ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

অবশেষে মারা গেল শ্রীমঙ্গলের সেই পোষা হাতিটি

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ২২ জুলাই ২০১৭

অবশেষে মারা গেল শ্রীমঙ্গলের সেই পোষা হাতিটি

বিডিনিউজ ॥ আটদিন রোগে ভুগে অবশেষে মারা গেছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার রাজলক্ষ্মী নামের সেই পোষা হাতিটা। শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সকাল ১০টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাতিটির মৃত্যু হয়। তার ময়নাতদন্তের জন্য জেলা লাইভস্টক কর্মকর্তা হেদায়েত উল্লাহকে প্রধান করে তিন সদস্যের দল গঠন করা হয়েছে। ১৪ জুলাই শুক্রবার হাতিটি অসুস্থ হয়। এরপর গত বুধবার সে সন্ধ্যায় খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিলে তাকে স্যালাইন দেয়া হচ্ছিল। তবু তার অবস্থার অবনতি হয়। হাতিটি মেরুদ-ে আঘাত পেয়েছিল বলে ধারণা করছেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের ভেটেরিনারি সার্জন আরিফুর রহমান। হাতিটিকে তিনি ঢাকা চিড়িয়াখানা ও ডুলাহাজরা সাফারি পার্কের চিকিৎসকদের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা দিচ্ছিলেন বলে এর আগে জানিয়েছিলেন। হাতির মালিক কমলঞ্জ উপজেলার কানাইদেশি গ্রামের সিরাজুল ইসলাম। হাতিটি তিনি বিভিন্ন কাজের জন্য ভাড়া দিতেন। কয়েক মাস আগে এক বছর মেয়াদে ভাড়া দিয়েছিলাম নরসিংদীর কাজল খান নামে এক ব্যক্তিকে। কাজল হাতিটিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিয়ে, সার্কাস, গাছ টানা, শোভাযাত্রা প্রভৃতি কাজে খাটাতেন। কাজল হাতিটিকে ১৪ জুলাই শ্রীমঙ্গল-মৌলভীবাজার সড়কের ৫ নম্বর ব্রিজের পাশে রেখে ফোন দিয়ে জানালেও এরপর থেকে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছে না বলে মালিক সিরাজের অভিযোগ। কাজলের কাছে থাকার সময় হাতিটি কোনভাবে আহত হয় বলে সন্দেহ প্রকাশ করে সিরাজুল বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খাবারের অভাব থাকার কথা বলে দুই মাসের জন্য কাজল হাতিটা আমার কাছে রাখতে বলেন। আমি রাজি হই। কাজল হাতিটাকে ট্রাকে করে কমলঞ্জ নিয়ে আসছিলেন। কিন্তু কেন তিনি তাকে পথেই ট্রাক থেকে নামালেন সেটা বুঝতে পারছি না। হাতিটা হয়তো আগেই কোনভাবে আহত হয়েছিল। এবং সে কারণে কাজল তাকে ফেরত দিতে চেয়েছিলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হঠাৎ খাবারের অভাব দেখা দেয়ার বিষয়টিও রহস্যজনক বলে অভিযোগ করেন মালিক সিরাজুল ইসলাম। তিনি ঘটনা তদন্তের দাবি জানিয়ে থানায় জিডি করবেন বলে জানান। দাদার আমল থেকে তারা হাতি পালন করে আসছেন জানিয়ে সিরাজুল বলেন, একসময় তাদের আটটি হাতি ছিল। এখন আছে দুটি। অপরটির মালিক তার এক চাচা। এর কিছু হয়ে গেলে তাদের পথে বসতে হবে।
×