নিজস্ব সংবাদদাতা, ফটিকছড়ি, ৬ অক্টোবর ॥ নির্জন পুকুরপাড়ে একটি পাকা কবর। ভেতরে রয়েছে কাথা-বালিশ। বৃষ্টি-বাদলা থেকে রক্ষা পেতে ওপরে টিনের ছাউনি দেয়া হয়েছে। কবরের সামনের অংশে আরবীতে বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম লেখার পর বাংলা অক্ষরে লেখা আছে ‘রমজান আলী জিহাদী হক ভান্ডারী।’এ দৃশ্য উপজেলার লেলাং ইউনিয়নের দমদমা গ্রামের আলী অংশের বাড়িতে। মাইজভান্ডার পাঠানপাড়া হতে বাবুনগর বোর্ডস্কুল হয়ে নাজিরহাট যাত্রা পথে যে কারও চোখে পড়বে এ কবর। প্রায় সত্তরের কাছাকাছি বয়স্ক লোকটির পাকা দালান থাকলেও তিনি নিজ ঘর থেকে ৩০০ ফুট দূরে পুকুর পাড়ে তৈরি করেন এ কবর। এখানেই তিনি রাতদিন ঘুমান। ঘর থেকে খাবারও নিয়ে আসেন এখানে। তবে, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিলে যেতে হয় বাইরে। তার দুই স্ত্রী ৬ সন্তান। ছেলেরা প্রবাসে বেশ ভাল অবস্থানেও রয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানালেন। দশ বছর ধরে এ কবরে বসবাস করে আসছেন রমজান আলী। তিনি নিজ হাতেই এ কবর তৈরি করেন। নিজ পাকা ঘর রেখে কবরে কেন বসবাস করেন, এমন প্রশ্নে রমজান আলী জানান, ‘আমাকে তো মরতে হবে, মারা যাওয়ার পর তো এখানেই থাকতে হবে, তাই আগে থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছি।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: