ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

পটিয়ার তরুণ কাওয়াল শিল্পী আলাউদ্দিন

প্রকাশিত: ০৬:২০, ২৯ জুলাই ২০১৭

পটিয়ার তরুণ কাওয়াল শিল্পী আলাউদ্দিন

বিকাশ চৌধুরী, পটিয়া ॥ চট্টগ্রামের পটিয়ার তরুণ শিল্পী আলাউদ্দিন উদ্দিন কাওয়াল। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গানের সম্রাটখ্যাত প্রয়াত আবদুল গফুর হালি তরুণ শিল্পী আলাউদ্দিন কাওয়ালের নানা। তাঁর কাছেই গানের তালিম নেন আলাউদ্দিন। ছোট কাল থেকে গানের প্রতি তার আগ্রহ ছিল। পটিয়া উপজেলার ভাটিখাইন গ্রামে আলহাজ আবুল কাশেমের পুত্র আলাউদ্দিন। তাদের পরিবারে দুই ভাই দুই বোন। ১৯৮৬ সালে ২৬ নবেম্বর তার জন্ম। মাতার নাম রোকেয়া বেগম। পরিবারের সবাই অলি ভক্ত ও ভা-ারী। গানের প্রতি তাদের অনুরাগ রয়েছে। তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র থাকাকালে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে আলাউদ্দিন ওরশে যেতেন। সেখানে কাওয়ালী গান শুনে সে মুগ্ধ হতো। ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র থাকাকালে ছনহরা ষোড়শী বালা উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে আলাউদ্দিন তার নানা আবদুর গফুর হালির গাওয়া ‘চলো-রে জেয়ারতে আউলিয়ার দরবারে’ গানটি পরিবেশন করেন। এর পর স্কুল শিক্ষক স্বপন কুমার সেন তাকে গান শেখার তাগিদ দেন। ওস্তাদ ছাড়াই তিনি হারমোনিয়াম, ঢোল, তবলা বাজানো শেখেন। গানের প্রতি তার আগ্রহ দেখে আবদুল গফুর হালি বিশিষ্ট কাওয়াল প্রয়াত সেলিম নিজামীর হাতে তুলে দেয় আলাউদ্দিনকে। চট্টগ্রামের মরমি শিল্পী আবদুর গফুর হালির সঙ্গে বেতার ও টিভিতে অনুষ্ঠান করেন। ২০০২ সালে আমির ভা-ার মোজাহের শাহ্ শানে ও আবদুল গফুর হালির তত্ত্বাবধানে প্রথম অডিও এ্যালবাম ‘কালো গোলাপ’ তৈরি করেন। আলাউদ্দিন কাওয়াল ইতোমধ্যে সাড়ে ৬শ’ সাধকের আড়াই শতাধিক গানের বই সংগ্রহ করেছেন। মরমি সাধকদের বই সংগ্রহ করতে গিয়ে ভ্রমণ করেছেন অনেক স্থান। আলাউদ্দিন বলেন, মরমি সাধক প্রয়াত আবদুল গফুর হালি খ্যাতনামা কাওয়াল সেলিম নেজামীসহ লোক সংস্কৃতির অনেক শিল্পী পটিয়ায় জন্ম। আমিও তাদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে চাই। এ জন্য সবার সহযোগিতা চান তিনি।
×