ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রোবটেরও ভাল-মন্দের বোধ!

প্রকাশিত: ০৬:১০, ১৯ অক্টোবর ২০১৭

রোবটেরও ভাল-মন্দের বোধ!

আর কিছুদিন পরই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে হয়ত এমন গাড়ি রাস্তায় চলবে- যা আর মানুষকে চালাতে হবে না। একটি ‘কম্পিউটার মস্তিষ্কওয়ালা’ রোবটই চালাবে গাড়ি। বিবিসির সংবাদদাতা ডেভিড এডমন্ডস লিখছেন, জাগুয়ার-ল্যান্ডরোভারের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার ড. এমি রিমার তাকে একটি চালকবিহীন গাড়িতে চড়িয়ে কিভাবে শহরে ঘুরেছেন। ড. রিমার বলছিলেন, আর এক দশকের মধ্যেই এ রকম গাড়ি রাস্তায় নামবে। এখন চলছে তার কারিগরি বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের কাজ। তবে অনেকের প্রশ্ন : চালকবিহীন গাড়ির সমস্যা শুধুই যান্ত্রিক নয়, এর একটা নৈতিক দিকও আছে। সুজান এন্ডার্সন এবং তার স্বামী মাইকেল দুজনেই কম্পিউটার বিজ্ঞানী। তারা মনে করেন, রোবটকে নৈতিকতা শেখানোর উপায় হচ্ছে প্রথমে তাকে কিছু নীতি শেখানো- যেমন দুর্ভোগ এড়িয়ে চলো, সুখকে উৎসাহিত করো ইত্যাদি। এর পর মেশিন বিভিন্ন রকম পরিস্থিতিতে এই নীতিগুলো কিভাবে প্রয়োগ করতে হবে তা শিখতে পারবে। কেয়ারোবট নামে এক ধরনের রোবট আছে যারা বয়স্ক মানুষদের বই বা খাবার এনে দিতে পারে, টিভি বা লাইট অন করে দিতে পারে। হয়ত একজন রোগীকে তার ওষুধ এনে দিতে পারে। কিন্তু কোন রোগীর জীবন কখন বিপন্ন এটা বুঝে সাহায্য চাওয়া- এটা কিভাবে রোবট করবে? সুজান ও মাইকেল এন্ডারসন মনে করেন, রোবটের পক্ষে এসব ক্ষেত্রে করণীয় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা অর্জন করা সম্ভব। তবে মেশিনের শিক্ষা গ্রহণে সমস্যাও হতে পারে। তারা হয়ত ভুল জিনিস শিখে ফেলতে পারে। তাদের হয়ত এমন পক্ষপাত সৃষ্টি হতে পারে যা অসঙ্গত। আরেকটা সমস্যা হলো শেখার প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে রোবট কখন কি আচরণ করবে সেটার পূর্ব ধারণা পাওয়া অসম্ভব হয়ে উঠতে পারে।-বিবিসি অনলাইন
×