ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভুয়া জন্মদিন পালন না করায় খালেদা জিয়াকে নাসিমের সাধুবাদ

প্রকাশিত: ০৮:০৩, ১৬ আগস্ট ২০১৭

ভুয়া জন্মদিন পালন না করায় খালেদা জিয়াকে নাসিমের সাধুবাদ

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম জাতীয় শোক দিবসে ভুয়া জন্মদিন পালন না করায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেছেন, দেশের মানুষ জানে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বিএনপির জন্ম হয়েছিল বলেই তারা এই দিন তথাকথিত ভুয়া জন্মদিন পালন করতে চায়। কিন্তু তারা এ ধরনের অপচেষ্টার মধ্য দিয়ে মানুষের কাছে ঘৃণা কুড়াচ্ছে। মঙ্গলবার জাতীয় শোক দিবসে মহাখালীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস এ্যান্ড সার্জন্স মিলনায়তনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ২১টি বছর যখন বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়নি, আত্মস্বীকৃত খুনীরা যখন পার্লামেন্টে (সংসদ) বসেছিল, তখন তো কেউ বলেননি এই পার্লামেন্টের লোকগুলো অযোগ্য। সেদিন কোথায় ছিল আদালত? যখন ইনডেমনিটি দিয়ে বিচার বন্ধ করা হলো, তখন কেন কেউ হস্তক্ষেপ করলেন না? কেন কেউ রুল জারি করলেন না? আরও দুঃখ লাগে যে, যখন দেখি আদালত নির্দেশ দিচ্ছেন, প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ ঘটছে। তখন আমরা বলতে বাধ্য হই- কোথায় ছিল আপনাদের ন্যায়বিচার এই ২১টি বছর? স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব সিরাজুল হক খানের সভাপতিত্বে বিএমএ সভাপতি ডাঃ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব সিরাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল কালাম আজাদ, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মহাপরিচালক কাজী মোস্তফা সারোয়ার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এর আগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভা ও দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ২১টি বছর যারা ক্ষমতায় ছিল তারা কোনদিন ন্যায়বিচার করেনি। কোন সরকার উদ্যোগ নেয়নি আত্মস্বীকৃত খুনীদের বিচার করার। এমনকি তাদের সংসদে বসিয়ে সংসদকে কলঙ্কিত করা হয়েছে। কোন বিচারক তখন কথা বলেননি। সাহস করে কথা বলেননি। বরং দেখেছি সামরিক শাসনকে বৈধ করেছেন আপনারা (বিচারক), সামরিক শাসকের পক্ষে ওকালতি করেছেন। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, তখন কোথায় ছিল আদালত? শেখ হাসিনাকে লড়াই করে, সংগ্রাম করে, ২১ বছর রক্ত-ঘাম ফেলে, বিএনপির নির্যাতন সহ্য করে ইনডেমনিটি বাতিল করে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার করতে হয়েছে। তারপর আবার ওরা (বিএনপি) ক্ষমতায় এসে এটি আপীলে নিষ্পত্তি করে দিল। তখন তো একজন বিচারককেও দেখলাম না এতো বড় বড় রায় দিতে। এতো বড় বড় পর্যবেক্ষণ দিতে। নাসিম বলেন, ভয় পাওয়ার লোক আমরা নই। আমরা লড়াই করে, রক্ত দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছি। ন্যায্য কথা বলবোই। কোন আদালতই ন্যায্য কথা বলা বন্ধ করতে পারবে না। কারণ যে মানবতা লঙ্ঘিত হয়েছে, সেই মানবতার পক্ষে আমরা কথা বলছি। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ এমপি, সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
×