ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

মংলায় হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ১৪ অক্টোবর ২০১৭

মংলায় হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক

নিজস্ব সংবাদদাতা, মংলা, ১৩ অক্টোবর ॥ মংলায় হাতের নাগালেই পাওয়া যায় মরণ নেশা ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক দ্রব্য। শুধু মংলা শহর নয় ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন স্থানে মাদকের রমরমা ব্যবসা শুরু হয়েছে। এমন তথ্যই পাওয়া গেছে মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীদের কাছ থেকে। পুলিশ প্রশাসন মাদক বিক্রেতাদের তালিকা তৈরি করে শুরু করেছে অভিযান। গ্রেফতার বা অভিযানের পরেও মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীদের রুখতে পারেনি পুলিশ। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘদিন ধরে বাংলা মদ, ইয়াবা, গাঁজা, হিরোইন, ড্যান্ডিসহ বিভিন্ন বিদেশী মাদক সহজলভ্য হওয়ায় যুবসমাজ মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। এ ছাড়াও কয়েকমাস আগ থেকে এলাকায় ইয়াবার বিস্তৃতি লাভ করেছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মাদক বিক্রেতাদের পুলিশ গ্রেফতার করলেও কয়েক দিন পরেই আদালত থেকে জামিনে এসে পুনরায় ব্যবসা চালিয়ে আসছে। মংলায় বিদেশী মদের পাশাপাশি ইয়াবা, গাঁজা, হিরোইন ও বাংলামদ, ড্যান্ডিসহ সব মাদক সহজলভ্য। প্রভাবশালীদের মদদে বিভিন্ন স্থানে মাদক বিক্রির সিন্ডিকেট গড়ে ওঠে। এসব স্থানে প্রভাবশালীদের অবাধে মাদক বিক্রি ও সেবন করায়, প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকলেও ব্যবসা বন্ধসহ তাদের গ্রেফতার করতে পারছে না। দ্বিগরাজে পুলিশ চেকপোস্ট বসার কারণে মাদক পাচারকারীরা বন্দরের আশপাশে নদী পথকে নিরাপদ ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করছে। বেনাপোল-যশোর ও খুলনা থেকে মাদকের চালান দাকোপ ও চালনার বাজুয়ার খেয়াঘাট ও বানিশান্তা হয়ে মোটরসাইকেলে মংলা বন্দর সদরসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন উপজেলায় পাচার করা হচ্ছে। মাঝে মাঝে পুলিশ চেকপোস্ট বসালেও মাদক বিক্রেতারা রুট পরিবর্তন করে বাজুয়ার খেয়াঘাটের বিপরীতে লাঢুব খেয়াঘাট দিয়ে মাদকদ্রব্য পারাপার করছে। মংলা উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে লোকাল বাজার ও এলাকার মোড়গুলোতে ভ্রাম্যমাণ মাদক বিক্রির স্পট গড়ে তুলেছে। উপজেলার ৬নং চিলা ইউনিয়নের জয়মনির ঘোল গ্রামের বাসিন্দা হারুন শেখ ওরফে গাঁজা হারুন দীর্ঘদিন গাঁজা বিক্রি করে পরিচিতি লাভ করে। কিন্ত বর্তমানে গাঁজা বিক্রিতে ব্যবসা কম হওয়ায় তিনি এখন দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এনে জয়মনিতে বসে হোলসেলার হিসেবে ইয়াবা বিক্রি করছে। এছাড়া ওপর হোলসেলার উত্তর চাঁদপাই ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় মোতাহার হোসেনের স্ত্রী রাহিলা বেগম দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ পাইকারিভাবে গাঁজা বিক্রি করে আসছে। তাকে বিভিন্ন সময় থানা ও ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করলেও থেমে নেই তার এ কারবার।
×