ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিস্তারে চাকরি হারাবে নারী!

প্রকাশিত: ০৫:১২, ৮ অক্টোবর ২০১৭

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিস্তারে চাকরি হারাবে নারী!

ভার্চুয়াল ওয়েটার, বিমানবন্দরে মেশিনের সাহায্যে নিজে নিজেই চেক ইন কিংবা মিউজিক কনসার্টে এক রোবটের সঙ্গীত পরিচালনা- এসবই এখন হচ্ছে অটোমেশন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং রোবটিক্সের কারণে। বলা হচ্ছে, এটাই ভবিষ্যত কর্মেক্ষত্রের চেহারা, আপনি পছন্দ করুন আর না-ই করুন। কিন্তু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতি নারী ও পুরুষের কর্মজীবনকে কতটা প্রভাবিত করবে? এর ফলে নারী নাকি পুরুষের বেশি লাভ হবে, অথবা কার ক্ষতি হতে পারে বেশি? কাজের দুনিয়ায় এর লাভ-ক্ষতি নিয়ে বিতর্ক আছে। কিন্তু এই বাস্তব সত্যকে অস্বীকার করার উপায় নেই যে আরও বেশি রোবট এবং আরও বেশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অর্থই হচ্ছে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ইত্যাদি খাতে আরও বেশি বেশি কর্মসংস্থান। ধারণা করা হচ্ছে, বিশ্বের বড় বড় সব প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের দেশ বলে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রের এসব চাকরি আগামী দশকে কয়েক লাখ বাড়বে। বিশ্ব অর্থনীতি ফোরামের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, নারী ও পুরুষের বর্তমান যে অনুপাত সেটা যদি ২০২০ সাল পর্যন্ত একই থাকে, তাহলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মতো খাতে নতুন পাঁচটি চাকরির মধ্যে মাত্র একটি হবে নারীর। এই গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, অটোমেশনের কারণে পুরুষের তুলনায় নারীরাই বেশি চাকরি হারাবেন। আবার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক ড. কার্ল ফ্রে বলেছেন, যেসব তথ্য-উপাত্ত আছে তাতে অটোমেশনের কারণে বহু পুরুষের চাকরি হারানোর ঝুঁকি আছে। তিনি বলছেন, গত শতাব্দীতে এই অটোমেশনের কারণে আসলে চাকরি-বাকরির বিষয়ে নারীরাই নানা উপায়ে লাভবান হয়েছে। মেশিন এমন চাকরির সুযোগ তৈরি করেছে যার জন্য পড়া ও স্মৃতির মতো কগনিটিভ দক্ষতার প্রয়োজন। নারীর এই দক্ষতা বেশি যা মূলত পুরুষের শারীরিক কাজকে প্রতিস্থাপন করেছে। কিন্তু বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম ২০১৬ সালে ‘চাকরির ভবিষ্যত’ বলে যে প্রতিবেদন তৈরি করেছে সেখানে বলা হয়েছে অটোমেশনের কারণে নারী ও পুরুষ চাকরি হারাবে। আবার প্রাইসওয়াটার হাউজকুপার্স তাদের ২০১৭ সালের গবেষণায় বলছে, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং জার্মানিতে অটোমেশনের কারণে পুরুষরাই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে পড়বে। তবে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইএসইএ বলছে, অটোমেশনের কারণে নারীদেরই চাকরি হারানোর আশঙ্কা বেশি। তবে এসব নিয়ে নৈতিকতার অনেক প্রশ্ন রয়ে গেছে। আছে সামাজিক উদ্বেগও।-বিবিসি অবলম্বনে।
×