ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

সামরিক শক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারসাম্য চাই ॥ উন

প্রকাশিত: ০৩:২৬, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭

সামরিক শক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারসাম্য চাই ॥ উন

উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন দেশের পরমাণু লক্ষ্যে যে পৌঁছার জন্য অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমে এ কথা বলা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ কিমের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, উত্তর কোরিয়ার লক্ষ্য হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পিয়ংইয়ংয়ের সামরিক শক্তির ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করা। খবর বিবিসির। উত্তর কোরিয়া শুক্রবার জাপানের ওপর দিয়ে একটি পরীক্ষামূলক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর কিম এই মন্তব্য করেন। বলা হয়েছে, পরীক্ষামূলক ক্ষেপণাস্ত্রটি ছিল দেশের সবচেয়ে বেশি পাল্লার। দেশটির বিরুদ্ধে কয়েক দিন আগে জাতিসংঘের নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পেছনে বিশ্বে যেসব দেশ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল তারা এখন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায়। কেসিএনএ কিমের উক্তির উদ্ধৃতি বলেছে, বৃহৎ শক্তিধর দেশগুলোর সীমাহীন নিষেধাজ্ঞা আরোপ সত্ত্বেও আমাদের দেশ কীভাবে এর পরমাণু লক্ষ্য অর্জন করছে তা তাদের স্পষ্ট করে দেখানো উচিত। তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ার লক্ষ্য হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শক্তিতে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করা এবং দেশটি চায় মার্কিন শাসকরা ডিপিআরকের (উত্তর কোরিয়া) জন্য সামরিক বিকল্পের ব্যাপারে কথা বলার সাহস দেখাবেন না। কিম শুক্রবারের ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত থেকে তা দেখেছেন। ক্ষেপণাস্ত্রটি সাগরে পতিত হওয়ার আগে প্রত্যন্ত উত্তরাঞ্চলীয় দ্বীপ হোক্কাডো হয়ে সমুদ্র্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৭শ’ ৭০ কিলোমিটার (৪শ’ ৭৮ মাইল) ওপর দিয়ে ৩ হাজার ৭শ’ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। এ ক্ষেপণাস্ত্রের মার্কিন ভূখ- গুয়াম পর্যন্ত পৌঁছার সক্ষমতা রয়েছে এবং বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, উত্তর কোরিয়া এ পর্যন্ত যে সকল ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে তার মধ্যে এটি সবচেয়ে বেশি পাল্লার। পিয়ংইয়ংয়ের শুক্রবারের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিশ্ব সংস্থা ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দ। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এক জরুরী বৈঠকে সদস্যরা পরীক্ষামূলক এ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকে চরম উস্কানিমূলক বলে অভিহিত করেছেন এবং নিন্দা প্রকাশ করেছেন সর্বসম্মতভাবে। পিয়ং এর আগে ৩ সেপ্টেম্বর একটি পরমাণু বোমার পরীক্ষা চালায়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, উত্তর কোরিয়া এর প্রতিবেশীদের প্রতি ও সমগ্র বিশ্বের প্রতি আবারও চরম অবজ্ঞা দেখাল। তিনি আগের চেয়ে আরও বেশি নিশ্চিতবোধ করছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রকে একটি সামরিক বিকল্পের প্রয়োজনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। কিন্তু জাতিসংঘে রুশ রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নেবেনজিয়া সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, আমরা মনে করি পরীক্ষা, ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ও পারস্পরিক হুমকি সত্যিকারভাবে বন্ধ হওয়া উচিত এবং তাই আমাদের অর্থবহ আলোচনায় বসা উচিত।
×