতি শনাক্ত করে। যুক্তরাষ্ট্রের হাজার হাজার পানি সরবরাহ ব্যবস্থায় সিসাদূষণের খবর পাওয়া গেছে। এক সাক্ষাতকারে গীতাঞ্জলি জানায়, ২০১৪-১৫ সালে মিশিগান অঙ্গরাজ্যের সবচেয়ে বড় শহর ফ্লিন্টে পানিদূষণের ঘটনা তাকে সিসাদূষণ শনাক্তকারী যন্ত্র আবিষ্কারে উৎসাহ দেয়। ওই কেলেঙ্কারিতে জড়িত কয়েক কর্মকর্তার বিচার চলছে, তাদের কারও কারও বিরুদ্ধে নরহত্যার অভিযোগও আনা হয়েছে। এখন পর্যন্ত পানিতে সিসা শনাক্তকরণ পরীক্ষা বেশ ব্যয়সাপেক্ষ। গীতাঞ্জলির উদ্ভাবিত যন্ত্রের নাম ‘টেথিস’। গ্রিক পুরাণে টেথিস বিশুদ্ধ পানির দেবী। ‘টেথিস’ একটি সেন্সরের মাধ্যমে সব সময় একটি বিশেষ মোবাইল এ্যাপের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে।
ওই এ্যাপের মাধ্যমে যন্ত্রটি প্রায় তাৎক্ষণিকভাবে একদম নির্ভুল ফলাফল দেবে। যন্ত্রটি বজারজাত করার আগে সেটির আরও উন্নয়ন করতে চায় গীতাঞ্জলি। পুরস্কার হিসাবে মেয়েটি পেয়েছে ২৫ হাজার ডলার। ফোর্বস অনলাইন অবলম্বনে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: