ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ

ইউপি চেয়ারম্যান বিচারের নামে আটকে রাখায় স্বামীর আত্মহত্যা

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ইউপি চেয়ারম্যান বিচারের নামে আটকে রাখায় স্বামীর আত্মহত্যা

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদের অপরাধে ইউপি চেয়ারম্যানের হাতে বিচারের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের ঘরে আটকে রাখা স্বামী আল আমিন ওরফে বাদশা (৩৫) অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনা নিয়ে নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। বুধবার ভোর থেকে এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে ইউপি চেয়ারম্যান গা ঢাকা দেয়। তবে পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আটজনকে গ্রেফতার করেছে। এ সময় গ্রেফতারকৃতদের পরিবারের লোকজন এ ঘটনার প্রধান হুকুমদাতা মাগুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হোসেন সিহাব মিয়াকে গ্রেফতারের দাবি তুলে বিক্ষোভ করে। নিহত আল-আমিন বাদশা একই উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের দক্ষিণ বড়ভিটা গুচ্ছগ্রামের আজিজুল ইসলামের ছেলে। এদিকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে নিহত আল আমিন ওরফে বাদশার বাবা বাদী হয়ে নামীয় ৯ জন ও অজ্ঞাত ২/৩ কে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ মামলার নামীয় আসামিদের মধ্যে যে আটজনকে গ্রেফতার করেছে তারা হলো নিহত আল আমিন ওরফে বাদশার চার শ্যালক যথাক্রমে রোকন (৩০), রুবেল (২৫), নিশাদ (২৮) রিপন (২৪), মাগুড়া ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দুলু (৪১), ইউনিয়নের নারী ৭, ৮, ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ইউপি সদস্যা আঞ্জুয়ারা বেগমের স্বামী চাঁদ মিয়া (৪৫), ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ হামিদুল (৩২), ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ আব্দুল লতিফ (৩৩)। গ্রেফতারকৃতদের নীলফামারী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীর পর জেলহাজতে প্রেরণ করে। মামলার নামীয় অপর আসামি শাহাবুল হোসেন (৪০) পলাতক রয়েছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, তিন বছর আগে আল-আমিন ওরফে বাদশার সঙ্গে মাগুড়া ইউনিয়নের উত্তর সিঙ্গেরগাড়ী ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের মেয়ে রোজিনা বেগমের বিয়ে হয়। স্ত্রী রেজিনাকে সে বড়ভিটা ইউনিয়নের দক্ষিণ বড়ভিটা গুচ্ছ গ্রামে রেখে ঢাকায় গাউসিয়া পেপার মিলে চাকরি করত। তাদের দেড় বছরের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। কোরবানির ঈদে স্বামী সময়মতো বাড়ি ফিরে না আসায় স্ত্রী রোজিনা তার মেয়ে সন্তান নিয়ে গত ৩১ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাগ করে বাবার বাড়ি চলে যায়। এদিকে ঈদের ছুটি পেয়ে আল আমিন ওরফে বাদশা ঈদের দিন শনিবার বিকেলে নিজবাড়িতে আসে। কিন্তু বাড়িতে স্ত্রী সন্তানকে দেখতে না পেয়ে স্ত্রীকে মোবাইল করে তার বাড়িতে ফিরে আসতে বলে।
×