ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ওয়ানডে আজ

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ১৮ অক্টোবর ২০১৭

বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ওয়ানডে আজ

মিথুন আশরাফ ॥ কিম্বার্লিতে প্রথম ওয়ানডেতে লজ্জা মিলেছে। এবার পার্লের বোল্যান্ড পার্কে আরও কঠিন অবস্থার মধ্যেই পড়তে চলেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এ স্টেডিয়ামটি তুলনামূলক ছোট্ট। প্রচুর রান হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সেই সঙ্গে পেসাররা এ মাঠে জয়ে মুখ্য ভূমিকা রাখেন। আর তাতে তো বরাবরই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ব্যর্থতা সঙ্গী হচ্ছে বাংলাদেশের। আজ পার্লে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে খেলতে নামবে মাশরাফিবাহিনী। এ ম্যাচে কী দুর্দশা থেকে বের হতে পারবে বাংলাদেশ? বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা দুর্দশা থেকে বের হতে চান। তাইতো বলেছেন, ‘যা যা করার আছে পরের ম্যাচে (দ্বিতীয় ওয়ানডেতে) সব করব। ফলাফল আমাদের পক্ষে আসছে না। সে কারণেই সবকিছু কঠিন হয়ে গেছে। আমাদের উচিত হবে ইতিবাচক মানসিকতা ধরে রাখা।’ কিন্তু ফল কী বের করা সম্ভব? দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সবদলই কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হয়। চ্যালেঞ্জ জয় করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। বাংলাদেশের জন্য যে কাজটি কঠিন তা বোঝাই গেছে। টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর প্রথম ওয়ানডেতেও হার হয়েছে। আজ হারলে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ হার হয়ে যাবে। সিরিজে সমতা আনতে জেতার বিকল্প নেই। কিন্তু জয় যে কতটা কঠিন তা বোঝা হয়ে গেছে। এ জয় পেতে এখন ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং; সবদিকেই দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়েও ভাল করে দেখাতে হবে। কিন্তু পার্লের উইকেট যে বাংলাদেশকে আরও বিপদে ফেলার পথই দেখাচ্ছে। এ স্টেডিয়ামে রান হয় প্রচুর। আর রান কম হলেও পেসারদের দক্ষতায় জেতা সম্ভব। দুইদিকেই যে বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকছে। এ স্টেডিয়ামে গড়ে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে ২২৯ রান হয়েছে। তার মানে, চাইলে সীমানা ছোট্ট থাকায় অনায়াসেই আড়াই ’শ রানের ওপরে করা যাবে। তাতেই পেসারদের দক্ষতায় জেতা সম্ভব। সেখানেই বাংলাদেশের যত বাধা। আগে ব্যাট করলে রান করতে হবে প্রচুর। তিন ’শ রানের কাছাকাছি রান করতে হবে। এরপর বোলিং দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে আটকানোর চেষ্টা করতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশের বোলিং যে কি অবস্থায় আছে তাতো টেস্ট সিরিজ ও প্রথম ওয়ানডেতেই বোঝা গেছে। কোনভাবেই তাই বোলিং দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে যে ঠেকান সম্ভব নয় তা সবারই জানা হয়ে গেছে। তাহলে কী করতে হবে? একমাত্র পথ আগে বোলিং করা এবং টার্গেট অতিক্রম করা। এ স্টেডিয়ামে যা বোঝা যাচ্ছে তাতে পরে ব্যাটিং করলে জেতার সম্ভাবনা থাকছে। যদি প্রতিপক্ষকে কম রানে বেঁধে ফেলা যায়। যদি তাও না হয় তাহলে যত রানই হোক পরে ব্যাটিং করে টার্গেট অতিক্রম করার চেষ্টা করলে সেই চেষ্টায় সাফল্য আসতেও পারে। না হলে সম্ভব নয়। বাংলাদেশ দল দুই টেস্টেই টস জিতে আগে ফিল্ডিং নিয়ে হেরেছে। ওয়ানডেতে ব্যাটিং নিয়েও হেরেছে। এখন তাই আবার টস জিতলে আগে ফিল্ডিং নেয়ার পথেই হয়তো হাঁটতে হবে। দ্বিতীয় টেস্টে ইনজুরির জন্য তামিম ইকবাল খেলতে পারেননি। প্রথম ওয়ানডেতেও খেলেননি। আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে খেলবেন। তামিমের সঙ্গে একাদশে ফিরতে পারেন সৌম্য সরকারও। নাসির হোসেনের পরিবর্তে মেহেদী হাসান মিরাজকেও দেখা যেতে পারে। বাকিদের মধ্যে তাসকিন আহমেদ অথবা রুবেল হোসেনের মধ্যে এক পেসার হয়তো শেষ পর্যন্ত বাদ পড়তে পারেন। বোঝাই যাচ্ছে, ব্যাটিং দিয়েই জেতার ভাবনা করছে বাংলাদেশ। তাছাড়া যে আর কোন উপায়ও নেই। ব্যাটিং দিয়ে না জেতা গেলে যে বোলিং দিয়ে জেতা সম্ভব নয়, তাতো এখন সবারই ধারণা হয়ে গেছে। আবার নেই মুস্তাফিজুর রহমান। যিনি উইকেটের সুবিধা পেয়ে ‘কাটার’ দিয়ে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানকে বোকা বানাবেন। তাই ব্যাটিং দিয়েই যা করার করতে হবে, এমন ধারণার পথেই হাঁটতে হবে বাংলাদেশকে। সেই পথে হাঁটবেও দল। এখন যদি সাফল্য মিলে। দক্ষিণ আফ্রিকায় সেই সাফল্যের খোঁজেই আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
×