ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সিকিউরিটিজ কনসালটেন্ট মামলার বিচার কাজ শুরু

প্রকাশিত: ০৪:২২, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭

সিকিউরিটিজ কনসালটেন্ট মামলার বিচার কাজ শুরু

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ১৯৯৬ সালের শেয়ার কেলেঙ্কারীতে দায়েরকৃত সিকিউরিটিজ কনসালটেন্টের মামলার বিচারকাজ শুরু হয়েছে। এ মামলায় আসামীদের জামিনের মাধ্যমে শেয়ারবাজার বিষয়ক বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ শুরু হয়েছে। এই মামলার আসামীরা হলেন-সিকিউরিটিজ কনসালটেন্ট, এর তৎকালীন পরিচালক এমজি আজম চৌধুরী, মো. শহীদুল্লাহ ও অধ্যাপক মাহবুব আহমেদ। বৃহস্পতিবার এই মামলার আসামী এমজি আজম চৌধুরী ও মো. শহীদুল্লাহের পক্ষে তাদের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইফতেখার জুনায়েদ, অ্যাডভোকেট নোমান মাহমুদ মিয়া ও ব্যারিস্টার সাইমুন সাদি জামিন আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করেন। এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর অপর আসামী প্রফেসর মাহবুব আহমেদ জামিন নিয়েছেন। সবাই স্থায়ী জামিন পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার আসামী এমজি আজম চৌধুরী ও মো. শহীদুল্লাহ ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। বিএসইসির প্যানেল আইনজীবী মাসুদ রানা খান বলেন, আসামীরা ১৯৯৬ সালে শেয়ারবাজারে অবৈধভাবে প্রভাবিত করে ফায়দা লুটেছে। যার ফলে তাদের বিরুদ্ধে ১৯৯৭ সালে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। যা উচ্চ-আদালতের নির্দেশে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। তবে আসামীদের উদ্যোগে মামলাটি আবার চালু হয়েছে। এতে সঠিক বিচার পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। অ্যাডভোকেট নোমান মাহমুদ মিয়া বলেন, মামলাটির বিচারকার্য শেষ করার জন্য আসামীরা স্ব-উদ্যোগে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছে। যাতে শেয়ারবাজার বিষয়ক ট্রাইব্যুনালে মামলাটির বিচারকাজ শুরু হয়েছে। এরই আলোকে বৃহস্পতিবার এমজি আজম চৌধুরী ও মো. শহীদুল্লাহের পক্ষে জামিন আবেদন করলে, বিচারক আকবর আলী শেখ তা মঞ্জুর করেছেন। তিনি আরও জানান, মামলার আর্জিতে আসামীদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ করা হয়নি। এছাড়া মামলার সঙ্গে আমার মক্কেলেরা কোনভাবেই জড়িতও নন। যাতে বাদিপক্ষ দোষী সাবস্ত্য করতে পারবে না। এতে আসামীরা বেকুসুর খালাস পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। মামলার চার্জশীট সূত্রে জানা গেছে, আসামীরা ১৯৯৬ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে সিকিউরিটিজ কনসালটেন্টের পক্ষে শেয়ারবাজারকে অবৈধভাবে প্রভাবিত করে। এক্ষেত্রে বিধিবর্হিভূত বিভিন্ন কৌশল গ্রহণ করেন। যারা বেআইনীভাবে একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে শেয়ার ব্যবসায় করে। আসামীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ডিভিপি’র মাধ্যমে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকার লেনদেন দেখায়। যা ছিল অনিষ্পন্ন। যার কোন রেকর্ড ডিএসইতে নাই।
×