ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দৌলতপুরে তিন স্কুলে জলাবদ্ধতা

প্রকাশিত: ০৪:৩০, ১ আগস্ট ২০১৭

দৌলতপুরে তিন স্কুলে জলাবদ্ধতা

নিজস্ব সংবাদদাতা, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া, ৩১ জুলাই ॥ ক্লাস সিক্সের ছাত্রী বর্ষা। পিঠে বইয়ের ব্যাগ আর হাতে স্যান্ডেল। হাঁটুর উপরে জড়ানো পায়জামা। স্কুলে যাবে তাই তার এ প্রস্তুতি। এ প্রস্তুতি কেন? প্রশ্ন করলে সে জানায়, স্কুলের চত্বরের পুরো এলাকা পানিতে ডুবে থাকায় প্রতিদিনই তাকে এভাবে স্কুলে যেতে হয়। যেন যুদ্ধে যাওয়ার প্রস্তুতি। একই অবস্থা অন্য শিক্ষার্থীদের। এ দৃশ্য দৌলতপুর উপজেলার হোসেনাবাদ আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হোসেনাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শাহ আজিজ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। বিদ্যালয় তিনটিতে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী পড়ালেখা করে। বছরের প্রায় নয় মাস বিদ্যালয়ের খেলার মাঠসহ আশপাশের পুরো এলাকা হাঁটুপানিতে ডুবে থাকে। ফলে একদিকে এই তিন বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার পরিবেশ যেমন নষ্ট হচ্ছে অন্যদিকে শিক্ষার্থী এসব পচা পানিতে হাঁটা চলাফেরা করার করাণে নানা ঘা-পাচড়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয় তিনটি পাশাপাশি প্রায় একই চত্বরে অবস্থিত। স্কুলে যাওয়ার রাস্তা থেকে শুরু করে স্কুলের ভবনের চতুর্দিকে হাঁটু পানি জমে রয়েছে। দীর্ঘদিন পানি জমে থাকার কারণে সাপ, ব্যাঙ, বিভিন্ন ময়লা পচে তা থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। এর মধ্য দিয়েই শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন স্কুলে যাওয়া আসা করছে। এই এক যুগ ধরে বছরের প্রায় পুরো সময় জুড়ে এ অবস্থা চলে আসছে। বরিশালে সড়কে ভোগান্তি স্টাফ রিপোর্টার বরিশাল থেকে জানান, নগরীর রূপাতলী থেকে আমতলার মোড় ও ঝালকাঠি-বরিশাল সড়কের চক্ষু হাসপাতাল থেকে রূপাতলী পর্যন্ত সড়ক দুটির প্রায় দুই কিলোমিটার অংশ দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। সড়ক দুটিতে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিদিন নাকাল হতে হচ্ছে যাত্রী ও যানবাহন চালকদের। সকাল-বিকেল যানজট লেগে থাকে। তিন মিনিটের পথ পারি দিতে কখনও আধা ঘণ্টা পর্যন্ত লেগে যায়। স্থানীয়রা জানান, সামান্য বৃষ্টিতেই খানাখন্দে ভরা সড়ক দুটিতে পানি জমে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নগরীসহ বিভাগের পাঁচ জেলার লাখো যাত্রীদের। পাশাপাশি বেহাল এ সড়কে প্রায়ই ঘটছে ছোটবড় দুর্ঘটনা। কয়েক দিনের টানা বর্ষণে এ ভোগান্তি এখন চরম আকার ধারণ করেছে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসার জন্য এ সড়ক ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড অন্যতম। এছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের পাঁচ জেলা বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি থেকে বিভাগীয় শহর, ঢাকাসহ অন্যান্য স্থানে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এ সড়ক। সড়কের এ অংশ বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের আওতায় থাকলেও এটি ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের আওতায় হওয়ায় এর দেখভাল করে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকার ব্যবসায়ী মেজবাহ উদ্দিন বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই রূপাতলী বাসস্ট্যান্ডের মধ্যে হাঁটুপানি জমে যায়। এতে যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ে। নগরীর ব্যস্ততম এ সড়কে দিন-রাত হাজারও যানবাহন চলাচল করে। বেহাল দশার কারণে সকাল নয়টা থেকে দুপুর ১২টা এবং বিকেল চারটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত সড়কটিতে তীব্র যানজট লেগেই থাকে। সরেজমিনে দেখা গেছে, ঝালকাঠি থেকে বরিশাল আসতে চক্ষু হাসপাতাল থেকে রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দে একাকার হয়ে গেছে। একইভাবে রূপাতলী থেকে আমতলার মোড় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়কের ওপরে পিচ উঠে গেছে। সংস্কারের জন্য গত দুই মাস ধরে সড়কের ওপরে সুরকি ফেলে রাখায় বৃষ্টিতে তা ধুয়ে কাদাজলে একাকার হয়ে গেছে।
×