ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:১৫, ২০ অক্টোবর ২০১৭

উবাচ

বলা যাবে না স্টাফ রিপোর্টার ॥ ব্যারাকে বসেই রাজনীতির শুরু, সেখান থেকে রাজনৈতিক দল গড়ে বন্দুকের নলের মুখে নির্বাচন- এই হচ্ছে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা হয়ে ওঠার আসল ইতিহাস। সঙ্গত কারণে দেশের প্রথম স্বৈরশাসক হিসেবেই সবাই তাকে মনে রাখবে। ইতিহাসে জাতির জনকের হত্যার পেছনে যারা কলকাঠি নেড়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম জিয়াউর রহমান। বিএনপির রাজনীতি যারা করেন তারা এসব এড়িয়েই যান। তাদের একটাই সেøাগান- বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা জিয়া। নিজেরাও জানেন এসব টিকে থাকার সেøাগান ছাড়া কিছু নয়, তারপরও বিএনপি নেতারা এসব শুনলে বেশ খুশিই হন। সম্প্রতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা সে কাজটিই করেছেন, জিয়াকে বলে দিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা। বিএনপির হৃদয়ে তো সুখের ঝর্ণাধারা বয়ে যায়। কিন্তু অন্যরা বলছেন, এ কি বললেন সিইসি! কাদের সিদ্দিকীই প্রতিবাদ করেছেন প্রথম। কিন্তু আওয়ামী লীগ প্রতিবাদ করা তো দূরের কথা, একটি বাক্যও ব্যয় করেনি। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সিইসির সঙ্গে সংলাপের পর আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বলেছেন, ব্যাখ্যা পেয়ে গেছি কিন্তু বলা যাবে না। রূপকথা! স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা দেশের ইতিহাস পাল্টে দিতে চেয়েছিলেন। সরাসরি দেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে অস্বীকার করেছেন। এখনও ’৭১ দেখেছেন এমন বহু মানুষ বেঁচে আছেন, তাই সিনহার এ রায়ে হয়ত কিছু আসে যায় না। কিন্তু হাজার হাজার বছর পর কেউ যদি গবেষণা করতে বসেন আর সিনহার এ রায়টি তার হাতে পড়ে তাহলেও ইতিহাসে ভিন্ন কিছু উঠে আসবে না। আর আমরা জাতি হিসেবে এমন দুর্ভাগা যে, ’৭১ এবং ’৭৫-এর সেদিনের কথা কিন্তু এই ইতিহাসেও ভেজাল মেশানোর চেষ্টা করা হয়। জজ মিয়া নাটক আমাদের দেশেই মঞ্চস্থ হয়েছে। এরপর সরকার নজর দিল সিনহার দুর্নীতি অনুসন্ধানে। পাওয়া গেল গাদা গাদা পয়সা আয় আর বিদেশে পাচারের তথ্য। কিভাবে একটি আস্ত ছয়তলা বাড়ি আয়কর বিবরণীতে তুলতে ভুলে যায় সে প্রশ্নও উঠল। কিভাবে ওই বাড়ির আমমোক্তারনামা দলিল করে দেয় তার পিএসের স্ত্রীর নামে। ওই বাড়ি বিক্রির টাকা কিভাবে অন্য একজন ব্যবসায়ী পাবেন এমন চুক্তি হয়। কিভাবে এ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা জমা পড়ে আবার তা তুলে নেয়া হয়। এসব নিয়ে যখন বিস্তর প্রশ্ন জড় হলো এবং সব বিচারপতি মিলে ব্যাখ্যা চাইলেন, তখন তিনি ছুটি নিয়ে চলে যান। এতকিছুর পরও বিএনপির কেন মনে হচ্ছে প্রধান বিচারপতি সাচ্চা ব্যক্তি। তার মতো ভাল মানুষ দেশে আর নেই তা বোধগম্য নয়। বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী সিনহা প্রেমে প্রায় পাগল হয়েই বলেছেন, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ‘সরকারের সাজানো রূপকথার গল্প’। এর অর্থ কী? দলটি কি বরাবর দুর্নীতিবাজদের পক্ষই নেবে? নাকি শুধু সিনহাকেই বিশ^াস করবে, অন্য বিচারপতিদের বিশ^াস করবে না? বিচারপতিরা যে দুর্নীতিগ্রস্ত সিনহার সঙ্গে একই বেঞ্চে বসতে চান না, এ কথা শোনার পরও সিনহা প্রেমে অন্ধ থাকার কারণটা কী? গোড়ায় হাত! স্টাফ রিপোর্টার ॥ গোড়ায় হাত দিলে অনেকের অনেক কিছু বের হয়ে যাবে। গত সপ্তাহে আলোচিত এ মন্তব্যটি করেছেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। তিনি রূপালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে ব্যাংকটির কর্মকর্তাদের গোড়ায় হাত দেয়ার বাসনা প্রকাশ করেছেন। তবে বহিষ্কৃত সিবিএ নেতাদের চাকরি ফিরিয়ে দিলে সে হাত সরিয়ে আনার ইঙ্গিও দিয়েছেন। এর আগেও বহুবার দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের পর চালকদের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেছে মন্ত্রীকে। কেন বারবার বাংলাদেশের একজন মন্ত্রী অপরাধীদের পাশেই দাঁড়ান তা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও উত্তর দেয়ার কেউ হয়ত নেই। জুলাইয়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রূপালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিত করার ঘটনায় ব্যাংকটির কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও এক অফিস সহকারীকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়। এছাড়া একজনকে বাধ্যতামূলক অপসারণ ও চার সিবিএ কর্মীকে পদাবনতিসহ রাজধানীর বাইরে বদলি করা হয়েছে। ডিসেম্বরে স্থানীয় কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক, উপমহাব্যবস্থাপক এবং সহকারী মহাব্যবস্থাপককে লাঞ্ছিত করেন সিবিএ নেতারা। তদন্ত শেষে সিবিএ নেতাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়। সিবিএ নেতাদের পক্ষে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে শাজাহান খান বলেন, গোড়ায় হাত দিলে অনেকের অনেক কিছু বের হয়ে যাবে।
×